নয়া শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব কোন দিকে?

নয়া শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব কোন দিকে?

060e1345c1ebbfef3056dff42315f128

 

b0276218ac641a407afed15572e23b5b
কিংকর অধিকারী

নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি(২০২০)-তে প্রচলিত মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দিয়ে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ভিত্তিতে নতুন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে আটটি সেমিস্টারের মধ্য দিয়ে তা সম্পন্ন হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৫০% স্কুল ও উচ্চশিক্ষার স্টুডেন্টকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই সময়কালে স্থানীয় কাঠের মিস্ত্রী, মালী, কুমোর, শিল্পী প্রমুখের কাছে ১০দিনের ব্যাগবিহীন ইন্টার্নের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে ১২ ক্লাস পর্যন্ত ছুটির দিন সহ বৃত্তিমূলক বিষয়ে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিতে হবে।

 মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার বিষয় বা সিলেবাস একসময় শিক্ষাজগতের দিকপালগণ তৈরি করেছিলেন। এই শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হয় সমস্ত শিক্ষার ভিত। একটি বৃক্ষের প্রধান কান্ড কিছুটা উঠে যাওয়ার পর শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়। এই প্রধান কাণ্ডটি দুর্বল হলে তার উপর অন্যান্য শাখা প্রশাখার ভার সে বহন করতে পারে না। শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা হল প্রধান কাণ্ডের মতো। এই সামগ্রিক শিক্ষা গ্রহণের পরই একজন শিক্ষার্থী বেছে নেয় তার পছন্দের দিকগুলি। তার আগেই যদি আমরা সেই প্রধান কাণ্ডটির উপর আঘাত করি তাহলে শিক্ষার ভিতটাও দুর্বল হয়।  

আরও পড়ুন- জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষাকে প্রাণে মারবে, না জানে বাঁচাবে?

 একটা জিনিস দীর্ঘদিন ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, শিক্ষার গুরুতকে ক্রমশ যেন হাটে বাজারের স্তরে নামিয়ে আনা হচ্ছে। শিক্ষাকে আজ এমন জায়গায় নামিয়ে আনা হয়েছে যে, শিক্ষিত ব্যক্তিরাও ভাবতে শিখে গিয়েছেন যে শিক্ষার প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হলো রোজগার। রোজগার আমাদের করতেই হবে একথা কেউ অস্বীকার করি না। কিন্তু যেভাবেই হোক সস্তায় ডিগ্রী পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার উদ্দেশ্য কোনভাবেই সফল হতে পারেনা। সেমিস্টার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নিজস্ব নম্বর দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এলাকার মাতব্বরদের চাপ তৈরি হবে। প্রকৃত মূল্যায়নের গুরুত্ব কমে যাবে। তাছাড়া সেমিস্টার ব্যবস্থায় সিলেবাসের অল্প অল্প অংশ ভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ার জন্য সামগ্রিক জ্ঞান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেকের মনে হতে পারে এর ফলে কাউকে আর বেকার থাকতে হবে না। ছোট থেকে কিছু অন্তত করে কম্মে খেতে পারবে। বাস্তব কি তাই? বর্তমানে যেভাবে বেকার সংকট তা কি এভাবে সমাধান সম্ভব? বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এদের এই শিক্ষা কতখানি কাজে লাগবে? হাতের কাজ জানা মানুষের আজ অভাব নেই। বর্তমানে হাতের কাজ শিখে কর্মসংস্থান সম্ভব কি? কত ভিপ্লোমা, ডিগ্রীধারী ইঞ্জিনিয়াররা পাশ করে কাজের আশায় হাহাকার করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামান্য ডোম কিংবা জঙ্গল পাহারা দেওয়ার কাজে ইঞ্জিনিয়ার, এমএ, এমএসসি, এম ফিল, পিইচডি ডিগ্রিধারীরাও চাকরি পাওয়ার আশায় লাইন দিয়েছে। দু-তিন হাজার পোস্টের জন্য ২৫/৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কোথাও কোন চাকরি-বাকরি নেই। বেকার বিস্ফোরণের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে সর্বত্র। লক্ষ লক্ষ সরকারি পদের বিলোপ ঘটানো হচ্ছে। সরকারি ক্ষেত্রগুলিকে ক্রমাগত বেসরকারি মালিকদের হাতে লুটের জন্য তুলে দেওয়া হচ্ছে। সামান্য অর্থের বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে গাধার খাটুনি খাটিয়ে নেওয়ার মধ্যযুগীয় বর্বর সংস্কৃতি আধুনিক যুগে আমদানি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রকৃতই বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব? এর মাধ্যমে মৌলিক শিক্ষা দুর্বল হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে মৌলিক বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া হতো। তার ফলে ছোট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনের এবং শিক্ষাগত জীবনের ভিত্তি রচিত হত।

