কলকাতা: একুশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পর আরও উষ্ণ রাজনীতির স্রোত৷ বুধবার সেই ‘অধিকারী গড়’ কাঁথিতে তৃণমূলের পদযাত্রা নিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর কথায়, ‘‘যে সমস্ত জিনিস সারা বছর বিক্রি হয় না৷ চৈত্র সেলে সেগুলিই বিক্রির চেষ্টা হয়৷’’
আরও পড়ুন- একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হলে কেউ বাধা দিতে পারে না, রায় হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, বুধবার কাঁথির জনসভায় উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়ের মতো তৃণমূলের হাই প্রোফাইল নেতারা৷ এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁদের পদযাত্রাকে চৈত্র সেলের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি৷ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘এতদিন তৃণমূলের গুদামে যাঁরা পড়েছিল, তাঁদের নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে সভা করা হচ্ছে৷’’
আজ সকালে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্যের প্রসঙ্গেও আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সাহায্য প্রাপকের তালিকায় নেতাদের ছেলেদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। আম্পানের মতো এখানেও দুর্নীতি হবে। আর কাটমানি যাবে তৃণমূলের ইলেকশন ফান্ডে।’’
আরও পড়ুন- ‘আমরা কোন বিজেপি’? গাইঘাটায় প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হবে৷ কিন্তু গতকাল নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ ট্যাব না থাকায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা করে পাঠানো হবে। যাতে এই টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিতে পারে। রাজ্যে সাড়ে ষোল হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ও ১০ হাজার পুলিশ নিয়োগ প্রসঙ্গে দিলীপের টিপ্পনি, ‘‘মরন কালে হরির নাম৷ ঘোষণা হলেও নিয়োগ আর হবে না৷’’