মস্কো: আশঙ্কা সত্যি করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে৷ ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ছবি৷ এর পরেই টুইটার সহ মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ড World War 3 এবং WWIII৷ এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে একের পর এক টুইট আপলোড করা হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার এই হামলাকে কেন সকলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলছে?
আরও পড়ুন- কেন হঠাৎ ইউক্রেন আক্রমণ করল রাশিয়া? কী নিয়ে সংঘাত
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা (ভারতীয় সময় তখন রাত ৩টো)৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি টিভি চ্যানেলে ঘোষণা করেন, ‘আমি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’ এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় হামলা৷ সোমবার রাতে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা দুই প্রদেশ ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়)-কে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সূত্রের খবর, সেই ডনবাসেই বৃহস্পতিববার প্রথম সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার সকালে পুতিন সংবাদমাধ্যমে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তাতে এই যুদ্ধের দায় আমেরিকার ঘাড়েই চাপিয়েছিলেন তিনি৷ কারণ রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিল, ইউক্রেনকে যেন ন্যাটো (NATO) দেশগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়৷ বিনিময়ে ইউক্রেনকে যাবতীয় নিরাপত্তা দেবে রাশিয়া। তিনি আরও বলেছিলেন, ” ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না রাশিয়ার। কিন্তু যারা অপরাধ করছে তাদের বিচারের জন্যই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।” তবে এই হামলার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে ইউক্রেন৷
গতকাল সকাল থেকে রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে খারকিভ, ওডেশা সহ একাধিক শহর৷ আর ইউক্রেনের উপর রাশিয়া হামলা করতেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে ফিরছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা৷ রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন টুইটার ইউজাররা। ভারত-পাকিস্তান, ভারত-চিন, আমেরিকা-চিন, চিন-তাইওয়ান, কিংবা দুই কোরিয়ার, মধ্যে সংঘাতের পারদ তীব্র হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হতে পারে গোটা দুনিয়া৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>