আরও পড়ুন- জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষাকে প্রাণে মারবে না জানে বাচাবে? ২য় পর্ব

'ম্যান মেকিং', 'ক্যারেক্টার বিল্ডিং' যে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য তা আজ প্রায় ভুলুণ্ঠিত হতে বসেছে। এই কমন শিক্ষাটি গ্রহণ করার পর তারা তাদের পছন্দমত বিষয়গুলি বেছে নিয়ে পড়ার সুযোগ পেত। মৌলিক বিষয়গুলোর পরিবর্তে হাতের কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে শিক্ষার গুণগত মান নষ্ট হবে। ছোটো থেকে যথার্থ শিক্ষিত মানুষ গড়ে তোলার পরিবর্তে বৃত্তিমুখী শিক্ষা দানের মাধ্যমে তার মূল শিক্ষার গুরুত্বকে নষ্ট করে দেওয়া হবে। একজন অতি সহজে ডিগ্রি পাবে কিন্তু শিক্ষার মান নিম্নমুখী হবে।

এভাবে ধীরে ধীরে শিক্ষার গুণগত মান ক্রমশ নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেবল ডিগ্রী পাক, কিন্তু বিচার, বুদ্ধি, বিবেক, শিরদাঁড়া সোজা করা মনুষ্যত্ব সৃষ্টির জায়গাটা যেন তৈরি না হয়। বাইরে থেকে শিক্ষার ঠাটবাটটি বজায় রাখা হচ্ছে আর ভেতরটাকে সুকৌশলে পুরোপুরি অন্তঃসারশূন্য করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষিত আর অশিক্ষিতর মধ্যে চেতনাগত ফারাকটা আরো কমবে! বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, “কোনও একটি বিষয়ে মানুষকে বিশেষজ্ঞ বানানোই যথেষ্ট নয়। সুপ্রশিক্ষিত করে তাকে ভালো যন্ত্র বানানো যেতে পারে, কিন্তু তার মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। একজন শিক্ষার্থীর সুন্দর অসুন্দরের চেতনা, ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা এবং মূল্যবোধের প্রতি আকর্ষণ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। না হলে কেবল কিছু বিষয়ে বিশেষত্ব অর্জন করলে তাকে প্রশিক্ষিত কুকুর বলা যায়, উন্নত মানুষ নয়। অপরিণত অবস্থাতেই বিশেষজ্ঞ করবার প্রচেষ্টা এবং প্রতিযোগিতামূলক বিষয়গুলিতে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া মানবিক দিক থেকে একজনকে মুষড়ে ফেলে এবং তার সংস্কৃতি জগতের পরিবর্তন ঘটায়।” (এডুকেশন ফর ইন্ডিপেন্ডেন্ট থট: আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫২)

অনেকেই জানেন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কাছে একবার এক ইংরেজ সাহেব সুপারিশ করে বলেছিলেন যে, ইউরোপিয়ানরা অনেক কষ্ট করে এদেশে এসে প্রয়োজনের তাগিদে দেশীয় শিক্ষা গ্রহণ করছে। তাদের বৃথা কষ্ট না দিয়ে (ফেল না করিয়ে) পাশ করিয়ে দিলে কেমন হয়? বিদ্যাসাগর সেই সাহেবের চোখের উপর চোখ রেখে বলেছিলেন প্রকৃত যোগ্যতা অর্জন না করলে কোন মতেই তাঁর পক্ষে পাশ করিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বিদ্যাসাগর মশাই গণশিক্ষার পক্ষে লড়াই করেছিলেন ঠিকই কিন্তু তিনি আগাগোড়াই মনে করতেন গণশিক্ষার নামে যেন গুণগতমান নষ্ট না হয়। যেটুকু শিক্ষার বিস্তার ঘটবে তা যেন প্রকৃত মান অর্জনে সহায়ক হয়। শিক্ষার গুণগত মানকে কোন মূল্যেই তিনি নষ্ট করতে দেননি। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি এভাবেই ঢেলে সাজাতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ?  

