আরও একটু কমল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে মৃত্যু ৩৭৯ জনের

আরও একটু কমল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে মৃত্যু ৩৭৯ জনের

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক কম যা স্বস্তি বাড়াচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রয়েছে আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৮৬২ জন। একই সময় ১৯ হাজার ৩৯১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭৯ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৯২ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮২ হাজার ১০০ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৪১৪ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ০৩ হাজার ৬৭৮ জন। ইতিমধ্যে ৯৭ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৫৩ জন করোনা ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৮৩ জন। 

এদিকে জানা গিয়েছে, দেশের ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হতে বাকি রয়েছে মাত্র ৩ কোটি। নির্দিষ্ট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে, এবং কমপক্ষে ৩০ শতাংশ দুটি ডোজ পেয়েছে। প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন করতে পারবে দেশ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই সময়ের অনেক আগেই এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারা যাবে। তাই এদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে ফেলেছে যে এই মাইলফলক পার করলে কী ভাবে উদযাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, ট্রেন, বিমান এবং জাহাজে এই তথ্যের ঘোষণা করা হবে এবং একই সঙ্গে লালকেল্লায় উঠবে জাতীয় পতাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =

১৫ হাজারের নিচে দৈনিক আক্রান্ত! দেশের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি

১৫ হাজারের নিচে দৈনিক আক্রান্ত! দেশের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক কম যা স্বস্তি বাড়াচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে রয়েছে আজ। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও আশঙ্কার মাঝেই এই পরিসংখ্যান স্বস্তি বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৩১৩ জন। প্রায় সাড়ে সাত মাসের মধ্যে এই সংক্রমণ সর্বনিম্ন বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। একই সময় ২৬ হাজার ৫৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৮১ জনের। একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৭৯ জন। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯২০ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ২০ হাজার ৫৭ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৬৩ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০০ জন। ইতিমধ্যে ৯৫ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪৯ জন করোনা ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। 

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ৬০৬ জন, একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ৫৯৭ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৪৩ জন। এত দিনে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৩০৮ জন। বাংলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯১৪ জনের। আপাতত রাজ্যের সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ। এখনো পর্যন্ত দুটি জেলাকে নিয়ে চিন্তা রয়েছে তার মধ্যে একটি হল শহর কলকাতা এবং অপরটি উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৫ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০৯ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − three =

বাড়ছে টিকাকরণ, তবে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু দেশকে চিন্তায় রাখছে

বাড়ছে টিকাকরণ, তবে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু দেশকে চিন্তায় রাখছে

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা কম ছিল। এখন হালকা বাড়ছে। যদিও সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনই সচেতনতা হারালে চলবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। মনে করা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ করোনার সঙ্গে আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার আতঙ্ক রয়েছে।

আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৫৭০ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ৩০৩ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯২৩ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৭৪ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯২৮ জন। এদিকে টিকাকরণের হার বেড়েছে এবং আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৬ কোটি। মোট সংখ্যা ৭৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৭ হাজার ১৩৭ জন। ছ’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। সেগুলি হল, সিকিম, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউ এবং লাক্ষাদ্বীপ।

আরও পড়ুন- ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব ভাটপাড়ায়, পড়ল বোমা, জখম ২

এদিকে আবার বাংলার বাড়ছে জ্বর আতঙ্ক। দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলার এই পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না। কারণ, একটি রাজ্যের জন্য গোটা দেশের কোভিড চিত্র বদলে যেতে পারে। যেমন হচ্ছে কেরল নিয়ে। সেখানেই দেশের মোট আক্রান্তের সিংহভাগ অংশ। এর মধ্যেই আবার একাধিক জ্বরের আতঙ্ক গ্রাস করেছে বাংলাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে জ্বর তো রয়েছেই, এর সঙ্গে ধরা পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু’র মত রোগ। সব মিলিয়ে সার্বিক চিত্রটা খুবই আতঙ্কের। আরো বড় চিন্তার ব্যাপার হল, এই সব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রায় এক। তাই কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে প্রথমে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না যে সে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =

কমল অ্যাকটিভ কেস, বাড়ছে টিকাকরণ! সুস্থতা স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে

কমল অ্যাকটিভ কেস, বাড়ছে টিকাকরণ! সুস্থতা স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে

নয়াদিল্লি: গতকালের মত আজও সার্বিকভাবে দেশের করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কম, কিন্তু গতকালের তুলনায় বেশি। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝে এই তথ্য হাল্কা চিন্তা বাড়ালেও আপাতভাবে স্বস্তি দেবে সাধারণ মানুষকে। যদিও এখনই সচেতনতা হারালে চলবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। মনে করা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে দৈনিক আক্রান্ত এবং অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমায় স্বস্তি অবশ্যই বাড়ছে।

আরও পড়ুন- ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব ভাটপাড়ায়, পড়ল বোমা, জখম ২

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার ১৭৬ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ০১২ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৭ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ২২ হাজার ১৭১ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৯৭ জন। এদিকে টিকাকরণের হার বেড়েছে এবং আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ কোটি। মোট সংখ্যা ৭৫ কোটি ৮৯ লক্ষ ১২ হাজার ২৭৭ জন। ছ’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। সেগুলি হল, সিকিম, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউ এবং লাক্ষাদ্বীপ।

আরও পড়ুন- BREAKING: পুজোর আগেও চলবে না লোকাল, উৎসবেও বাড়ল বিধিনিষিধের মেয়াদ

তবে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল জানাচ্ছেন, টিকাকরণ শুরু হলেও মাস্ক এখনই ছাড়া যাবে না। কমপক্ষে আরও বছর খানেক মাস্ক পরতেই হবে সকলকে। একই সঙ্গে মানতে হবে কোভিড নিয়ম বিধি। তিনি বলছেন, এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং শিশুদের ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতেই হবে সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − two =

