খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন

খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন

কলকাতা: ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত নির্বাচন কমিশন৷ মুখ্য সচিবের চিঠির ভিত্তিতে কী ভাবে একটিমাত্র কেন্দ্রে নির্বাচন ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ পাশাপাশি আরও একটি ইস্যু এই মামলায় উঠে এসেছে৷ আদালতের প্রশ্ন একটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন করতে কত টাকা খরচ হয়?

আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

 
কমিশনের আইনজীবী অবশ্য এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি আদালতকে৷ তবে জনস্বার্থ মামলাকারীরা জানান, এই উপনির্বাচনের জন্য খরচ হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা৷ কেন এত কোটি টাকা খরচ হচ্ছে? কেন জনগন তাঁদের করের টাকা দেবে? এই টাকা কমিশন কেন খরচ করবে? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি৷ আদালত বলে, একজন প্রতিনিধি এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন অন্য একজনকে সেই আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য৷ সেক্ষেত্রে কেন জনগণের করের টাকা এই উপনির্বাচনে খবর হবে? অন্য কোনও খাত থেকে এই টাকা খরচ করা যায় কিনা, এটা জরিমানার আকারে তোলা যায় কিনা, সেই বিষয়টি আদালত বিচারাধীন রেখেছে৷ এ প্রসঙ্গে কমিশন তাঁদের বক্তব্য জানাবে৷ 

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন৷ একটি উপনির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কীভাবে তৈরি হল, সে বিষয়ে কমিশনকে  হলফনামা দিতে বলে হাইকোর্ট৷ প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছিল, ‘ভবানীপুরে সম্ভাব্য প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও কেন্দ্র থেকে তিনি জিতে না এলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে৷’ মুখ্যসচিব কী ভাবে এই ধরনের চিঠি লিখলেন? তাঁর ভূমিকা এখানে কী? এবং মুখ্য সচিবের সেই চিঠি পাওয়ার পর কী ভাবে একটি মাত্র কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন? অন্য কেন্দ্রগুলির জন্য কেন আইন প্রযোজ্য হচ্ছে না? আদালতের এই প্রশ্নের উত্তর হলফনামায় দিতে পারেনি কমিশন৷ উল্টে মুখ্যসচিবের চিঠি নিয়ে আদালতে সওলায়-জবাবের দাবি জানায় আদালতের কাছে৷ এর পরেই নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ একের পরেই প্রধান বিচারপতি এক প্রশ্ন বাণ ছুড়ে দেন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *