নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইঘাটা: “আমরা কোন বিজেপি?” একের পর এক এধরণের পোস্টার ছড়িয়ে রয়েছে এলাকায়৷ পোস্টারে কোথাও লেখা, “আমরা কোন বিজেপি?”। কোথাও আবার লেখা, “যাদেরকে আমরা চোর বলেছিলাম, তারাই আজ বিজেপির সম্পদ।” কোথাওবা লেখা, “দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ডল সভাপতি দূর হটো।” এধরণের পোস্টারই ছড়িয়ে রয়েছে গাইঘাটার যোগদান মেলার মাঠে৷ এধরণের পোস্টার থেকে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপির মধ্যে তৈরি হয়েছে দুটি গোষ্ঠী৷ একটি আদি গোষ্ঠী ও অন্যটি নব্য গোষ্ঠী৷ যাদের মধ্যেকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে৷
মঙ্গলবার গাইঘাটা বাজারে একটি মাঠে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার যোগদান হওয়ার কথা ছিল। সেখানে আসেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য৷ তার আগে এদিন সকালে সভামঞ্চের উপরে এবং মাঠে ছোট ছোট একাধিক পোস্টারে ছেয়ে যায়। সেখানে যুবনেতা ও মন্ডল সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং আমরা কোন বিজেপি? বলে পোস্টার পড়ে। যার নিচে লেখা রয়েছে সৌজন্যে আদি বিজেপি।
যার ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য নেতা বিজেপিতে আসায় এবার প্রকাশ্যে এল বিজেপির আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব৷ এপ্রসঙ্গে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, বিজেপি এখন একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে৷ যদিও গাইঘাটা বিধানসভার বিজেপির কো-কনভেনার রাজকুমার মিত্রের দাবি, গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। গাইঘাটা এলাকায় আদি বা নব্য বিজেপি, এমন কোনও দ্বন্দ্ব নেই।