অনেকটাই কমে গেল দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, দেশের পরিসংখ্যানে স্বস্তি বাড়বে

অনেকটাই কমে গেল দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, দেশের পরিসংখ্যানে স্বস্তি বাড়বে

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ মোটামুটি একই জায়গায় বিরাজ করলেও তা নিম্নগামী হওয়া শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। তুলনায় কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হয়েছে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হলেও চিন্তা বৃদ্ধি করছে। তাই সাধারণ মানুষকে যে সতর্ক থাকতে হবে তা বারবার করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনা ছাড়াও একাধিক ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। দেশে আবার ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের বলি এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী! ছন্দার পর সবিতা

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯৭ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৬২ জন। এদিকে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৫৪ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। এদিকে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৪৪ জন। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ২১৮ কোটি ৮৮ লক্ষের বেশি ডোজ।

এদিকে ডেঙ্গি নিয়েও দেশের ভয় বাড়ছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও মশা বাহিত রোগের বাড়াবাড়ি দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মাঝে আবার নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জেলার বাইরে যাওয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য একাধিক রাজ্যও মশার উপদ্রব থেকে বাদ যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − five =

দেশের কোভিড গ্রাফ কোন দিকে এগোচ্ছে? জেনে নিন

দেশের কোভিড গ্রাফ কোন দিকে এগোচ্ছে? জেনে নিন

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ মোটামুটি একই জায়গায় বিরাজ করছে। তবে এদিন দৈনিক আক্রান্ত ৩ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। তুলনায় কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হয়েছে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কা বৃদ্ধি করছে। তাই সাধারণ মানুষকে যে সতর্ক থাকতে হবে তা বারবার করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনা ছাড়াও একাধিক ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যার মধ্যে আছে মাঙ্কিপক্স। দেশেও এই রোগ এবং ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে বলেই আশঙ্কা।

আরও পড়ুন- পুজোর আনন্দে ভাসছে গোটা বাংলা, ধর্না মঞ্চে লড়াই চলছে চাকরিপ্রার্থীদের

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩১৮ জন। এদিকে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৩৩ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ১ হাজার ৯৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ২১৯ কোটির বেশি ডোজ।

এদিকে ডেঙ্গি নিয়েও দেশের ভয় বাড়ছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও মশা বাহিত রোগের বাড়াবাড়ি দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মাঝে আবার নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জেলার বাইরে যাওয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য একাধিক রাজ্যও মশার উপদ্রব থেকে বাদ যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + four =

কোভিড গ্রাফ আজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশে, কমল সক্রিয় রোগী

কোভিড গ্রাফ আজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশে, কমল সক্রিয় রোগী

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে দেশ। করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ আসবে এই রকম কোনও দাবি এখন আর করা হচ্ছে না। অধিকাংশের মতেই, করোনার চতুর্থ ঢেউ আর কোনও প্রভাব ফেলবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের কোভিড গ্রাফে আরও হেরফের হল আজ। দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যু কমল কিছুটা। অ্যাকটিভ কেস তুলনামুলকভাবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘রাজনৈতিক হিংসা কাম্য নয়’,‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ’ দুই কাউন্সিলার খুনে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৩৯। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩২ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ হাজার ৪৯১। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৪৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩০ হাজার ৭৯৯ জন। দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৩ শতাংশ। একই সঙ্গে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮০ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি ডোজ। তাহলে কি এটাই করোনার ইতি বলে মানা যাবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে তাতে করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে থেকে যাবে, তবে আর বাড়াবাড়ি সৃষ্টি করবে না। তাই এই নিয়ে আরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাদের বক্তব্য, প্যানডেমিক এবং এন্ডেমিক হওয়ার পথেই চলে এসেছে।

এদিকে গতকাল থেকে দেশে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে প্রিকশন ডোজের ক্ষেত্রে কোমর্বিডিটি যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে গতকাল থেকে। ১২, ১৩ ও ১৪ বছর বয়সীদেরকে গতকাল থেকে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার কোর্বেভ্যাক্স টিকা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের  করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে টিকাকরণ চলছে দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =

বিরাট পতন দেশের দৈনিক মৃত্যুতে! সপ্তাহের প্রথমেই স্বস্তি দেশে

বিরাট পতন দেশের দৈনিক মৃত্যুতে! সপ্তাহের প্রথমেই স্বস্তি দেশে

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ অনেক মাস পর এত স্বস্তি দেশে। কোভিড আবহে সংক্রমণের পরিসংখ্যান দিন দিন বদলাচ্ছে। কিন্তু আজ তাতে অনেকটাই পতন ঘটল। আজ দেশের দৈনিক মৃত্যু ১০০-র কমে নেমে গিয়েছে। অন্যদিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও নেমে গিয়েছে ৬০ হাজারের নীচে। সব মিলিয়ে আজকের তথ্য দেখে অনেকটাই চিন্তা মুক্ত হতে পেরেছে দেশবাসী।

আরও পড়ুন- ‘দোকান খুললেই মারব’! পদ্ম বিধায়কের দোকানে পড়ল হুমকি পোস্টার

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬২ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাকটিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ১১৮ জন। যা মোট করোনা আক্রান্তের ০.১৩ শতাংশ। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ১০২ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ০৯৫ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ৬২০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ১৭৮ কোটি ৯০ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৮৭ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ১৪৪ ডোজ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ।

আপাতত দেশের কোভিড পরিস্থিতি ফের নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও তার বদল হতে যে বেশি সময় লাগবে না তা অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই ওমিক্রন প্রজাতি। আগে যে প্রজাতি ছিল, তার থেকেও বেশি সংক্রামক প্রজাতি এখন ধরা পড়েছে। তাই নিয়ে এখন চর্চা। এবার জানা গেল, কমপক্ষে দুই রকম করোনা ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে এবার! তার মানে ভাইরাসের উপদ্রপ ওমিক্রনেই শেষ হবে না। অনুমান ওমিক্রন নিজের রূপ সম্পূর্ণ বদলে নতুন চেহারা নেবে। আগের এবং বর্তমান ওমিক্রন থেকে তা আলাদা হবে এবং ভয় এখানেই। ডেল্টা প্রজাতিকে টপকে যেমন ওমিক্রন ‘ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ হয়ে গিয়েছিল, এক্ষেত্রেও সেই একই জিনিস হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − one =

দেশের কোভিড গ্রাফে আবার স্বস্তি, আরও বাড়ল সুস্থতা

দেশের কোভিড গ্রাফে আবার স্বস্তি, আরও বাড়ল সুস্থতা

নয়াদিল্লি: দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, তা আজ আরও বোঝা গেল। আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আবার ৭ হাজারের নীচে চলে এসেছে।  সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অনেক আগেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে যাতে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে এখনই যে পুরোপুরি অসতর্ক হওয়া যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে দেশের আজকের কোভিড পরিসংখ্যানে হেরফের। গতকালের তুলনায় কমেছে আক্রান্ত-মৃত্যু।

আরও পড়ুন- তাহেরপুর বামেদের দখলে যেতেই রাতিরাতি বদল ওসি! তবে কি শাস্তি?

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬১ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাকটিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ১৫২ জন। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৩৮ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬২০ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৮ কোটি ০২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২২২ ডোজ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ২১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৭৬ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা কমে হয়েছে ০.১৮ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬২ শতাংশ।

এদিকে বাংলাতেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৮ মার্চ রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। এক বছর পর ২০২২ সালের ২ মার্চ আরও একবার কোভিডড মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যতে নেমেছে। বুধবারই এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সব ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষা করাতে হবে সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, যাঁদের  দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাঁদের উপসর্গ থাকলে অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে৷ কারণ দাঁতের সার্জারির জন্য চিকিৎসককে রোগীর খুব কাছাকাছি যেতে হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =

মৃত্যু বাড়ল একদিনে, দেশের কোভিড গ্রাফ আপাতত নিয়ন্ত্রণেই

মৃত্যু বাড়ল একদিনে, দেশের কোভিড গ্রাফ আপাতত নিয়ন্ত্রণেই

নয়াদিল্লি: দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, তা আজ আরও বোঝা গেল। অনেক মাস পর আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে চলে এসেছে।  সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অনেক আগেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে যাতে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে এখনই যে পুরোপুরি অসতর্ক হওয়া যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে দেশের আজকের কোভিড পরিসংখ্যানে হেরফের।

আরও পড়ুন- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘#তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯১৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৮০ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ৪৭২ জন। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ০২৩ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৫০ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৮৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৭ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার ৯১৪ ডোজ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ১৮ লক্ষ ২২ হাজার ৫১৩ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা কমে হয়েছে ০.২২ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৫৮ শতাংশ।

জরুরি ভিত্তিতে ১২-১৮ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে কোরবেভ্যাক্স টিকা। এমনটাই জানিয়েছে বায়োলজিকাল ই লিমিটেড সংস্থা। এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই  ভ্যাকসিনের দাম পড়বে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।  দু’টি ডোজের এই ভ্যাকসিন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য। এদিকে আবার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইআইটি কানপুর। তাদের গবেষকদের দাবি, আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ, যা চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। মোটামুটিভাবে দিনক্ষণও বলে দিচ্ছেন তারা। বলা হচ্ছে, জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে পারে, যা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + eleven =

১০ হাজারের নীচে নামল দেশের দৈনিক আক্রান্ত, বিরাট স্বস্তি

১০ হাজারের নীচে নামল দেশের দৈনিক আক্রান্ত, বিরাট স্বস্তি

নয়াদিল্লি: দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, তা আজ আরও বোঝা গেল। অনেক মাস পর আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে চলে এসেছে।  সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অনেক আগেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে যাতে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে এখনই যে পুরোপুরি অসতর্ক হওয়া যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে দেশের আজকের কোভিড পরিসংখ্যানে হেরফের।

আরও পড়ুন- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘#তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ০১৩ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ০২ হাজার ৬০১ জন। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৪৩ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ০৭ হাজার ৬৮৬ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৭ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৩৫ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা কমে হয়েছে ১.১১ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের ওপর।

জরুরি ভিত্তিতে ১২-১৮ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে কোরবেভ্যাক্স টিকা। এমনটাই জানিয়েছে বায়োলজিকাল ই লিমিটেড সংস্থা। এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই  ভ্যাকসিনের দাম পড়বে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।  দু’টি ডোজের এই ভ্যাকসিন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য। এদিকে আবার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইআইটি কানপুর। তাদের গবেষকদের দাবি, আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ, যা চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। মোটামুটিভাবে দিনক্ষণও বলে দিচ্ছেন তারা। বলা হচ্ছে, জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে পারে, যা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই ঢেউ কতটা ভয়ঙ্কর হবে তা এখন থেকে বলতে পারছেন না তারা কেউই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =

বাড়ছে দেশের সুস্থতা, পটিজিভিটি রেট নেমে এসেছে অনেকটাই

বাড়ছে দেশের সুস্থতা, পটিজিভিটি রেট নেমে এসেছে অনেকটাই

নয়াদিল্লি: সংক্রমণে আজ আরও একটু স্বস্তি পেল দেশবাসী। মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা নিয়ে চিন্তা এখনও রয়ে যাচ্ছে। আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ৩৫ হাজারের নীচে। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি একটু একটু করে হয়তো ভাল জায়গায় ফিরছে কিন্তু কাঁটা সেই মৃত্যুই। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে, কারণ তার সাব ভ্যারিয়েন্ট অনেক দেশে ছেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আবার চলতি টিকাও তা ঠেকাতে পারবে না বলেই অনুমান।

আরও পড়ুন- সংবিধান মানতেই হবে! হিজাব বিতর্কে মুখ খুললেন যোগী

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১১৩ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের, যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে দেশে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন কোভিড আক্রান্ত রয়েছেন। দেশে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৪১। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৯১ হাজার ৯৩০ জন। পাশাপাশি দেশের পটিজিভিটি রেট নেমে এসেছে ৩.১৯ শতাংশে।  এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৯০ ডোজ। দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৬৮ শতাংশে।

এদিকে সাধারণ জনতা এখনই বুস্টার ডোজ পাবেন না বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে রাজ্যে রাজ্যে। তাই এখনও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিষ্কার নয় যে সকলের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজ্ঞানীরা। তবে যদিও তা কখনও দেওয়া হয় তবে তা ধাপে ধাপেই দেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে। এছাড়াও দাবি করা হয়েছে যে, এই মুহূর্তে দেশে প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন ৯৬ শতাংশ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =

কেরল নিয়ে ভয় অব্যাহত, দেশের সংক্রমণ গ্রাফ আজ নীচে

কেরল নিয়ে ভয় অব্যাহত, দেশের সংক্রমণ গ্রাফ আজ নীচে

নয়াদিল্লি: দেশের দৈনিক সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার আগের তুলনায় কমলেও এখনও প্রায় লাগামছাড়া দৈনিক মৃত্যু। আজও ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে এই সংখ্যা যা অবশ্যই দুশ্চিন্তার! তবে দৈনিক সংক্রমণের হার আজ কিছুটা কমেছে তুলনায়। গতকালের পর আজ দৈনিক আক্রান্তের ফের সংখ্যা ৭০ হাজারের নীচে। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি একটু একটু করে হয়তো ভাল জায়গায় ফিরছে কিন্তু কাঁটা সেই মৃত্যুই। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে, কারণ তার সাব ভ্যারিয়েন্ট অনেক দেশে ছেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আবার চলতি টিকাও তা ঠেকাতে পারবে না বলেই অনুমান।

আরও পড়ুন- খাওয়ায় নেই অসুবিধা! এই মাস্ক নাক ঢাকে, মুখ নয়

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ০৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪১ জনের! পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ০৬০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ০৬ হাজার ৫২০ জনের। কেবলমাত্র কেরলে মৃত্যু হয়েছে ৮৫৪ জনের। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭১ কোটি ২৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৪৭ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৪৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৮২ ডোজ। পাশাপাশি দেশের সুস্থতার হার এখনও রয়েছে ৯৫ শতাংশের ওপরেই।

এদিকে, এরই মধ্যে আরও এক বার উদ্বেগের খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অতিমারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান জানিয়েছেন, আগামী দিনে কোভিডের যে পরিবর্তিত রূপ আসতে চলেছে, সেটি ওমিক্রনের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর ও সংক্রামক হতে পারে। তাঁর কথায়, কোভিডের নয়া রূপ নিশ্চিত ভাবেই চিন্তার কারণ হবে কারণ এটা অনেক বেশি সংক্রামক হতে চলেছে। যা বর্তমান সবকটি রূপকে ছাপিয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − two =

১৯৯ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেস, দেশে একদিনে ৬ শতাংশ কমল সংক্রমণ

১৯৯ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেস, দেশে একদিনে ৬ শতাংশ কমল সংক্রমণ

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আজ আরও কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬ শতাংশ কমল সংক্রমণ। এদিকে, ১৯৯ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ হাজার ৯৩০ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৫৭ জন। ১৯৭ দিনে সবথেকে কম এই সংখ্যা। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫২৯ জন। দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮১৭ জনের। উল্লেখ্য, দেশে আপাতত মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৯০ কোটি ৫১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৪৮ জন।

অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হলে মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, এমনটা জানান হয়েছে। রাজ্য সরকার গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই টাকা খরচ করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এতদিনে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং আগামী দিনে যাদের মৃত্যু হবে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা করে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে। তারা আদালতে এও জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =

২০২০ মার্চের পর সর্বোচ্চ সুস্থতা দেশে! মৃত্যুহার আরও নিম্নমুখী

২০২০ মার্চের পর সর্বোচ্চ সুস্থতা দেশে! মৃত্যুহার আরও নিম্নমুখী

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। আজ আরও কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। এদিকে, গত বছর মার্চের পর আজ দেশের সুস্থতা সর্বাধিক। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা কম ছিল। মাঝে বেড়েছিল। এখন আবার কিছুটা কম। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৬১৬ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ০৪৬ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১ হাজার ৪৪২ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৪১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩১৯ জন। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৭.৭৮ শতাংশ। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৫৮ জন। আরও বড় স্বস্তি ‘আর’ ভ্যালু কমে যাওয়ায়। অগাস্টের শেষ এই ভ্যালু ছিল ১.১৭, এখন তা দাঁড়িয়েছে ০.৯২ তে। মোট টিকাকরণ হয়েছে ৮৪ কোটি ৮৯ লক্ষ ২৯ হাজার ১৬০। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ লক্ষ ০৪ হাজার ০৫১ জনের টিকাকরণ হয়েছে। 

আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন

এদিকে চরম সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্ট। তিনি জানাচ্ছেন, জিনের গঠনমূলক পরিবর্তনের ফলেই এমনটা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, আগামী দিনগুলিতে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং শেষমেষ সেটি সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। অন্যদিকে, মারণক্ষমতাও হ্রাস পাবে এই ভাইরাসের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =

দৈনিক মৃত্যু পাঁচশোর নিচে, একদিনে দেশে সুস্থ ৩৮ হাজারেরও বেশি

দৈনিক মৃত্যু পাঁচশোর নিচে, একদিনে দেশে সুস্থ ৩৮ হাজারেরও বেশি

নয়াদিল্লি: সংক্রমণের ওঠা-নামা আজও অব্যাহত দেশে।তবে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে স্বস্তি হয়তো আজকের তথ্য দেবে। কারণ দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছে ৫০০-র নিচে। এদিকে, সুস্থতার হার আরও বেড়েছে দেশে। বিগত কয়েক দিনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উত্থান-পতন ঘটেছিল। তবে আজকের পরিসংখ্যান কিছুটা ভাল বার্তাই দিচ্ছে। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ হাজার ১৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২২৯ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৯ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১০৮ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৬৬০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪৫৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৬৬৫ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশের ওপরেই।

আরও পড়ুন: আগামী ১২০-২৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ! ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

এদিকে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে হার্ড ইমিউনিটি লাগে সেটা এখনো দেশে আসেনি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পালন করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি। হার্ড ইমিউনিটি সঠিকভাবে তৈরি হয়নি বলেই দেশের নানা জায়গায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে যে আগামী কমপক্ষে ৩ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। চিকিৎসক মহলের একাংশ আবার ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ভারতে অন্ততপক্ষে ৯৮ দিন স্থায়ী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − three =

দেশের দৈনিক আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার, সুস্থতা প্রায় ৯৮%

দেশের দৈনিক আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার, সুস্থতা প্রায় ৯৮%

নয়াদিল্লি: সংক্রমণের ওঠা-নামা আজও অব্যাহত দেশে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু আবারও কিছুটা স্বস্তিতে ভারত। তবে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তা বহাল রয়েছে। বিগত কয়েক দিনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উত্থান-পতন ঘটেছিল। তবে আজকের পরিসংখ্যান কিছুটা ভাল বার্তাই দিচ্ছে। তবে আগামী দিনে যে এই স্বস্তি থাকবে না তার বার্তা এখন থেকেই মিলছে। কারণ বিশেষজ্ঞের পরিসংখ্যান।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ হাজার ০৭৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯০৮ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৬০ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৯১ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৯১৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৯২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ০২৫ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৩১ শতাংশে। 

আরও পড়ুন: আগামী ১২০-২৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ! ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

এদিকে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে হার্ড ইমিউনিটি লাগে সেটা এখনো দেশে আসেনি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পালন করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি। হার্ড ইমিউনিটি সঠিকভাবে তৈরি হয়নি বলেই দেশের নানা জায়গায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে যে আগামী কমপক্ষে ৩ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। চিকিৎসক মহলের একাংশ আবার ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ভারতে অন্ততপক্ষে ৯৮ দিন স্থায়ী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =

৬ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ! ফের উঠছে দেশের কোভিড গ্রাফ

৬ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ! ফের উঠছে দেশের কোভিড গ্রাফ

নয়াদিল্লি: গতকাল কিছুটা বেড়েছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, কিন্তু মৃত্যু তুলনায় কম ছিল। কিন্তু আজ ৬ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ! একই সঙ্গে ফের একবার হাজারের বেশি হল দৈনিক মৃত্যু। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৮৬ জন। অর্থাৎ এক লাফে দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ৬ শতাংশ! এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৬৩৪ জন। 

তথ্য বলছে, এদিন দেশের দৈনিক মৃত্যু এক হাজারের বেশি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫ জনের, যা গতকালের তুলনায় বেশি। এ নিয়ে করোনা ভাইরাস পর্বে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৫৯ জনের। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ২৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৫৮৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯১৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এদিকে, দেশে সংক্রমণের হার এখন ৭.৩৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৫৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, এ নিয়ে দেশে মোট  ৩৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯ জনের টিকাকরণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে, তার মধ্যে এইভাবে আবার করোনা গ্রাফ উঠতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ দেখছে চিকিৎসক মহল। 

আরও পড়ুন- মমতার ব্যাপক প্রশংসা, ধনকড়ের ইস্তফা চাইলেন ‘জৈন’ মামলা ফাঁসের কারিগর

অন্যদিকে, বাংলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৮ জন। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এখনও সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ১৫৪ জন। সকলকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দার্জিলিং। একদিনে সংক্রমিত হয়েছে ১৫০ জন। পাহাড়ের সংক্রমণ কিছুটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বটে। এদিকে, তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭ জন। শহর কলকাতা চতুর্থ স্থানে। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ১৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৮৩। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৯০ জন। এই একই সময়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ১ হাজার ৯৮০ জন, যা আগের দিনের তুলনায় আবার কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 17 =

৭৪ দিন পর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এত কম দেশে, মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ

৭৪ দিন পর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এত কম দেশে, মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ

নয়াদিল্লি: ইতিমধ্যেই আশঙ্কা রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের, তার আগে করোনা যুদ্ধে একটু একটু করে এগোচ্ছে দেশ। আক্রান্তের সংখ্যা বিগত দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। একই সঙ্গে অ্যাক্টিভ কেস অত্যন্ত স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে। কারণ, ৭৪ দিন পর এত কম হয়েছে এই সংখ্যা। সুস্থতার হারও অত্যন্ত সন্তোষজনক। যদিও আশঙ্কা করা হয়েছে, চলতি বছরেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের। এমনই বলছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট। মনে করা হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসেই ভারতে শুরু হয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। তবে আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এতোটা প্রভাবশালী হবে না তৃতীয় ঢেউ।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৭৫৩ জন। এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ জনের। সব মিলিয়ে দেশে মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল, এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৩৭ জন। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ১৯ জন। ৭৪ দিন পর এতটা কম। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সক্রিয় রোগী পৌঁছে গিয়েছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। সেখান থেকে কমতে কমতে এই সংখ্যা হয়েছে আজকে। 

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন। এই একই সময়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ২ হাজার ১১২ জন। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন উত্তর ২৪ পরগনার, ১১ জন কলকাতার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ২৪০। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এখনও সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ৩৮৮ জন,  কলকাতা শহরের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৭-এ।এর পরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, সেখানে আক্রান্ত ২৬৫ জন। এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়িয়ে রেখেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭. ৩০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − two =