আরও পড়ুন-  জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষাকে প্রাণে মারবে না জানে বাচাবে? ৩য় পর্ব

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে ড্রপআউটের অন্যতম কারণই ছিল পড়ুয়ারা তাদের মনের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পেত না৷ কিন্তু নয়া শিক্ষানীতি তাদের সেই সুযোগ করে দেবে৷ এখন আর বিজ্ঞান, কলা বা বণিজ্য বিভাগের গন্ডির মধ্যে আটকে থাকবে না শিক্ষার্থীরা৷ তারা যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে৷ অঙ্কের পাশাপাশি শিখতে পারবে সঙ্গীত৷ কিংবা বিজ্ঞানের পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিং৷’’ সত্যি কি তাই? অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল চালু থাকা সত্ত্বেও প্রথম শ্রেণীতে যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয় অষ্টম শ্রেণীতে গিয়ে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে গিয়ে দাঁড়ায়। এই ড্রপ আউটের কারণ কি পছন্দ মতো বিষয় না পাওয়ার জন্য? নাকি আর্থ-সামাজিক বিষয়টির মধ্যে আসল সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে? শহরে কিংবা মফস্বলে বিভিন্ন দোকানে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায় শিশু বয়স থেকেই বাবা-মায়েরা অভাবের তাড়নায় রোজগারের জন্য তাদের কাজে পাঠিয়ে দিয়েছে। যে দেশে ১ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ রয়েছে এবং ক্রমাগত এই সম্পদ আরো বেড়ে চলেছে সে দেশের শিশুশ্রম, বেকারত্ব, অসাম্য আরো তীব্রতর হবে। আসল সমস্যাকে জিইয়ে রেখে সিলেবাসের মধ্যে হালকা বিষয় ঢুকিয়ে দিয়ে কি ড্রপ আউট কমানো যাবে?

নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, সাহিত্য, খেলা, গান সহ সকল বিষয়ে একসঙ্গে পড়ার সুযোগ থাকবে। কোন বিভাজন থাকবে না। থাকবে ৪০ টি ঐচ্ছিক বিষয়। সবকিছুকে একত্রিত করে দেওয়া হবে। যে যা খুশি বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে। পদার্থবিদ্যার সঙ্গে গণিত কিংবা রসায়নের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত কিন্তু তা না নিয়ে যদি সঙ্গীত কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয় রাখা হয় তাহলে পদার্থবিদ্যার মতো মৌলিক শিক্ষার কোনো গুরুত্ব থাকবে কি? এর দ্বারা বিষয় শিক্ষার গভীরতাকে হ্রাস করে দেওয়া হবে। মৌলিক শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন- কলকাতার কলেজে ভর্তির ঢল, ফাঁকা জেলার কলেজ

মাধ্যমিক অর্থাৎ দশম শ্রেণির পরীক্ষার পর বহু ছাত্র-ছাত্রীই ড্রপ আউট হয়ে যায়। এই পরীক্ষা পাশের পর বিভিন্ন কাজে প্রবেশ করার একটা সুযোগ ছিল। বহু অভিভাবক অর্থের অভাবে তাদের সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না। বর্তমান কাঠামোকে বদলে দিয়ে যদি সেমিস্টার পদ্ধতিতে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ভিত্তিতে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাহলে তা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই আর্থিক কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বাধ্য হয়ে পড়াশুনা ছেড়ে দেবে। নতুন নিয়মে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার আগেই ড্রপ আউটের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিয়ে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হলে বর্তমানে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো করে গড়ে তুলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বহু(৪০টি) বিষয়ে শিক্ষকসহ উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আগে তা না করে হঠাৎ করে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিলে তা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। এর সুযোগ নেবে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন, পরীক্ষার বোঝা কমাবে নতুন শিক্ষানীতি, ভার্চুয়াল ঘোষণা মোদীর

আসলে প্রতিটি সরকার জানে “জনগনের অজ্ঞতাই সরকারের শক্তির প্রধান উৎস”। তাই তারা শিক্ষা বিস্তারের নামে বারবার শিক্ষার ভিত্তিমূলে আঘাত হানে। নবজাগরণের চিন্তা চেতনার ভিত্তিতে শিক্ষার যে গুণগত মান গড়ে উঠেছিল তাকে তারা ক্রমশ নিম্নস্তরে নামিয়ে আনছে। খাতা-কলমে ডিগ্রী পাক তাতে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু শিক্ষার মাধ্যমে যেন যুক্তিবাদ, বিজ্ঞান মনস্কতা, গোঁড়ামি মুক্ত মনন গড়ে উঠতে না পারে। তাই শিক্ষার সিলেবাসে ছোট থেকেই বৃত্তিমূলক কিংবা যথাসম্ভব উন্নত চিন্তা চেতনা গড়ে তোলার বিষয়গুলিকে বাদ দিয়ে শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত মনুষ্যত্বহীন তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ গড়ে উঠলে প্রকৃত শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতদের তফাতটাকে এক ধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *