‘আমার কোভিড হয়েছে?’ নবান্ন থেকে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

‘আমার কোভিড হয়েছে?’ নবান্ন থেকে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা:  করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ৷ নবান্নের বৈঠক থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই ১৫ দিন সাবধানে থাকতে হবে৷ জীবন ও জীবিকার দিকে তাকিয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে৷ সংক্রমণ বাড়লে আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি হতে পারে৷  সেই সঙ্গে ভুয়ো খবর নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি৷

আরও পড়ুন- মামলার রায় স্থগিত, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে জল্পনা বহাল

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব সন্ত্রাস যাতে না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখবেন৷ একটা খবর তৈরি করতে গিয়ে এমন কিছু করবেন না যাতে সেটা মিথ্যে নিউজ হয়ে যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি একটি খবর দেখে আমার কোভিড হয়ছে কিনা জানতে বাড়িতে অন্তত ৫০০ ফোন এসেছে৷  হলে তো জানতেই পারবে৷ এটাতো লুকনোর কোনও ব্যাপার নয়৷ সারা পৃথিবী আক্রান্ত৷ সারা দেশ আক্রান্ত৷ আমার আর মুখ্য সচিবের নাকি কোভিড হয়ে গিয়েছে৷ এই ধরনের খবর করা উচিত নয়৷’’ যদিও ওই সংবাদমাধ্যম পরে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, অনেকেই দেখছি কথা শুনছেন না৷ মাস্ক পরছেন না৷ কোভিড বিধি সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে৷ মাস্ক পড়ুন, ছেলেরা মাথায় টুপি পড়ুন, সকলে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরুন৷ আন্তরাজ্য সীমান্তে আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক৷ মোট ৪০৩টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে৷ কোভিডের জন্য ২৯৪টি হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে৷  মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত সাত দিনে ৪৫ হাজার ৪১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ ৩ দিন জ্বর থাকছে৷ ৭ দিন আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘কলকাতা টিভি কেন্দ্রের আক্রোশের শিকার’, প্রতিবাদের ডাক মমতার

‘কলকাতা টিভি কেন্দ্রের আক্রোশের শিকার’, প্রতিবাদের ডাক মমতার

কলকাতা:  গত সপ্তাহে কলকাতা টিভি-র সম্পাদককে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)৷ এ বার কলকাতা টিভিকে নোটিস পাঠাল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। চ্যানেলের সম্প্রচার-স্বত্ত্ব নবীকরণ নিয়ে ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর কারণ হিসাবে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিয়ে থাকে তা কলকাতা টিভির ক্ষেত্রে খারিজ হয়ে গিয়েছে। যদিও কলকাতা টিভি’র পাল্টা বক্তব্য, কোন যুক্তিতে তা খারিজ হয়ে গিয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি৷ এদিন কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা টিভির উপর আক্রোশ করা হয়েছে। কোন মিডিয়া বা কোন সাংবাদিক কাকে সমর্থন করবেন, সেটা তাঁদের নিজস্ব বিষয়৷ আমি মনে করি প্রতিটি চ্যানেলই খুব পপুলার৷ কলকাতা টিভিও খুবই জনপ্রিয়৷ কেন্দ্রের কাছে আমার আবেদন, ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়ে কলকাতা টিভি বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না৷’’ তিনি আরও বলেন,  ‘‘এহেন চেষ্টা করা হলে প্রেস ক্লাব থেকেও আপনারা প্রতিবাদ করতে পারেন৷’’ এই বিষয়ে প্রতিবাদ করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বানও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘‘যারাই বিরোধিতা করছে, তাদেরই হয় ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে, নয় গ্রেফতার করা হচ্ছে বা মামলা ঠোকা হচ্ছে৷’’

মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘‘কলকাতা টিভির সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে৷ কলকাতা টিভি ব্যান করলে কলকাতা সহ গোটা বাংলার মানুষই তা মেনে নেবে না৷ সারা বিশ্বে তাঁদের দর্শক রয়েছে৷ তাঁরাও সহ্য করবে না৷’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার

সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার

কলকাতা: উৎসবের সময়েও মানুষ দুঃখে আছে৷ বন্যা পরিস্থিতির উপর সরকারের নজর রয়েছে৷ পুজোর সময়েও নজরদারি চলবে৷ পুজোয় সময় যাঁরা ছুটি পাবেন না তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ যাঁরা পুলিশে চাকরি করেন নিয়ম মেনে পুজোর পর তাঁরা ছুটি পাবেন৷ 

আরও পড়ুন- ‘হ্যাঁ, এটা ম্যান মেড ফ্লাড’, ‘এভাবে জল ছাড়াটা জঘন্য অপরাধ’, ক্ষুব্ধ মমতা

মমতা বলেন, সাংবাদিকরাও পুজোর সময়  একটা ভাতা পান৷ গত বছর কলকাতায় ১১২৮ জন এই ভাতা পেয়েছিলেন৷ তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ এই বছর আবেদন করেছেন ৭৩৯ জন আবেদন করেছেন৷ যাঁরা এখনও আবেদন করেননি, তাঁদের অবিলম্বে আবেদনের আর্জিও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, গ্রামাঞ্চলেও এই ভাতা দেওয়া হয়৷ ১ হাজার টাকা করে পান আবেদনকারীরা৷ 

পাশাপাশি পুজোর সময় ৫০ হাজার টাকা করে যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, সেই টাকাও অবিলম্বে দেওয়া হবে বলে জানান মমতা৷ তিনি বলেন, উপনির্বাচন থাকলেও নির্বাচন কমিশন টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া ও কোচবিহার বাদে বাকি প্রতিটি জেলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে৷ ওই চার জেলায় ভোট থাকায় এখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না৷ সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের টাকা একসঙ্গে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘হ্যাঁ, এটা ম্যান মেড ফ্লাড’, ‘এভাবে জল ছাড়াটা জঘন্য অপরাধ’, ক্ষুব্ধ মমতা

‘হ্যাঁ, এটা ম্যান মেড ফ্লাড’, ‘এভাবে জল ছাড়াটা জঘন্য অপরাধ’, ক্ষুব্ধ মমতা

কলকাতা: ডিভিসির জলে প্লাবিত আটটি জেলা৷ শনিবার আকাশ পথে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করার পরেই নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভাবে জল ছাড়া হয়েছে, সেটা বড় অপরাধ৷ একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে৷ আমিই এক সময় বলতাম ম্যান মেড ফ্লাড৷ তার কারণ হিসাবে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন মমতা৷ তিনি বলেন, একবার ফরাক্কা দিয়ে আসার সময় একটি ট্রেন আচমকা জলে ভরে গিয়েছিল৷ পরে সেই ট্রেনটিকে টেনে আনতে হয়েছিল৷ এর কারণ হিসাবে রেলের অফিসাররা জানিয়েছিলেম ম্যান মেড ফ্লাড৷  সেই সময় অনেকেই আমার সমালোচনা করতেন৷ তবে আমি আবার বলব, ‘হ্যাঁ, এটা ম্যান মেড বন্যা৷’ 

আরও পড়ুন- ‘কুর্সি বাঁচাতে ৫০ লক্ষ মানুষকে বিপদে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর

তিনি বলেন, বৃষ্টি নিশ্চিত ভাবেই বেশি হয়েছে৷ আসানসোলে ৩৫০ মিলিমিটারের উপর বৃষ্টি হয়েছে৷ অন্যান্য জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে৷ এর পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ কারণ রাজ্যে  সাড়ে ৩ লক্ষের উপর পুকুর কাটা হয়েছে৷ ৫০০ কোটি টাকার উপর চেক ড্যাম করা হয়েছে৷ তার পরেও কী ভাবে এই জেলাগুলো প্লাবিত হল? প্রশ্ন তাঁর৷ মমচা বলেন, এক বছরে চারবার জল ছেড়ে বন্যা পরিস্থিতি করা হচ্ছে৷ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য বৃষ্টি হচ্ছে৷ বাজ পড়ছে৷ বহু মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য কোনও পরিকল্পনাই করেনি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘সব কাজ করে দিয়েছি, আর কী প্রয়োজন আছে?’, নবান্নে প্রশ্ন মমতার

‘সব কাজ করে দিয়েছি, আর কী প্রয়োজন আছে?’, নবান্নে প্রশ্ন মমতার

কলকাতা:  নবান্নের সভাঘরে তফশিলি জাতি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন তিনি বলেন, আগের বৈঠকে যা প্রস্তাব এসেছিল তা নেওয়া হয়েছে। আদিবাসী, তফশিলি দফতরের বাজেট আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়াও সকলে বিনামূল্যে রেশন ও স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পাচ্ছেন। জেনারেলদের পাশাপাশি তফশিলি জাতি উপজাতির মহিলারাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ 

আরও পড়ুন- বাংলায় নির্বাচনের রণকৌশলই ভুল ছিল! মানতে ‘বাধ্য’ হল বিজেপি

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশি কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে৷ ৪০ হাজারের বেশি তফশিলি মানুষকে ১ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়৷  তফশিলিদের জন্য হোস্টেলের বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে৷ উচ্চ শিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা এবং বিদেশে গেলে ২০ লক্ষ টাকা স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি তফশিলি জাতি, উপজাতির ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাও পাবেন৷ ১,৪০০ জন তফশিলি ছাত্রছাত্রীকে নিট, জয়েন্টের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷  

আরও পড়ুন- BREAKING: পুলিশ নিয়োগে কারচুপি, হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

মুখ্যমন্ত্রীর কথা, এমন কিছু নেই যে বাকি আছে৷ ৬০ বছর পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার৷ আর ৬০ বছরের পর থেকে তফশিলি জাতি ও উপজাতির সদস্যরা ১০০০ টাকা করে পেনসন পাবেন৷ এ রাজ্যে তফশিলি জাতি, উপজাতির জন্য যা করা হয়েছে, অন্য কোনও রাজ্যে তা করা হয়নি৷ এই রাজ্যে বিনা পয়সায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, সাইকেল, স্মার্টফোন সব কিছুই দেওয়া হচ্ছে৷ আর কী প্রয়োজন আছে? জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, পড়াশোনা থেকে বিয়ে পর্যন্ত সবটাই দেওয়া হয়েছে৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কবে থেকে চলবে লোকাল ট্রেন? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কবে থেকে চলবে লোকাল ট্রেন? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে৷ কিন্তু উৎকণ্ঠা রয়েছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে৷ এই অবস্থায় জোড় দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর৷ কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে আশ্বস্ত হতে পারছে না রাজ্য সরকার৷ আর যতদিন না ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হচ্ছে গ্রামে, ততোদিন ট্রেন বন্ধই থাকবে রাজ্যে৷ 

আরও পড়ুন- ‘দুয়ারে’ জন জোয়ার, ‘ভিড় করবেন না, সময় আছে,’ আর্জি মমতার

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে  ১৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন রয়েছে৷ কিন্তু চার ভাগের এক ভাগ পেয়েছে মাত্র। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে শহরাঞ্চলে ৭৫ শতাংশ জনগণকে টিকাকরণের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই কলকাতায় ৭৫ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে৷ হাওড়ায় ৮০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে৷ ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে আগে কভার করা হচ্ছে৷ এর পর ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণের উপর জোড় দেওয়া হবে৷ তাঁর কথায়, গ্রামের মানুষ সচেতন৷ তাছাড়া তাঁরা ফাঁকা জায়গায় নিঃশ্বাস নিতে পারেন৷ গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে লোকাল ট্রেন চালু করা হবে৷ 

আরও পড়ুন- অভিযোগ না পেলে কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতির

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় এখনই লোকাল ট্রেন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না৷ বাবা-মা লোকাল ট্রেনে ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত করার পর বাড়ি ফিরে সন্তানের কাছে যাবেন৷ আর মা-বাবার কাছে থেকে সংক্রমিত হবে বাচ্চারা৷ শিশুদের স্বার্থেই আরও কিছুদিন অপেক্ষা করছে সরকার৷     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘দুয়ারে’ জন জোয়ার, ‘ভিড় করবেন না, সময় আছে,’ আর্জি মমতার

‘দুয়ারে’ জন জোয়ার, ‘ভিড় করবেন না, সময় আছে,’ আর্জি মমতার

কলকাতা:  লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে রাজ্য জুড়ে উন্মাদনা৷ ক্যাম্পে ক্যাম্পে লম্বা লাইন৷ এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২২ হাজারের বেশি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে৷ মাত্র ৩ দিনে ৪৬ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে গিয়েছে৷ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে৷ তাই তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই৷ অযথা ভিড় করারও কারণ নেই৷ যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা সকলেই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ 

আরও পড়ুন- অভিযোগ না পেলে কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতির

সেই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, তবে ক্যাম্প ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে ফর্ম নেবেন না৷ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে যে ফর্ম দেওয়া হবে তাতে একটা ইউনিক নম্বর থাকবে৷ সেই নম্বর যুক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কাস্ট সার্টিফিকেট, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী সহ যাবতীয় প্রকল্পের কাজ হচ্ছে৷ তবে ব্যাঙ্ক নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ ইউবিআই এবং পঞ্জাব ব্যাঙ্ক মার্জ করায় আইএফএসসি নম্বর নিয়ে সমস্যা হচ্ছে৷ অনেকেই বুঝতে পারছেন না কী করতে হবে? ফলে টাকা ঢুকতে সমস্যা হতে পারে৷ সে কারণেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে৷ যাতে মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয়৷  মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়োজনে ক্যাম্পের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে৷ কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড় করবেন না৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন, UPSC-র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মমতার

বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন, UPSC-র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মমতার

কলকাতা: ইউপিএসসি’র সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায় বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে৷ এই বিষয়ে ১০ নম্বরের উত্তর লিখতে বলা হয় পরীক্ষার্থীদের৷ যা নিয়ে তোলপাড় রাজনীতি৷ বিরোধীরা একযোগে আঙুল তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চেয়ার ছাড়ার পরেও ফিরে এসে দিলেন উত্তর৷ 

আরও পড়ুন- PAC মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল, ‘কারণ’ মুকুল

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের প্রশ্ন সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ অত্যন্ত আপত্তিকর৷ আমি বুঝতে পারছি না ইউপিএসসি’র মতো একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান কী ভাবে এই প্রশ্ন করল? ইউপিএসসি’র প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, এই প্রশ্নপত্র কি বিজেপি’র পার্টি অফিস থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে? ইউপিএসসি’র উচিত তাদের মর্যাদা বজায় রাখা৷ নিরপেক্ষতার জন্যেই ইউপিএসসি-কে সম্মান করা হয়৷ এতদিন পর্যন্ত তারা নিরপেক্ষই ছিল৷ কিন্তু তারা যদি বংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, কৃষক ইস্যু এবং দিল্লির অক্সিজেন সংকট নিয়ে প্রশ্ন করে থাকে, তাহলে কি মনে হয় না ইউপিএসসি বিজেপি’কে সমর্থন করে চলেছে? বিজেপি যা বলছে তাই করছে৷ এই ধরনের প্রশ্ন দেখে আমি স্তম্ভিত৷

মোদীকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘একদিন হয়তো ইউপিএসসি এমন প্রশ্নও করতে পারে, ভারতের একমাত্র নাগরিকের নাম কী?  প্রতিটি প্রকল্পে তাঁর নাম রয়েছে৷ স্বর্গ থেকে পাতাল তাঁর নাম৷ তারা কি গণতন্ত্রকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে? ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে ভাঙতে চাইছে? ভারতের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চাইছে? মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে৷’’  

আরও পড়ুন- আবার বেড়ে গেল রাজ্যের করোনা বিধিনিষেধ! নাইট কার্ফু কিছুটা শিথিল

তাঁর কথায়, ভোটের আগে সিআরপিএফ পাঠানো হয়েছিল বুথ দখল করতে৷ শীতলকুচি তার বড় প্রমাণ৷ এই ইস্যুগুলি তোলা হচ্ছে না কেন? বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে সফররত কিছু সাংবাদিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁরা দিদির সমর্থক না মোদীর? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা কোন ধরনেক গণতন্ত্র? তাঁর সাফ কথা, বাংলায় কোনও ভোট পরবর্তী হিংসা হয়নি৷ ত্রিপুরা, অসমে কী হচ্ছে, সেটা আগে দেখুক৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাংবাদিক হলে কী করতেন মমতা? জবাব দিলেন নিজেই

সাংবাদিক হলে কী করতেন মমতা? জবাব দিলেন নিজেই

কলকাতা:  করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ৷ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সংক্রমণ একটু কমার পর নবম থেকে দ্বদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হয়েছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় তা ফের বন্ধ হয়ে যায়৷ সম্প্রতি বেশ কিছু রাজ্যে স্কুল খোলা হয়েছে৷ আরও কেয়কটি রাজ্য এই মাসেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু বাংলায় কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছিল৷ বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে সেই ইঙ্গিতই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- টিকা নিয়ে বৈষম্য করছে কেন্দ্র, সীমান্তবর্তী বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক, দাবি মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর পর স্কুল কলেজ খোলার ভাবনা চিন্তা চলছে৷ পর্যায়ক্রমে এক দিন অন্তর স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ কিন্তু কোন ক্লাসের পড়ুয়াদের ডাকা হবে স্কুলে? এই প্রশ্নের জবাব মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখনও বাচ্চা জন্মালই না, অন্নপ্রাশনের তারিখ ঠিক করে ফেলতে চাইছেন৷ এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ আমি সাংবাদিক হলে এটা নিয়ে ১০ পাতা লিখ ফেলতে পারতাম৷’’ 

আরও পড়ুন- বিজেপি রাজ্যে বেশি টিকা! বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মোদীকে পত্রাঘাত মমতার

দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে স্কুল খোলার দাবি উঠছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷ মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘নিয়ম-নীতি চলুক, পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন শুরু হোক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র। এভাবে বছরের পর বছর চলতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।’’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

টিকা নিয়ে বৈষম্য করছে কেন্দ্র, সীমান্তবর্তী বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক, দাবি মমতার

টিকা নিয়ে বৈষম্য করছে কেন্দ্র, সীমান্তবর্তী বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক, দাবি মমতার

কলকাতা:  তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় উদ্বেগে রাজ্য৷ গ্লোবাল এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে ভ্যাকসিন নিয়ে৷ কমিটির এক সদস্য বলেন, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ যতক্ষণ না ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও ঢেউ প্রতিরোধ করা মুশকিল৷ তার উপর নতুন মিউট্যান্ট আসার সম্ভাবনাও বেশি৷ যে পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তাতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন আগামী বছর জুনের আগে সম্ভব নয়৷ ধরে নিতে হবে ব্যতিক্রম না হবে ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে না৷

আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউ রুখতে দাওয়াই গ্লোবাল এক্সপার্ট টিমের, স্কুল খোলার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে কি রাজনীতি হচ্ছে না? অভিজিৎবাবু মনে করলেন পর্যন্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন না হওয়াটাই মূল সমস্যা৷ তবে অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় কম ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলা৷ এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুজরাত আমাদের থেকে অনেক ছোট রাজ্য৷ তারা অনেক বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে৷ কেউ টিকা পেলে আমার আপত্তি নেই৷ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটকও অনেক বেশি পেয়েছে৷ কিন্তু জনঘনত্বের বিচারে কম ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলা৷ লাইন দিয়েও লোকে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না৷ কারণ কেন্দ্র পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না৷ তাই কোন এলাকায় কতটা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেটা জেনে লাইনে দাঁড়ানোর পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

মুখ্যমন্ত্রী আরও  জানান, গুজরাত ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছে৷ সেখানে বাংলা পেয়েছে মাত্র ১.৯৩ কোটি ভ্যাকসিন৷ গুজরাতের জনসংখ্যা ৪ কোটি৷ বাংলার জনসংখ্যা সখানে ১১ কোটি৷ তাঁর কথায়, ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয় কেন্দ্রের৷ গুরুত্ব ও জনসংখ্যা বিচার করে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক৷ তিনি বলেন, বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য৷ তাই গুরুত্ব দেওয়া হোক এরাজ্যের টিকাকরণে৷  রাজ্যের হাতে ভ্যাকসিন কেনার কোনও ক্ষমতা নেই৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তৃতীয় ঢেউ রুখতে দাওয়াই গ্লোবাল এক্সপার্ট টিমের, স্কুল খোলার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

তৃতীয় ঢেউ রুখতে দাওয়াই গ্লোবাল এক্সপার্ট টিমের, স্কুল খোলার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য৷ গ্লোবাল এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে কোভিডের আসন্ন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পর নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ কমিটির কাছ থেকে পেয়েছি৷ যার জেরেই ৩৩ শতাংশ থেকে ১.৫৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে আক্রান্তের হার৷

আরও পড়ুন- ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা ক্ষতিপূরণ পেল না কেন? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যেই ৬৫টি বৈঠক করেছে এই টিম৷ আজ ছিল ৬৬ তম বৈঠক৷ এই গ্লোবাল কমিটি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে৷ শুধুমাত্র এই বৈঠক করার জন্যেই আমেরিকা থেকে এসেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অভিজিৎবাবু বলেন, অক্সিজেন থেকে অক্সিমিটার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন রাজ্য সরকার৷ গ্রামে গ্রামে টেস্টিং হচ্ছে৷ প্রেসের কাজ হবে সকলের কাছে এই খবরটা পৌঁছে দেওয়া৷ যাতে কারও শ্বাসকষ্ট বা কোনও সমস্যা হলেই চিকিৎসা করায়৷ দেরীতে চিকিৎসা হলেই সমস্যা বাড়ে৷ বহু মানুষকে প্রিশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷ 

এদিকে সামনেই উৎসব৷ অভিজিৎবাবু বলেন, গত বছর নির্দিষ্ট বিধি নিষেধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷ যেটা সুন্দরভাবে লাগু করেছিল সরকার৷ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল হাইকোর্ট৷ এবারও তেমনই কিছু করা হবে৷ তবে এখনও নির্দিষ্ট প্রোটোকল তৈরি করা হয়নি৷ পাশাপাশি স্কুল কলেজ খোলার প্রসঙ্গে অভিজিৎবাবু বলেন, এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷  এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর পর স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা চলছে৷ পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ খোলার চেষ্টা করা হবে৷   

পুজোর পর রোটেশনে স্কুল-কলেজে পঠন-পাঠন শুরু করার যে চিন্তা ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তাকে সাধুবাদ জানালেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম-নীতি চলুক, পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন শুরু হোক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র। এভাবে বছরের পর বছর চলতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।’’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফের ধাক্কা উচ্চ প্রাথমিকে, কারা মামলা করছে? চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

ফের ধাক্কা উচ্চ প্রাথমিকে, কারা মামলা করছে? চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: ফের হোঁচট খেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা৷ সেই তালিকায় গুচ্ছ অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা৷ এই ঘটনায় বেজায় চটলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- কোষাগারের টাকায় টিকা কিনেছে রাজ্য, সেকথা জানেন? নাম করে দিলীপকে তোপ মমতার

এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, যখনই নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তখনই মামলা করা হচ্ছে৷ যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা অন্যায় করছে৷ আদালতে যে কেউ মামলা করতে পারে৷ কিন্তু এতগুলো প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা উচিত নয়৷ ৩-৪ বছর ধরে ছেলেমেয়েদের নিয়োগ হচ্ছে না৷ কারা এই মামলা করছে? এঁরা কি সমাজের বন্ধু? তিনি আরও বলেন, একই রকম কাণ্ড হচ্ছে খাদ্য দফতরেও৷ যখন কোনও রেশন দোকানকে দুর্নীতির অভিযোগে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে, তখনই তারা রক্ষাকবচ নিয়ে চলে আসছে৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দয়া করে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথাটা বিবেচনা করুন৷ তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, এখন কিছু রাজনৈতিক নেতা কোর্ট বাবু হয়েছেন৷ এখানে আদালতের কোনও দোষ নেই৷ কিছু রাজনৈতিক নেতা এই কাজ করছে৷ এরা হিংসুটে৷  যদিও দিলীপ ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, চাকরি দিতে পারবে না বলে মামলা করছে তাঁদেরই লোক৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কোষাগারের টাকায় টিকা কিনেছে রাজ্য, সেকথা জানেন? নাম না করে দিলীপকে তোপ মমতার

কোষাগারের টাকায় টিকা কিনেছে রাজ্য, সেকথা জানেন? নাম না করে দিলীপকে তোপ মমতার

কলকাতা:  টিকা নিয়ে বিজেপি’র নিশানায় রাজ্য সরকার৷ টিকাকরণ ঠিক মতো হচ্ছে না বলে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ৷ এদিন নবান্ন থেকে নাম না করে পাল্টা তোপ দাগলেন মমতা৷ বললেন, কিছু কিছু নেতা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন৷ মনে রাখবেন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ২.১৭ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ আমরা ১.৯৯ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছি৷ তার মধ্যে ১.৯০ কোটি ডোজই আমরা দিয়ে দিয়েছি৷ 

আরও পড়ুন- ‘দুষ্টু লোকেরা’ প্রতারণা করতে পারে! সকলকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের হাতে ভ্যাকসিন নেই৷ সে কারণেই আজ ও আগামীকাল শুধুমাত্র কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷ উত্তর প্রদেশ যেখানে সাড়ে ৩ কোটি, মহারাষ্ট্র ৩ কোটির উপর, গুজরাত, রাজস্থান এমনকী বাংলার থেকে ছোট রাজ্যও অনেক বেশি ভ্যাকসিন পাচ্ছে, সেখানে বাংলা পাচ্ছে মাত্র ১.৯৯ কোটি৷  ভ্যাকসিন না দিয়ে বাংলাকে শুধু বদনাম করার চেষ্টা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দেওয়া হয়নি৷ ২.১৭ কোটি টিকা আমারা কোথা থেকে দিলাম সেটা তো জানতে চাইলেন না? 

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রত্যাহার কেন? DG-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ট্রেজারি থেকে ৫৯ কোটি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে৷ আগেই বলা হয়েছিল, কেন্দ্র না দিলে আমরাই টিকা কিনব৷ সেই মতোই টিকা কেনা শুরু হয়েছিল৷ সরাসরি উৎপাদকদের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ ডোজ কেনা হয়েছিল৷ যে টিকা হাতে এসেছে, তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলা৷ কিন্তু টিকা হাতে না থাকলে কিছু করার নেই৷ তিনি জানান, ২.১৭ লক্ষের মধ্যে ৪০ লক্ষ ডোজ হকার, সবজি বিক্রেতা, গাড়ির চালক সহ গরিব বস্তি এলাকার মানুষদের দেওয়া হয়েছে৷ রাজনৈতিক দলগুলি খালি সমালোচনা করে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজ করছে৷ যাঁরা ভুয়ো ক্যাম্প নিয়ে কথা বলছেন, তাঁরা ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে কী বলবেন? যখন হিংসার ভিডিয়ো সাজানো হয় তখন কী হয়? 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লাগবে না গ্যারান্টার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, অনুমোদন মন্ত্রিসভায়

লাগবে না গ্যারান্টার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, অনুমোদন মন্ত্রিসভায়

কলকাতা:  বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটে জিতলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করবেন৷ প্রতিশ্রুতি মাফিক আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ করা হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন ঘোষণা

এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তার জন্যই এই প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে৷ সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না অভিভাবকদের৷ রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে৷ ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে৷ এই টাকা স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশা ভিত্তিক কোর্স, ডিপ্লোমা, গবেষণারত ছাত্রছাত্রীদের খরচের জন্য দেওয়া হবে৷ এই প্রকল্পের বিশেষতা হল, এখানে গ্যারেন্টার হবে সরকার৷ ফলে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে কোনও গ্যারেন্টার নিয়ে যেতে হবে না৷ 

মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা রাজ্যের বাসিন্দা, অন্তত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেছেন তাঁরা সকলেই স্নাতক, স্নাতকোত্তর থেকে পেশাদারী বা ডিপ্লোমা কোর্স, ডক্টরাল ও পোস্ট ডক্টরাল কোর্সের জন্য ভারতে বা বিদেশে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে৷ ৪০ বছয় বয়স পর্যন্ত এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা মিলবে৷ চাকরি পাওয়ার এক বছর পর এই লোন পরিষোধ করা শুরু করতে হবে৷ তাঁর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের গর্ব হয়ে উঠবে এই ক্রেডিট কার্ড৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলায় কোনও হিংসা নেই, সবটাই বিজেপি’র গিমিক, দাবি মমতার

বাংলায় কোনও হিংসা নেই, সবটাই বিজেপি’র গিমিক, দাবি মমতার

কলকাতা:  রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সরব গেরুয়া শিবির৷ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ এমনকী এই বিষয়ে শুভেন্দুর নালিশ শোনার পরেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন জগদীপ ধনকড়৷ এর আগে বিভিন্ন কমিশনে চিঠি দিয়েও রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার কথা জানানো হয়েছে৷ তবে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, রাজ্যে কোনও হিংসা নেই৷   

আরও পড়ুন- ‘বাচ্চা হলে বুকে চুপ করানো যায়!’ রাজ্যপালকে বেনজির কটাক্ষ মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কেউ যে কোনও রাজ্যে যেতে পারে৷ তবে তাঁদের আগে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে যাওয়া উচিত ছিল৷ যেখানে নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে কোভিড রোগীদের রেকর্ড রাখা হচ্ছে না, যেখানে মক টেস্ট করতে গিয়ে ২২ জন রোগীকে মরতে হয়, যেখানে হাথরাসের মতো ঘটনা হয়, সেখানে না গিয়ে তাঁরা বাংলায় আসছে৷ বাংলায় হারার পরেও তাঁদের লজ্জা নেই৷ তাঁর কথায়, বিজেপি এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করায়৷ এটাই ওঁদের স্বভাব৷ এগুলো সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ ভোটের পর বাংলায় কোনও অশান্তি হয়নি৷ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোট চলার সময় রাজ্যে অশান্তি হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে৷ তবে সহটাই রাজনৈতিক হিংসা নয়৷ কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সংঘাতও ছিল৷ আমি কোনও দিনই হিংসার পক্ষে নই৷ এই ধরনের যে কোনও ঘটনা কড়া হাতে দমন করার নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপি যে হিংসার কথা বলছে, তেমন হিংসা বাংলায় হয়নি৷ দু-একটা ছোট ঘটনা ঘটেছে৷ তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ আমরা হিংসাকে নিন্দা করি৷ বাংলায় কোনও হিংসা হয়নি৷ সবটাই বিজেপি’র গিমিক৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

খুলছে না লোকাল ট্রেন-মেট্রো, বন্ধ থাকবে বাসও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

খুলছে না লোকাল ট্রেন-মেট্রো, বন্ধ থাকবে বাসও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা:  করোনা বিধিতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলেও খুলছে না স্কুল, কলেজ, অঙ্গলওয়াড়ি কেন্দ্র সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ একই ভাবে বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন, মেট্রো ও বাস পরিষেবা৷ তবে আগের মতোই চলবে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন৷ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত অযথা বেরনো যাবে না৷ ১ জুলাই পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে৷ 

আরও পড়ুন- বাড়ছে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়, টিকা নিলে অনুমতি পার্কে, ছাড় শ্যুটিংয়ে

রাজ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি৷ তাই ট্রেন খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা৷ রেলের তরফেও রাজ্যকে চিঠি লেখা হয়েছিল৷ তবে এখনই যে লোকাল ট্রেন চালু হবে না তা নবান্ন থেকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷  খুলছে না বাসও৷ বন্ধ থাকবে আন্তপরিবহণ ব্যবস্থা৷ পাশাপাশি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়গনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, বিমানবন্দর, মিডিয়া প্রভৃতি বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া বেসরকারি গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে৷ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদনের জন্য সমাবেশ করা যাবে না৷  

বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, জিম, স্পা এবং সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে৷ বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিতি নয়৷ শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি মানুষ যেতে পারবে না৷ 
তবে ই-কমার্স চলবে৷ হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷ ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত৷ পেট্রোল পাম্প ও এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্রগুলি খোলা থাকবে৷    

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাড়ছে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়, টিকা নিলে অনুমতি পার্কে, ছাড় শ্যুটিংয়ে

বাড়ছে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়, টিকা নিলে অনুমতি পার্কে, ছাড় শ্যুটিংয়ে

কলকাতা: করোনা বিধি কিছুটা শিথিল করল রাজ্য সরকার৷ আগামী কাল শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের কর্যত লকডাউনের মেয়াদ৷ আজ নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নয়া নিয়ম ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব৷  ১৬ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত নয়া নিয়ম কার্যকর থাকবে৷

বলা হয়েছে, মর্নিং ওয়াক এবং শরীর চর্চার জন্য পার্কগুলি খুলতে চলেছে৷ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে৷ তবে টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই মিলবে মর্নিং ওয়াকের অনুমতি৷ নচেত পার্কে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ 

আরও পড়ুন- ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু হচ্ছে সরকারি অফিস, সময় বেঁধে কাজ বেসরকারিতে

এছাড়াও খুরচো বিক্রেতা ও হাট-বাজার নিয়েও নয়া ঘোষণা করা হয়েছে৷ সবজি বাজার থেকে মুদি, দুধ, ডিম, মাছ-মাংসের দোকান খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত৷ এক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে৷ পাশাপাশি অন্যান্য দোকানগুলি খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷ রেস্তোরাঁ, বার এবং হোটেল বেলা ১২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে৷ সেখানে ৫০ শতাংশ লোকের বসার আয়োজন থাকবে৷ শপিং মল ও মার্কেট কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা দোকানগুলিও সকালে ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷ তবে দোকানে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মী রাখা যাবে না৷ পাশাপাশি একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ শপিংমলে ঢুকতে পারবে না৷ দর্শক ছাড়া খোলা যেতে পারে স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস ক্লাব৷

টিভি ও চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ইন্ডোর এবং আউটডোর শ্যুটিং শুরু হতে পারে৷ একটি ইউনিটে ৫০ শতাংশের বেশি অভিনেতা-কর্মী উপস্থিতি থাকবে না৷ এক্ষেত্রেও টিকা নেওয়া, মাস্কের ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু হচ্ছে সরকারি অফিস, সময় বেঁধে কাজ বেসরকারিতে

২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু হচ্ছে সরকারি অফিস, সময় বেঁধে কাজ বেসরকারিতে

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে গত মে মাস থেকে রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ৷ ১৫ জুন দ্বিতীয় দফার মেয়াদ ফুরচ্ছে৷ এর পর কী ভাবে কাজ হবে সরকারি-বেসরকারি অফিসে, নবান্ন থেকে তা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলা হয়েছে, এবার থেকে নির্দিষ্ট ওয়ার্কিং আওয়ারে কাজ হবে সমস্ত সরকারি দফতরে৷ তবে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে৷ এক জন্য নির্দিষ্ট রোস্টার তৈরি করে নেবে সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ৷ অফিসই কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে৷ ১৬ জুন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে৷ 

আরও পড়ুন- ত্রিপল চুরি কাণ্ডে হাইকোর্টে ধাক্কা শুভেন্দুর, মিলল না স্থগিতাদেশ

অন্যদিকে, ১০টা থেকে ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে বেসরকারি ও কর্পোরেট সংস্থাও৷ তবে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে না৷ কর্মীদের যাতা়যাতের ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকেই৷ এর জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ই-পাস নিতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের আমন্ত্রণ! কাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর?

যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের আমন্ত্রণ! কাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর?

কলকাতা: বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হতেই উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করেছে৷ দলবদলুরা ফের দলে ফেরার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ ভোটের মুখে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতা মন্ত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি’তে৷ কিন্তু এবার তাঁরাই উতলা হয়েছেন তৃণমূলে ফিরতে৷ অনেকেই মনে করেছিলেন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হয়তো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ কিন্তু সেই দিন এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ সাংবাদিক বৈঠকে এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে দলত্যাগীদের স্বাগত জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ 

আরও পড়ুন- নিউটাউনে পুলিশের শ্যুটআউট, খতম দুই দুষ্কৃতী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহু তরুণ নেতা মোদীজিকে দেখে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন৷ তাঁরা ঘরে ফিরতে চাইছে৷ তৃণমূলে আসতে চাইছেন বিজেপি’র কিছু পুরনো নেতাও৷ তাঁরা সকলকে এককাট্টা হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে৷ দেশের কৃষক, শ্রমিক, যুব শক্তিকে বাঁচাতে হবে৷ ফেডারাল পরিকাঠামোয় সকল মুখ্যমন্ত্রীকেও একত্রিত হবে৷ যাতে সকলে মিলে লড়াই করতে হবে৷ কোনও রাজ্যকে হয়রান করা হলে যেন সকলে মিলে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে৷  প্রসঙ্গত, দলে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন সোনালী, দিপেন্দুরা৷ আবার বিজেপি’তে বেসুরো শুভ্রাংশু, সব্যসাচী, রাজীব৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিঁধে রাজীবের পোস্ট ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল৷  এই পরিস্থিতিতে তবে কি তাঁদের দলে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা?
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রাজনৈতিক বিপর্যয় চলছে, নোট বন্দির মতো ‘বুলি বন্দি’ করা হচ্ছে, কটাক্ষ মমতার

রাজনৈতিক বিপর্যয় চলছে, নোট বন্দির মতো ‘বুলি বন্দি’ করা হচ্ছে, কটাক্ষ মমতার

কলকাতা: নবান্নে কৃষক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, গত সাত বছর ধরে শুধু খবরদারি আর জবরদস্তি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ কৃষকদের হত্যা করার জন্য কলো আইন এনেছে৷ শিল্প বন্ধ করেছে৷ বেড়েছে বেকারত্ব৷ কেন্দ্রের নীতির জন্য গোটা দেশ ধুঁকছে৷ 

আরও পড়ুন- কী ভাবে টিকা আসবে, কী ভাবেই বা হবে বণ্টন? ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই কৃষক আন্দোলন আরও শক্তিশালী হোক৷ বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন৷ শিল্পক্ষেত্রেও কাজ নেই৷ তার উপর কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন বা অন্যান্য বিধি নিষেধের জেরে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়ে উঠেছে৷ একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্যদিকে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন আমরা৷ কারও কোনও কথা বলার অধিকার নেই৷ কেউ কোনও কথা বললে তাঁর বিরুদ্ধে এজেন্সি লাগানো হয়৷ অফিসারদের জন্যও আইন আনা হয়েছে৷ তাঁদের বলার অধিকার নেই৷ যেমন ভাবে নোট বন্দি করা হয়েছিল, সেই ভাবে ‘বুলি বন্ধ’ করে দেওয়া হচ্ছে৷ গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য বিরোধী দলগুলিকে এগিয়ে আসার আর্জিও জানান তিনি৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফের আসছে দুর্যোগ! ২৬ জুন নিয়ে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর

ফের আসছে দুর্যোগ! ২৬ জুন নিয়ে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা:  ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক দুর্যোগ৷ ১১ এবং ২৬ জুন ফের বড় বাণ আসছে৷ যা নিয়ে ফের উদ্বিগ্ন রাজ্য৷ 

আরও পড়ুন- যশ বিধ্বস্ত পাথরপ্রতিমা-গোসাবায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, বুধে পেশ রিপোর্ট

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতিই পারে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে৷ ক্রংক্রিট দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে অনেক টাকার প্রয়োজন৷ কবে কংক্রিট করা হবে, তারও ঠিক নেই৷ কাঁচা বাঁধ রোজই ভাঙছে৷ তাই প্রকৃতি দিয়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আটকাতে হবে৷

রাজ্যের বিস্তীর্ণ নদী উপকূলবর্তী এলাকায় প্রকৃতির রোশ থেকে দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান খুঁজতে ২৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন ড. কল্যাণ রুদ্র৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যরাও উপদেশ দেবেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যে ভাবে হোক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতেই হবে৷ এর জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যানের প্রয়োজন আছে৷ সুন্দরবন ও দীঘার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে মাস্টার প্ল্যানের কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভরা কোটালের জলের জন্য আম্পানের থেকেও বেশি ক্ষতি হয়েছে যশে৷ এর উপর ১১ এবং ২৬ তারিখ বড় বাণ আসছে৷ ২৬ তারিখের বাণ যশের চেয়েও বড় হতে পারে৷ সে জন্য অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা করতে হবে৷ জলের উপর জল জমবে৷ সেই জল বার করা এত সহজ নয়৷ তাই আগাম সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সেই সঙ্গে তিনি বলেন,  এবার থেকে উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল বসাতে হবে৷ বাণ আসা পর্যন্ত জলের পাউচ দিতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কত দায়িত্ব নেবে সরকার? শ্রমিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করুক সংগঠনগুলি: মমতা

কত দায়িত্ব নেবে সরকার? শ্রমিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করুক সংগঠনগুলি: মমতা

কলকাতা:  নবান্নের সভাঘরে বণিকসভার বৈঠক থেকে টিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, রাজ্য বা দেশের যে কোনও বিপর্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বণিকসভা৷ এই ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি এবার যেন নিজেদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, সেই আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- অধিকারী গড়ে অভিষেক, পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে পাশে থাকার আশ্বাস

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। টিকাটা আপনাদেরই কিনতে হবে। আপনারা ধরে নিন, ওই টিকা আপনারা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন।’’  তবে কী ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সে বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর ঠিক করে দেবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক একটি ভ্যাকসিন দিতে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগছে৷ ইতিমধ্যে ১.৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ সুপার স্প্রেডার গোষ্ঠীকে আগে টিকা দিতে হবে৷ পোস্তা বাজারের কর্মচারী থেকে শুরু করে শ্রমিক, হকার, সবজি বিক্রেতা, মৎস্য বিক্রেতা, গাড়ির চালকদের নিয়ম মাফিক টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে৷ 

এই অবস্থায় তাঁর আর্জি, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি নিজেদের শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে সরকার টিকার ব্যবস্থা করে দিতে পারে৷ রাজ্যের বিপর্যয় তহবিলে টাকা দিলে আমরা সেই টাকা দিয়ে টিকা কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’’ তাঁর কথায়, সরকারের একার পক্ষে সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়৷ এছাড়াও যাঁরা পরিচারক-পরিচারিকার কাজ করেন তাঁদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে৷ রেশন দোকানের কর্মীদের মতো রাইস মিল এবং আটা মিলের কর্মীদেরও বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সেতু তৈরি নিয়ে সেচ দফতরকে ভর্ৎসনা, দীঘার শ্রী ফেরাতে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী

সেতু তৈরি নিয়ে সেচ দফতরকে ভর্ৎসনা, দীঘার শ্রী ফেরাতে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা:  ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড দীঘা৷ দীঘার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ নিজের হাতে ছবি এঁকে বুছিয়ে দিলেন সব কিছু৷  কিন্তু দীঘায় সেতু তৈরি হচ্ছে না কেন? সেচ দফতরকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- আলাপন চ্যাপ্টার ওভার, ওঁর সঙ্গে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে, বার্তা মমতার

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যীয় বলেন, দীঘায় ৭ কিলোমিটার মেরিন ব্রিজ তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ তবে সেচ দফতর একটি সেতু নির্মাণের কাজ বছরের পর বছর ধরে ফেলে রেখে দিয়েছে৷ প্রশ্ন করলেই বলা হয় আগামী ৬ মাসে কাজ হবে৷ এই ৬ মাস কবে শেষ হবে? কেন এই সেতু নির্মাণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ মমতা জানান, দীঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্ব আপাতত সামলাচ্ছেন মুখ্য সচিব৷ তাই তাঁকে দায়িত্ব নিয়ে হাউজিং, আরবান অথবা দীঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটির তরফে ভেঙে যাওয়া দোকানগুলি নতুন করে দিতে হবে৷ যতদিন না দোকান তৈরি হচ্ছে ততদিন বিক্রেতাদের ট্রলি দেওয়া হবে৷ যাতে আপাতত তাঁরা ব্যবসা করতে পারে৷ তবে মন্দারমনি প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সেখানকার হোটেলগুলি ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী মালিকরাই৷ সাগরের মধ্যে প্রায় ঢুকে গিয়েছেন তারা৷ নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরুর আগে সেচ দফতর বলে দেবে কতটা জায়গা ছেড়ে কাজ হবে৷ 

দীঘার সৌন্দর্যায়ন পুনরুদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই, সাগর পাড়ে কিছু পাথর ফেলতে হবে৷ যেখানে মানুষ বসে গল্প করে৷ কিন্তু ৪-৫ বছর ধরে সেচ দফতরের গাফিলতির সেখানে সেতু তৈরি হচ্ছে না৷ তিনি জানান, জলের ধাক্কায় সাগর পাড়ের চেয়ারগুলিও উড়ে গিয়েছে৷ তাই সেখানে পাথরের চেয়ার বসানোর উপড়েও জোড় দেন তিনি৷ যাতে উড়ে যেতে না পারে৷ এছাড়া বিশ্ব বাংলার দোকানও নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ কিছু বোল্ডারও নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ কোথায় কী করতে হবে, সবটাই ছবি এঁকে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আলাপন চ্যাপ্টার ওভার, ওঁর সঙ্গে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে, বার্তা মমতার

আলাপন চ্যাপ্টার ওভার, ওঁর সঙ্গে সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে, বার্তা মমতার

কলকাতা:  কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের মধ্যে ৩১ মে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরেই মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়৷ তবে আজ সন্তর্পনে আলাপন প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  বললেন, ‘আলাপন চ্যাপ্টার ওভার নাও৷’

আরও পড়ুন- আম্পানে উপরে পড়া গাছ কোথায়? ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য৷ তাতে সিলমোহরও দেয় কেন্দ্র৷ কিন্তু পরে তাঁকে দিল্লি তলব করা হয়৷ নর্থ ব্লকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য৷ এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়৷ তলে চিঠি-চাপাঠি৷ এর পরেই অবসর নিয়ে নেন আলাপন৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপালন চ্যাপ্টার ওভার৷’ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কথা না বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলব না৷ উনি অবসর নিয়ে নিয়েছেন৷ কিন্তু ওঁনার সঙ্গে যা হচ্ছে, তাতে সরকার ওঁনাকে পূর্ণ সমর্থন জোগাবে৷’’   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলায় ফের দুর্যোগের ভ্রূকুটি, ২৬ জুন নিয়ে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় ফের দুর্যোগের ভ্রূকুটি, ২৬ জুন নিয়ে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: আম্পানের পর যশ৷ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত বাংলা৷ তার উপর ফের আসছে ভরা কোটাল৷ তার আগে আগাম সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- বিধানসভায় হেরেও সংসদে ফিরছেন স্বপন দাশগুপ্ত! পেলেন সাংসদপদ

এদিন নবান্নের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছরই বাঁধ সারানো হচ্ছে৷ প্রতি বছরই তা ভেঙে যাচ্ছে৷ প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা জলে চলে গেলে জলকে বাঁধব কী ভাবে? তাঁর কথায়, যেখানে বাঁধ ভেঙে যাবেই, সেখানে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে৷ পরিবেশ দফতর থেকে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছে৷ আরও গাছ লাগানো হবে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়ক হবে৷ পাশাপাশি আম্পানে যে গাছগুলো উদ্ধার হয়েছিল সেগুলো কথায় গেল? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সকল জায়গায় নদীর ভাঙন হয় সেই সকল জায়গায় ওই মোটা গাছগুলোকে লাগানো গেলে অনেকটাই ভাঙল আটকানো সম্ভব৷ ওই গাছগুলো কোথায় গেল মুখ্য সচিবকে তা দেখার নির্দশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ৩ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেন৷  

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সামনেই দুটো বান আছে৷ ১১ জুন এবং ২৬ জুন৷ ১১ জুন যে বানটা আসবে সেটা বড় নয়৷ তবে বৃষ্টির উপর বান এলে তা বড় হয়ে যায়৷ তবে ২৬ জুন বড় বান আসছে৷ ফের ভরা কোটাল হবে৷ তার আগেই অবশ্যই গাছ বসাতে হবে৷ ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির জলও এখানে ঢোকে৷ সেই দিকে নজর রাখতে হবে৷ বাঁধের জল ছাড়ার উপরেও নজর রাখা হচ্ছে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আজই অবসর,এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন, মুখ্যসচিব পদে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী

আজই অবসর,এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন, মুখ্যসচিব পদে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী

কলকাতা:  আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি তলব নিয়ে রণংদেহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চেনা মেজাজে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি৷ এদিকে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে আজই অবসর নিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরেই নবান্ন থেকে রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিবরে নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান এই পদে দায়িত্ব সঁপা হবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে৷ নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন বিপি গোপালিকা৷ সেই সঙ্গে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করলেন তিনি৷ আগামীকাল থেকেই নতুন পদে দায়িত্ব নেবেন আলাপন৷ 

আরও পড়ুন- ‘কোথায় গেল ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ’? ৪ দিন পর নতুন তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন আলাপনের বদলি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘‘রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম পরামর্শ না করেই মুখ্যসচিবকে বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর আর কিছুই নয়৷  কেন এটা করা হল? আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন না তাই? নাকি আপনারা হেরে গিয়েছেন বলে? আপনারা জানেন, আপনারা বাংলার কোথাও নেই৷ আপনারা জনগণের নির্দেশকেও সম্মান করেন না৷’’ 
 

মমতা বলেন, ‘‘ইচ্ছে করলে মেয়াদ বাড়িয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যসচিব পদে রেখে দিতে পারতাম। কেন্দ্র কিছু বলতে পারত না। কিন্তু, আমরা সেটা করিনি। আলাপনের সিদ্ধান্ত, উনি অবসর নিতে চান। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মমেয়াদ ৩ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল৷ গত ২৪ মে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্সটেনশনে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র৷ মুখ্যসচিব হিসাবেই এই এক্সটেনশন দেওয়া হয়৷ এর পর ২৮ মে রাত্রে হঠাৎ করেই এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে দিল্লি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ 

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি, অসাংবিধানিক৷ তিনি বলেন, আমি জানি না তাঁদের রাজনৈতির উপদেষ্টা কে? কারা এই উপদেশ দিচ্ছে৷ কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে৷ একজন আইএএস অফিসারকে অপমান করা হচ্ছে৷ কী ভাবে একজন আমলাকে হেনস্থা করে হল তা ইতিহাসে লেখা থাকবে৷ এরকম নির্দয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখিনি। এটা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একার লড়াই নয়, এটা সমস্ত আমলাদের লড়াই। আমরা মানুষের স্বার্থে আলাপনের এক্সটেশন চেয়েছিলাম৷ তাই এবার থেকে করোনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাকে সাহায্য করবেন উনি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘কোথায় গেল ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ’? ৪ দিন পর নতুন তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর

‘কোথায় গেল ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ’? ৪ দিন পর নতুন তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা:  ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামে৷ ভেসে গিয়েছে মাঠের পর মাঠ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে ম্যানগ্রোভ প্রসঙ্গ৷ কিন্তু এটা কী? ম্যানগ্রোভ নিয়ে দু’দিন দু’রকম তথ্য দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী!  

আরও পড়ুন- নারদ মামলা ভিন রাজ্যে সরানো হবে? কোন দিকে ঘুরছে নারদ মামলা?

এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন অঞ্চলে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হয়েছিল বলেই অনেকটা ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে৷ তিনি জানান, এর জন্য ৬ কোটি খরচ হলেও অনেকটা জায়গা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে৷ তবে আগামী দিনে সুন্দরবন তো বটেই উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া মিনাখা থেকে শুরু করে সন্দেশখালির দিকেও ম্যানগ্রোভের সংখ্যা বাড়তে হবে৷ এছাড়াও গোসাবা, পাথরপ্রতিমার দিকেও ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ফাঁকা জায়গা নয়, যেখানে লোকালয় রয়েছে সেই জায়গাগুলি সার্ভে করতে হবে৷ পাশাপাশি মোটা ঘাস, যার সাহায্যে গঙ্গার ভাঙন রোখা যায়, সেই ঘাসও লাগাতে হবে৷   

আরও পড়ুন- কী ভাবে হবে ত্রাণ বণ্টন? নবান্ন থেকে সাফ বার্তা মমতার

অথচ গত ২৭ এপ্রিল নবান্নের বৈঠকে এই ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো নিয়েই পরিবেশ ও বন দফতরকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘প্রতি বছরই দুর্যোগ আসছে৷ এই দুর্যোগ মোকাবিলার টাকা কোথা থেকে পাবে সরকার? আমরা মানুষকে সহায্য করব৷ কিন্তু টাকা জলে ঢালব না৷ সেক্ষেত্রে বিকল্প পথে এগোতে হবে৷ এর পরেই মেজাজ হারিয়েই তিনি বলেন, আগের বারেও গাছের কথা বলেছিলাম৷ ৫ কোটি ম্যাগ্রোভ পোঁতার কথা ছিল৷ কত গাছ পুঁতেছে পরিবেশ দফতর ও বন দফতর? আগের বারে যে বড় বড় ভাষণ দিল তার কী হল? সুন্দরববনে যে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ ও ঘাসের গাছ পোঁতার কথা ছিল সেটা কী হল? ওই ঘাস দিয়ে নদীর ভাঙন আটকানো সম্ভব৷ সরকারের টাকা সস্তা নয়৷’’ কিন্তু আজ তার মুখে শোনা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কী ভাবে হবে ত্রাণ বণ্টন? নবান্ন থেকে সাফ বার্তা মমতার

কী ভাবে হবে ত্রাণ বণ্টন? নবান্ন থেকে সাফ বার্তা মমতার

কলকাতা:  ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ক্ষকিগ্রস্ত হয়েছে বহু মানুষ৷ বর্তমানে ১,২০০টি ক্যাম্প চলছে৷ ২ লক্ষ মানুষ এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ৷ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আম্পানের পর ত্রাণ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ যশ পরিবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে তাই অতি সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী৷  

আরও পড়ুন- কিছুটা শিথিল বিধি নিষেধ, কীসে ছাড়?

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প প্রতিটি ব্লকে হবে না৷ যে সকল জায়গায় ঘূর্ণিঝড় যশ, টর্নেডো বা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শুধুমাত্র সেই সকল জায়গাতেই দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প হবে৷ ক্ষতিগ্রস্তরা নিজের হাতে লিখিত ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে আবেদন জমা দেবেন৷ প্রত্যেককে নিজ নিজ আবেদন জমা দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, শহরাঞ্চলে এসডিও অফিস ও গ্রামাঞ্চলে বিডিও অফিসে এবং গ্রামপঞ্চায়েতে যে দুয়ারে ক্যাম্প হবে সেখানে এই আবেদন জমা দিতে হবে৷ কোনও পুরসভা বা গ্রামসভার অফিসে ত্রাণ ক্যাম্প হচ্ছে না৷ জেলাশাসকরা স্কুল-কলেজে ক্যাম্পের জায়গা ঠিক করবেন৷ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গোসাবার বিধায়ক কোভিড আক্রান্ত৷ তিনি কাজ করতে পারছেন না৷ সে কারণে গোসাবায় ত্রাণের কিছু সমস্যা হচ্ছে৷ সেখানে জলও জমে রয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে গোসাবায় এসপিদের সঙ্গে কথা বলে জেলাশাসকদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে৷ খাবার জল থেকে খাবার, কোনও পরিষেবার যেন অভাব না হয়, সাফ নির্দেশ তাঁর৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কিছুটা শিথিল বিধিনিষেধ, কীসে ছাড়?

কিছুটা শিথিল বিধিনিষেধ, কীসে ছাড়?

 

কলকাতা:  করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বেড়েছে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ৷ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধের ভিত্তিতে কিছুটা বদল করা হচ্ছে বিধিনিষেধে৷ আংশিক ছাড় দেওয়া হচ্ছে খুচরো দোকানকে৷ 

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়াদের ফেরাতে কমিটি গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শাড়ি ও সোনার দোকান ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল৷ এর সঙ্গে যুক্ত হল খুচরো দোকনগুলি৷ এই সময়ের মধ্যে খোলা থাকবে খুচরো দোকানগুলি৷ অর্থাৎ খোলা থাকবে বইয়ের দোকান, পাড়ার মুদির দোকান৷ পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে বলেও জানান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কোনও নির্মাণ সংস্থা তার কর্মীদের টিকা দিয়ে কাজে নিয়োগ করে সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই৷ সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রেখে ও মাস্ক পরে তাঁদের কাজ করতে হবে৷ 
 

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৮৪ জন৷  করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৪১০ জন। গত ১ দিনে মৃত্যু হয়েছেন ১৪২ জন করোনা আক্রান্তের। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯১.৯৩ শতাংশ। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যত লকডাউন জারি করে রাজ্য সরকার। এর সুফল মিলেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷  প্রতিদিনই কিছুটা কমছে সংক্রমণ। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বলতে গিয়ে ধরে এল গলা, প্রধানমন্ত্রী পা ধরতেও রাজি, অন্য রূপে মমতা!

বলতে গিয়ে ধরে এল গলা, প্রধানমন্ত্রী পা ধরতেও রাজি, অন্য রূপে মমতা!

 

কলকাতা: শুক্রের বারবেলা থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা৷ কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এড়ানো থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি তলবকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনীতির পারদ৷ এরই মধ্যে আজ দীঘা থেকে ফিরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গতকালের সম্পূর্ণ ঘটনার ব্যাখ্যা দেন তিনি৷ জানান বৈঠক এড়ানোর কারণ৷ এরই মাঝে কথা বলার সময় গলা ধরে আসে তাঁর৷ যে চেনা মেজাজে বরাবর ধরা দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই রূপে তাঁকে দেখা গেল না আজ৷ 

আরও পড়ুন- গুজরাতে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়না, বাংলায় কেন? শুভেন্দুকে নিয়ে আপত্তি মমতার

বিরোধী দলনেত্রী হিসাবে তিনি যখন হয়ে উঠেছিলেন বাংলার অগ্নিকন্য, তখন তো বটেই৷ এমনকী দশ বছরের শাসনকালেও এতটা সুর নরম করতে শোনা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ বারবার নিজের আক্রমণাত্মক রূপই তুলে ধরেছেন তিনি৷ তবে  এদিন চেনা ভঙ্গীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাননি মমতা৷ বরং তিনি বলেন, বাংলার জন্য, বাংলার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পা’ও ধরতে তৈরি তিনি৷ আবেগঘন হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গতকাল থেকে একতরফা দিল্লির নেতারা যে ভাবে আমাকে অসম্মান করেছে তাতে আমি ব্যথিত৷ মিথ্যে খবরের উপর ভিত্তি করে আমাকে অপমান করা হয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমারা ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় কাজ করছিলাম৷ কী ভাবে মানুষ জল পায়, খাদ্য পায়, কী ভাবে রাস্তা করা যায়, কী ভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় তার জন্য মিটিং করছিলাম৷ আর ওঁরা তখন এটা প্রমাণ করতে ব্যস্ত ছিল যে, আমরা কতটা খারাপ৷’’  

আরও পড়ুন- ‘নোংরা খেলা খেলবেন না’, বাংলার মানুষের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও’ রাজি মমতা

সুর নরম করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আপনাদের কাছে নমস্কার করে বলব,  প্রধানমন্ত্রী স্যার আমার উপর আপনার যদি কোনও রাগ থাকে, আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, তাহলে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ বাংলার জন্য, মানুষের জন্য আমি তাও করতে পারি৷ কারণ মানুষই আমার কাছে আগ্রাধিকার৷ কিন্তু দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না প্রধানমন্ত্রী৷’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গুজরাতে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়না, বাংলায় কেন? শুভেন্দুকে নিয়ে আপত্তি মমতার

গুজরাতে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়না, বাংলায় কেন? শুভেন্দুকে নিয়ে আপত্তি মমতার

কলকাতা:  শুক্রবার যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা এড়িয়ে যান মমতা৷ যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজনীতির প্রাঙ্গনে৷ আজ নবান্ন থেকে গতকালের বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন তিনি৷  

আরও পড়ুন- ‘নোংরা খেলা খেলবেন না’, বাংলার মানুষের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও’ রাজি মমতা

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আমার সফরসূচি আগেই ঘোষণা করেছিলাম৷ তার পরে প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ পরে আমরা জানিতে পারি প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাংলায় আসছেন৷ ওডিশা থেকে বাংলায় আসবেন এবং কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন৷  প্রধানমন্ত্রীর সম্মনার্থে তাঁর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট তুলে দিই৷ আমার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আগেও আমার সফর সঙ্গী হয়েছিলেন, কারণ উনি প্রশাসনিক প্রধান৷

মমতা আরও বলেন, প্রথমে বলা হয়েছিল কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে৷ কিন্তু পরে বলা হয় সেখানে থাকবেন রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু ওই বৈঠকে বিজেপি’র সবাই থাকবে আর আমি একা৷ আর ওই বৈঠক পিএম-সিএম মিটিং ছিল না৷ পরে আমরা ভাবি প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্যে আসছেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করা আমাদের সৌজন্য৷ সে কারণেই মুখ্য সচিবরকে নিয়ে তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে ঘরে যাই৷  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি৷ তাঁকে জানাই আমরা ঘূর্ণিঝর বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কালাইকুণ্ডায় এসেছি৷  আবহাওয়া ভালো নয়৷ এখান থেকে আমাদের দীঘায় যেতে হবে৷ এর পরেই মুখ্যসচিবকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিই৷ তিনি তা গ্রহণও করেন৷ এর পরে তাঁর অনুমতি নিয়ে আমরা সেখান থেকে রওনা হই৷ এখানে আমাদের ভুল কোথায়? আমরা বৈঠকে যোগ দিইনি কারণ, ওটা পিএম-সিএম বৈঠক ছিল না৷ অন্য কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকে না৷ তাহলে বাংলা থাকবে কেন?   প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত সপ্তাহে আপনি গুজরাতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে কেন বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না? ওডিশাতেও বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি৷ কিন্তু আমার রাজ্যে ডাকা হল কেন? এমনকী আমার শপথ নেওয়ার এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হল রাজ্যে৷ শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পাঠানো হল৷ কেন্দ্রীয় নেতা পাঠানো হল৷ রাজ্যপাল আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলেন৷  এত বৈষম্য কেন? প্রশ্ন তাঁর৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘নোংরা খেলা খেলবেন না’, বাংলার মানুষের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও’ রাজি মমতা

‘নোংরা খেলা খেলবেন না’, বাংলার মানুষের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও’ রাজি মমতা

কলকাতা:  আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি তলব নিয়ে ফের শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর৷ দীঘা থেকে কলকাতায় ফিরেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গতকাল থেকে যা যা ঘটে চলেছে তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি৷ এমনকী গলাও ধরে এল তাঁর৷  

আরও পড়ুন- ‘আমাদের ভুলটা কোথায়? ওটা PM-CM মিটিং ছিল না’, গতকাল কালের ঘটনা ব্যাখ্যা মমতার

এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গতকাল একতরফা দিল্লির নেতারা যে ভাবে আমাকে অসম্মান করেছে তাতে আমি ব্যথিত৷ মিথ্যে খবরের উপর ভিত্তি করে আমাকে অপমান করা হয়েছে৷’’ তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই খবরগুলো খাওয়ানো হয়৷ মন্ত্রীদের দিয়েও তোতাপাখির বুলির মতো এগুলো বলানো হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমারা ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় কাজ করছিলাম৷ কী ভাবে মানুষ জল পায়, খাদ্য পায়, কী ভাবে রাস্তা করা যায়, কী ভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় তার জন্য মিটিং করছিলাম৷ আর ওঁরা তখন এটা প্রমাণ করতে ব্যস্ত ছিল যে, আমরা কতটা খারাপ৷’’ 

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আপনাদের কাছে নমস্কার করে বলব, প্রধানমন্ত্রী স্যার আমার উপর আপনার যদি কোনও রাগ থাকে, আপনার দুটো পা ধরলে যদি আপনি খুশি হন, তাহলে আমার কোনও অসুবিধা নেই৷ বাংলার জন্য, মানুষের জন্য আমি তাও করতে পারি৷ কারণ মানুষই আমার কাছে আগ্রাধিকার৷ কিন্তু দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না প্রধানমন্ত্রী৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্য সচিবর বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক প্রতিশোধের পথ নেওয়া হয়েছে, তা শেষ হোক৷ আমি আবেদন জানাচ্ছি৷ আপনি দয়া করে এই চিঠি প্রত্যাহার করে নিন এবং মুখ্যসচিবকে কোভিড আক্রান্ত মানুষ এবং ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত মানুষের জন্য কাজ করতে দিন৷’’ 

আরও পড়ুন- জামিন পেয়েই ময়দানে ফিরহাদে, জোর টিকাকরণে, থাকলেন ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে

ধরা গলায় মমতা বলেন, ‘‘আমরা দিন রাত জেগে যখন কাজ করছি তখন এটা কি একজন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ হল? একটা সরকারকে সমালোচনা করাই কি তাঁদের কাজ? অন্য রাজ্যগুলিকে তো কিছু বলা হয় না৷ তাহলে বাংলার উপর এত রাগ কেন? আপালন বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি বলেই কি এত রাগ?’’ তিনি বলেন, আমার বাঙালি-অবাঙালি করি না৷ বাংলারও অনেক অফিসারও দিল্লিতে আছে৷ আমরাও তাঁদের ডেকে আনতে পারি৷ একটা তো সাংবিধানিক বোঝাপড়া থাকা উচিত৷ একটা সৌজন্য থাকা উচিত৷ বাংলার কাজেও এখন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে৷ তবে বাংলাকে বিপদে পড়তে দেব না৷ পাহারাদার হিসাবে কাজ করে যাব৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘আমাদের ভুলটা কোথায়? ওটা PM-CM মিটিং ছিল না’, ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর

‘আমাদের ভুলটা কোথায়? ওটা PM-CM মিটিং ছিল না’, ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: দীঘা থেকে কলকাতায় ফিরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গতকাল ঠিক কী কী ঘটেছিল, তার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে আমরা দেখা করে রিপোর্ট তুলে দিই৷ কিন্তু বিষয়টা এখানে থেমে থাকেনি৷ উপরন্তু তাঁরা প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নিলেন৷ আসলে কী ঘটেছিল সেটা সকলেরই জানা উচিত৷ সেই জন্যই আজকের বৈঠক৷ 

আরও পড়ুন- জামিন পেয়েই ময়দানে ফিরহাদে, জোর টিকাকরণে, থাকলেন ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে অসত্য খবর দেওয়া হয়েছে৷ যাতে আমাকে অপমান করা যায়৷ এবং সেখানে খবর যাচাই করার কোনও পথ থাকত না৷ গতকাল রাতেও বহু কেন্দ্রীয় নেতা একের পর এক টুইট করে আমার এবং মুখ্য সচিবের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে৷ সেকারণেই সকলের সামনে সত্যটা তুলে ধরা উচিত৷ 

মমতা বলেন, আমি আমার সফরসূচি আগেই ঘোষণা করেছিলাম৷ তার পরে প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ পরে আমরা জানিতে পারি প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন৷ ওডিশা থেকে বাংলায় আসবেন এবং কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন৷ এবং উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান৷ সেই কারণেই আমরা কলাইকুণ্ডা যাই৷ প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার অবতরণ করবে বলে সাগরে ২০ মিনিট আমাদের অপেক্ষা করতে হয়৷ এর পর আমরা রওনা দিই৷ এর পরেও আকাশে ২০ মিনিট আমাদের হেলিকপ্টার চক্কর কাটে৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মনার্থে তাঁর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট তুলে দিই৷ আমার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আগেও আমার সফর সঙ্গী হয়েছেন, কারণ উনি প্রশাসনিক প্রধান৷

মমতা বলেন, কলাইকুণ্ডায় পৌঁছে প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাই৷ রিপোর্ট দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু এসপিজি বলে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে৷ পরে আমরা কনফারেন্স রুমে যাই৷ গতকালের বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর৷ পরে বলা হয় সেখানে থাকবেন রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা৷ অর্থাৎ সেখানে বিজেপি’র সবাই থাকবে আর আমি একা৷ সেকারণেই বৈঠকে যোগ দিইনি৷ বদলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি৷ তাঁকে জানাই আমাদের দীঘায় যেতে হবে৷ মুখ্যসচিবকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিই এবং তাঁর অনুমতি নিয়েই সেখান থেকে রওনা হই৷ এখানে আমাদের ভুল কোথায়? ওটা পিএম-সিএম বৈঠক ছিল না৷ অন্য কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকে না৷ তাহলে বাংলা থাকবে কেন?   প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মমতার মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল, কার হাতে গেল কোন দফতর?

মমতার মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল, কার হাতে গেল কোন দফতর?

কলকাতা: বিপুল ভোটে তৃতীয়বারের জন্য নীলবাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত ৫ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি৷ আজ রাজভবনে শপথ নেন তাঁর মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্য৷ আজই তাঁদের দফতর বণ্টন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ভূমি- ভূমিসংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি,  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন  মন্ত্রক থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে৷ তবে এবার বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটল মন্ত্রিসভায়৷ 

আরও পড়ুন- নবগঠিত বিধানসভায় বড়সড় পরিবর্তন ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী

এবার উল্লেখযোগ্য বদল হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে৷ শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে তাঁকে দেওয়া হয়েছে শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় দফতর৷ তবে পরিষদীয় দফতর আগের মতোই থাকছে পার্থর হাতে৷ স্কুলশিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাত্য বসুকে৷ ২০১১ সালের পর একটা সময় শিক্ষা দফতর সামলেছেন তিনি৷ পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরেই রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি তাঁর হাতে রয়েছে শিল্প পুনর্গঠন দফতরও৷ আবারও অর্থ, পরিকল্পনা ও সংখ্যতত্ত্ব মন্ত্রী হচ্ছেন অমিত মিত্র৷ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষার দফতর  গেল মহম্মদ গোলাম রব্বানির হাতে৷

উল্লেখযোগ্য ভাবে এবার বিদ্যুৎমন্ত্রী হচ্ছেন অরূপ বিশ্বাস৷ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে আনা হয়েছে কৃষি দফতরে৷ পাশাপাশি যুব কল্যাণ ও ক্রিড়া দফতরও সামলাবেন তিনি৷ মলয় ঘটককে শ্রম দফতর থেকে সরিয়ে আইন ও বিচারমন্ত্রী করা হয়েছে৷ তাঁর বদলে বেচারম মান্নাকে শ্রম দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে৷ অরূপ রায়ের হাতে থাকছে সমবায়৷ পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে দেওয়া হয়েছে পরিবহণ ও আবাসন দফতর৷ তাঁর জায়গায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে আনা হয়েছে নগরোন্নয়ন ও পুর দফতরে৷ এবার প্রথম মন্ত্রী হচ্ছেন রত্না দে নাগ৷ তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ দফতর৷ 

ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতর গিয়েছে সাধন পাণ্ডের হাতে৷ খাদ্য মন্ত্রক থেকে সরিয়ে এবার বন ও অপ্রচলিত শক্তিমন্ত্রী করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে৷ এবার দুয়ারে রেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের৷ তাই এবার খাদ্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রথীন ঘোষকে৷  

জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হচ্ছেন মানস ভুঁইয়া৷ তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথমবার মন্ত্রী হচ্ছেন তিনি৷ সৌমেন মহাপাত্রকে দেওয়া হয়েছে সেচ দফতর৷ বিপ্লব মিত্র প্রথমবার মন্ত্রী হচ্ছেন এবং তাঁকে কৃষি বিপণন দেওয়া হচ্ছে৷ অখিল গিরি পাচ্ছেন মৎস্য দফতর৷ ইন্দ্রনীল সেন পুরনো দফতরের পাশাপাশি পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ যুব ও ক্রিড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে থাকছেন মনোজ তিওয়ারি৷ হুমায়ুন কবীর পাচ্ছেন কারিগড়ি শিক্ষা (স্বধীন) দফতর৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এবারও ঈদে রেড রোডে হবে না নামাজ, ৫০ জনের বেশি জমায়েত নয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে

এবারও ঈদে রেড রোডে হবে না নামাজ, ৫০ জনের বেশি জমায়েত নয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে গত বছরেও কোনও রকম উৎসব করা সম্ভব হয়নি৷ ঈদেও জমায়েত এবং সার্বজনীন নামাজ পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ এবারেও কোভিড পরিস্থিতিতে ঈদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার৷ ঈদের দিন রেড রোডে নামাজ পড়া বা কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না৷ সোমবার নবান্নের সভাঘর থেকে আরও একবার সে কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- শপথ শেষ হতেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা রাজ্যপালের

তাঁর কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ম মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি৷ এবার রেড রোডে নামাজ পড়া হবে না বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন জাভেদ খান৷ এটি খুবই বড় সিদ্ধান্ত৷ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি৷ মমতা বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দূরত্ব বজায় রাখুন৷ তবে ঈদের জন্য বাজার ২ ঘণ্টা খোলা থাকছে৷ পাশাপাশি চলবে সুফল বাংলা৷ তবে শুধু স্বর্ণকারদের আবেদনের ভিত্তিতে ১২টা থেকে ৩ টে দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তবে এবার ঈদের উৎসব হবে বাড়ি থেকেই৷ পাশাপাশি ক্লাব, ভারত সেবাশ্রম প্রসঙ্গে ডিএম, এসপিদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ৫০ জনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া হবে না৷ ৫০ জনকে নিয়েই সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে হবে৷ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র দফতর আর কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বলব যত মসজিদ আছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে৷ আর জেলায় জেলায় পুলিশ কর্তাকা মসজিদগুলির সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবনে, তাঁরা যেন বড় জমায়েত না করে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কোভিড সংক্রান্ত ইস্যুতে জিএসটি নয়, নবান্নের বৈঠকে সরব মমতা

কোভিড সংক্রান্ত ইস্যুতে জিএসটি নয়, নবান্নের বৈঠকে সরব মমতা

কলকাতা:  আজ মমতার নবনির্মিত মন্ত্রিসভার জন ৪৩ জন মন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরেই নবান্নের সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওই বৈঠকে কোভিড নিয়ে বার্তা দিলেন তিনি৷ মমতা বলেন, জনগণকে আমরা যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সবটাই ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কোভিড পরিস্থিতি৷ 

আরও পড়ুন- শপথ শেষ হতেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা রাজ্যপালের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড সংক্রমণ খুব বেশি ভাবে হচ্ছে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচুর কোভিড হাসপাতাল বাড়ানো হয়েছে৷ প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ যেন অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করে সেই  বিষয়ে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে৷ বেড বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে প্রায় ২০টি প্লাজমা ব্যাঙ্ক রয়েছে৷ ক্লড ব্যাঙ্ক নিয়েও আলোচনা চলছে৷ রাজ্যে ৩০ হাজার কোভিড বেড রয়েছে৷ এর জন্য কর্পোরেট সেক্টরকেও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, কর্পোরেট সেক্টগুলির তাঁদের নিজেদের জায়গা কোভিড হাসপাতালের জন্য ছেড়ে দিয়েছে৷ পাশাপাশি, কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়ামে কোভিড হাসপাতাল হয়েছে৷ সেন্ট ডেভিসার্সও তাঁদের একটা বিল্ডিং ছেড়ে দিয়েছে৷ বহু কর্পোরেট হাউজ বিনা পয়সায় খাবার দেওয়ার কথাও বলেছে বলে জানান তিনি৷ 

ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, টিকার অনেক দাম৷ এক্ষেত্রেও কর্পোরেট হাউজগুলির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম সাহায্য করছে না৷ কর্পোরেট সংস্থাগুলি যে টাকা দেবে, তা কোভিড চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে৷ তিনি জানান, কেন্দ্র মাত্র ১ লক্ষ ডোজ পাঠিয়েছে৷ যা ৫০ হাজার মানুষ পাবে৷ আমরা ৩ কোটি ডোজ চেয়েছিলাম৷ আমদের অবিলম্বে ৪ কোটি ডোজ প্রয়োজন৷ এর মধ্যে ১ কোটি বেসরকারি হাসপাতালেই দেওয়া হবে৷ এর উপর কোনও জিএসটি নেওয়া উচিত নয় বলেও দাবি তাঁর৷ কোভিড সংক্রান্ত কোনও বিষয়েই জিএসটি নেওয়া উচিত নয় বলে সুর চড়ান মমতা৷  তিনি বলেন, জিএসটি নিলে কর্পোরেট হাউজগুলি কোভিড পরিকাঠামো তৈরিতে সাহায্য করতে পারবে না৷ 

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে টাকা আছে৷ কোথা থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সেটা ভাবুন৷ দেশের ভ্যাকসিন বাইরে চলে গেলে, বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে৷ গরিূ মানুষের কথা ভেবে পূর্ণ লকডাউন নয়, আংশিক লকডাউন করা হয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কাল থেকে বন্ধ সমস্ত লোকাল ট্রেন, কমল ব্যাঙ্কে কাজের সময়, চলবে আংশিক লকডাউন

কাল থেকে বন্ধ সমস্ত লোকাল ট্রেন, কমল ব্যাঙ্কে কাজের সময়, চলবে আংশিক লকডাউন

 

কলকাতা: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই কোভিড বিরোধী লড়াইয়ে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজভবনে শপথ নিয়েই নবান্নে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর৷

আরও পড়ুন- রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন নয়! ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সমস্ত শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, জিম, স্পা, সুইমিংপুল৷ আংশিক লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে৷ এছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনোদন সংক্রান্ত সমাবেশ করা যাবে না৷ করা যাবে না রাজনৈতিক সমাবেশ৷ বিয়ে বাড়ি বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক আমন্ত্রণ করা যাবে না৷ চলবে আংশিক লকডাউন৷ সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে৷ এছাড়া আগামী কাল থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে৷ রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাও ৫০ শতাংশ করা হবে৷ কলকাতা, বাগডোগড়া এবং অন্ডাল বিমানবন্দরে কোভিড রিপোর্ট ছাড়া আসা যাবে না৷ লাগবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট৷ ভুয়ো রিপোর্ট ধরতে  ব়্যানডাম টেস্ট করা হবে বলেও জানান তিনি৷ 
 

বেসরকারি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে৷ অফিসে কাজের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করাতে হবে৷ তিনি জানান, সুফল বাংলা বাড়ানো হবে৷ তেমনই অনলাইন পরিষেবা চালু থাকবে৷ তবে কমানো হবে ব্যাঙ্কের কাজের সময়৷ ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক৷ জরুরি পরিষেবা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ পরিষেবা, দমকলের উপর কোনও বিধি নিষেধ থাকবে না৷ এনজিওগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার জেলায় জেলায় হবে কোভিড ওয়ারিয়র ক্লাব৷ তৈরি হবে আরও প্লাজমা ব্যাঙ্ক৷ বাজার, অফিস থেকে সমস্ত জায়গা স্যানিটাইজ করতে হবে৷ যে সকল স্কুল বিল্ডিং-এ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, সেগুলি সম্পূর্ণ ভাবে স্যানিটাইড করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *