কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

1ad7f1adca0231130be2bc2c24c5fdd1

নয়াদিল্লি: ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে আগামী অক্টোবর মাসের পর থেকেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হয়তো শুরু হয়ে যাবে। এবার তার থেকে কম বয়সী শিশু এবং কিশোররা কবে থেকে ভ্যাকসিন পেতে পারে তার একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই হয়তো শিশু এবং কিশোরদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। কো-মর্বিডিটি যাদের রয়েছে সেই সমস্ত শিশুদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ কিনল কলকাতা পুরসভা

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুর তিন মাসের মধ্যেই শিশু এবং কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কোন কোন শিশুরা ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার পাবে সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি এবং খুব শীঘ্রই সেই তালিকা চূড়ান্ত হবে বলেও স্পষ্ট করেছেন ওই আধিকারিক। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি হওয়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি কমিটির রিপোর্ট বলছে, করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ে একদিকে যেমন প্রাপ্তবয়স্করা আক্রান্ত হবেন ঠিক তেমনি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে প্রবলভাবে। তবে সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। এই সমস্ত শিশুদের দ্রুত টিকাকরণ যাতে হয়ে যায় তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এই খবর অত্যন্ত স্বস্তির। 

যদিও সংক্রমণের থেকেও আরো বেশি চিন্তার বিষয় দেশের অপর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো। কারণ শিশুদের চিকিৎসার জন্য দেশে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই এবং তাই যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রচন্ড কঠিন হয়ে পড়বে। সেই কারণে আগে থেকেই এই বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ রাজ্য প্রশাসন গুলিকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *