কলকাতা: শহর মেতেছে শরদোৎসবে৷ কিন্তু, তাঁদের ধর্না অব্যাহত৷ চাকরির দাবিতে ষষ্ঠীর দিনেও ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের চাকরিপ্রার্থীরা৷
আরও পড়ুন- হিন্দু মহাসভার পুজোয় অসুররূপী ‘বাপু’! নিন্দার ঝড়, যা বললেন উদ্যোক্তারা প্রধান?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ বলেছেন, এই কটা দিন যেন তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কাটান৷ অন্যদিকে, পুজোর আগেই ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল৷ এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষিত সব চাকরি প্রার্থীই আবেদন জানাতে পারবেন৷ পুজোর পর নিয়োগের প্রস্তুতির জন্য অন্তত তাঁরা যেন ঘরে ফিরে যান৷ কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনঢ় ওয়েটিং লিস্টের চাকরিপ্রার্থীরা৷ তাঁদের দাবি, টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিতদের নিয়োগপত্র দেওয়া না হলে তাঁরা ধর্না মঞ্চ ছেড়ে উঠবেন না৷
২০১৪ সালে টেট পাশ করেছিলেন অচিন্ত্য সামন্ত৷ তিনি বলেন, ‘‘পর্ষদ মোট ১১ হাজার প্রার্থী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে৷ অথচ ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ধরলেই সংখ্যাটা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে৷ ফলে ২০১৪ সালের প্রার্থীদের বঞ্চিতই থাকতে হবে৷ আমাদের সকল প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে হবে৷’’
আবার যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মণ্ডলের কথায়, মহাসমারোহে ষষ্ঠী পুজো হচ্ছে৷ বাংলার মানুষ আনন্দে ভাসছে৷ কিন্তু ৫৬৬ দিন ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে রয়েছেন হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ এটা খুবই যন্ত্রণার৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>