সংক্রমণ, অ্যাকটিভ কেস দুইই কমল দেশে, বাড়ল স্বস্তি

সংক্রমণ, অ্যাকটিভ কেস দুইই কমল দেশে, বাড়ল স্বস্তি

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত রয়েছে, রয়েছে দুই মহামারী একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা। তাই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে, এদিকে, আজ দৈনিক সংক্রমণ কমেছে আগের থেকে। 

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩১ হাজার ২২২ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৪২ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৬৪ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২২ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৩৭ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪২ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৭ জন কলকাতার! সংক্রমণের নিরিখে আজও প্রথম স্থানে এই শহর। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৮৫ জন। তৃতীয় স্থানে হুগলি। একদিনে সেখানকার ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৩৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৭৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৮১ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৬৬৪ জন।

আরও পড়ুন- ১৭৩টি শূন্যপদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ

আবার জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাওয়ে, বসনিয়া, এই সাতটি দেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fifteen =

একদিনে দেশে অনেকটাই বাড়ল সংক্রমণ-মৃত্যু, টিকাপ্রাপ্ত প্রায় ৬০ কোটি

একদিনে দেশে অনেকটাই বাড়ল সংক্রমণ-মৃত্যু, টিকাপ্রাপ্ত প্রায় ৬০ কোটি

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলে গেছে। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিলেও দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি যে একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তা একেবারেই নয়। তার ইঙ্গিত মিলে গেল আজই, কারণ গতকালের তুলনায় আজ দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার! যদিও, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ৩০-৪০ হাজারের মধ্যেই রয়েছে।  

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন। আর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৬৪৮ জনের, জা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, একদিন সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৩২৭ জন। সব মিলিয়ে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৬৬ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮১ জন। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৫৮ জনের। দেশে মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৫৫ লক্ষ ০৪ হাজার ৫৯৩ জন। এদিকে জানা গিয়েছে, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশে এবং অক্টোবর মাসেই সর্বাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটবে! একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে। সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে।

আরও পড়ুন- উদ্ধবকে ‘জোরে থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ভারতে সম্ভবত অতিমারির দিন শেষ হয়ে এসেছে। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে ‘প্যান্ডেমিক’ চলছিল সেটি এখন পৌঁছে গিয়েছে ‘এন্ডেমিক’-এর জায়গায়। ভারতে এখন করোনাভাইরাস এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি এখন অতিমারি পর্যায়ে নেই। অর্থাৎ ভারত এখন অতিমারি কাটিয়ে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে। আসলে যে সময়ে মানুষ ভাইরাস কে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শিখে যায় এবং ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই জীবন কাটায় সেই পর্যায় কে বলা হয় ‘এন্ডেমিক।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি ভারত এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 7 =

অ্যাক্টিভ কেস কমায় স্বস্তি, দেশের করোনা পরিস্থিতি আপাত নিয়ন্ত্রণে

অ্যাক্টিভ কেস কমায় স্বস্তি, দেশের করোনা পরিস্থিতি আপাত নিয়ন্ত্রণে

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। ওদিকে, বাড়ছে সুস্থতার হার। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ৩০-৪০ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার যথেষ্ট ইঙ্গিত মিলছে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ১৭৮ জন। এদিকে,  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৪৪০ জনের। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৫৭। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৫১৯ জনের। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ হাজার ১৬৯ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ৫৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৫৫ লক্ষ নাগরিককে।

আরও পড়ুন- এবারে ভূতের আতঙ্ক খাস মালদহ মেডিকেল কলেজে

এদিকে, গত‌ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। সংক্রমণের শীর্ষে আজ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৭৭ জন। এরপরে রয়েছে, দার্জিলিং, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৬৪ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্ত ১৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬১২ জন। এদিকে একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনা মৃত্যুশূন্য, কিন্তু দার্জিলিংয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যের মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮ জনের। এ নিয়ে মোট ১৫ লক্ষ ১১ হাজার ৫৮৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − five =

আবারও পতন দেশের কোভিড সংক্রমণে, নিম্নমুখী মৃত্যুও

আবারও পতন দেশের কোভিড সংক্রমণে, নিম্নমুখী মৃত্যুও

নয়াদিল্লি: সংক্রমণের ওঠা-নামা আজও অব্যাহত দেশে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু আবারও কিছুটা স্বস্তিতে ভারত। বিগত কয়েক দিনে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু আবার যেন উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছিল। তবে আজকের পরিসংখ্যান কিছুটা ভাল বার্তাই দিচ্ছে। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ হাজার ৯৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৯ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৪২ জনের। এক্ষেত্রেও স্বস্তি দেশবাসীর, কারণ মৃত্যু নিম্নমুখী। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৫৩১ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪০ হাজার ০২৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৭৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪২২ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৮ শতাংশে। 

আরও পড়ুন- সীমান্ত নিয়ে আলোচনার দাবি ‘খারিজ’, প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন রাহুল

দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এতদিন গোটা বিশ্বের শীর্ষে ছিল ভারত কিন্তু এখন কোভিড ভরকেন্দ্র সরে গিয়েছে আমাদের দেশ থেকে। এখন দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ায় পরপর তিন দিন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং পরশু সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। অনুমান করা হচ্ছে, করোনার ডেল্টা প্রজাতির কারণেই সেখানে দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই এখন এশিয়ার নতুন করোনা ভরকেন্দ্র ইন্দোনেশিয়া। গত মাস পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। শেষ কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর হারও ছিল বেশি। গত এক সপ্তাহে সেখানে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯০০ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + eleven =