কলকাতা: একের পর এক বিধায়ক এবং মন্ত্রী পদত্যাগ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর কয়েক মাস বাদেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে, তার আগে শাসকদলের এই পরিস্থিতিতে বেশ ‘উদ্বেগে’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০০ আসন পাওয়াও মুশকিল আছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার মুকুল রায়ের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যেই।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, প্রত্যেকদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একাধিক পদাধিকারী নেতা বেরিয়ে আসছেন। যে হারে একে একে সবাই দল ছাড়ছে তাতে স্পষ্ট হচ্ছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১০০ আসন পর্যন্ত পাবে না। মুকুল রায়ের এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়িয়ে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, আসন্ন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবে। বিগত বছরগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেস সারা রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের কাজ করেছে তা মানুষ জানেন, সেই উন্নয়নের সঙ্গেই তারা রয়েছেন এবং থাকবেন। কাকলি আরো দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার বুথে কেমল কংগ্রেস কর্মীরা সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করছেন এবং তারা সেটা জানেন। এত উন্নয়নমূলক কাজ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি আসলে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল সাংসদের কথায়, ‘বাংলার মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি’। বিজেপি এখানে কোন ভাবেই দাঁত ফোটাতে পারছে না, তাই তারা ভীত এবং সন্ত্রস্ত।
ভারতীয় জনতা পার্টিকে আক্রমণ করে কাকলি আরো দাবি করেন, এত বছর ধরে বিজেপি বাংলায় নিজেদের মুখ বিবেচনা করতে পারল না। তাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। বিজেপি হঠাৎ মনে করছে বাংলা দখল করতে হবে, এতদিন ধরে বাংলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই ছিল না, এখনও নেই। এই প্রেক্ষিতে কাকলি বলেন, বিজেপি ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলে তারা দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট স্বনির্ভর এবং সবল দল। যত তাদের আক্রমণ করা হবে, তারা ততই শক্তিশালী হবেন বলে দাবি করেন কাকলি।