২ লক্ষের নীচে দেশের অ্যাকটিভ কেস, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও কমল অনেকটা

২ লক্ষের নীচে দেশের অ্যাকটিভ কেস, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও কমল অনেকটা

নয়াদিল্লি: দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, এমনটা আগেই মনে করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুমান আরও স্পষ্ট হল আজ কারণ দেশের কোভিড গ্রাফ আরও তলানিতে ঠেকল। ইতিমধ্যে সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে। তবে এখনই যে পুরোপুরি অসতর্ক হওয়া যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে দেশের আজকের কোভিড পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে। আজ অনেক দিন পর দেশের কোভিড গ্রাফ নামল ১৫ হাজারের নীচে।

আরও পড়ুন- অস্বস্তি বাড়িয়ে বঙ্গ BJP-র বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক লকেটের, বাড়ছে জল্পনা

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪০৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৩৫ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ০৭৫ জন। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৪৪ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫১০ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৩৩ হাজার ২২৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৪১ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা কমে হয়েছে ১.২৪ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের ওপর।

অন্যদিকে, জরুরি ভিত্তিতে ১২-১৮ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে কোরবেভ্যাক্স টিকা। এমনটাই জানিয়েছে বায়োলজিকাল ই লিমিটেড সংস্থা। এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই  ভ্যাকসিনের দাম পড়বে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।  দু’টি ডোজের এই ভ্যাকসিন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন এটি। কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনে একটা অ্যান্টিজেন রয়েছে। এই অ্যান্টিজেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের চিলড্রেন হসপিটাল সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভলপমেন্ট এবং বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =

বাড়ছে সংক্রমণের হার, মৃত্যু আজও ৫০০-র ওপরে দেশে

বাড়ছে সংক্রমণের হার, মৃত্যু আজও ৫০০-র ওপরে দেশে

নয়াদিল্লি: দৈনিক সংক্রমণ মোটামুটি এক থাকলেও সংক্রমণ হারে তফাৎ হচ্ছে দেশে। উদ্বেগ বাড়ছে করোনা নিয়ে। অন্যদিকে, সুস্থতার হার আগের থেকে কমেছে যা আলাদা করে চিন্তার বিষয়। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি যে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে তা বলার নয়। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মোট আক্রান্তের ৫.৪৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন- ওমিক্রন ঢেউ শেষ হবে রকেট গতিতেই! রিপোর্টে পূর্বাভাস

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৮৪ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৩ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে হয়েছে ৪ কোটি ০৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৫০০ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৭০০। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা বেরেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এখন তা ১৯.৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ২০৭ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৬৭ ডোজ। ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অন্তত ৭২ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩২৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫৭ জন। এদিকে আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রনই কোভিড-১৯-এর শেষ প্রজাতি নয়। এরপর আরও অনেক প্রজাতি আসতে পারে যারা এর থেকেও বেশি সংক্রামক। অনেকে মনে করছিলেন যে, ওমিক্রন বিরাট সংক্রামক হলেও মৃত্যু হার কম, তাই আদতে এই প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত করোনার আতঙ্ক শেষ করতে পারবে। কিন্তু প্রথম থেকেই ‘হু’ বলেছে অন্য কথা। তারা ওমিক্রনকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে, এও জানিয়েছে যে এই প্রজাতিতে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে তাই একে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − three =

৮ হাজারের নিচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, দেশে কমল মৃত্যুও

৮ হাজারের নিচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, দেশে কমল মৃত্যুও

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির আতঙ্কের মাঝেও দেশের পরিস্থিতি স্বস্তি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কারণ আজ দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটোই কমেছে আগের তুলনায়। একই সঙ্গে কমেছে সংক্রমণের হার। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রশাসন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করতে পিছপা হচ্ছেন না। কারণ এখনও ওমিক্রন নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য সামনে আসেনি তাই সচেতন থাকলেই হচ্ছে সকলকে।

আজ দেশের করোনাভাইরাস তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৯২ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৩ জনের। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৩৬ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২৮ জনের। যদিও এই মৃত্যুর তথ্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে কারণ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কেন্দ্রীয় সরকার মৃত্যুর ব্যাপারে সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না। তাদের ধারণা এর থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে। অন্যদিকে দেশের সংক্রমণের হার এখন দাঁড়িয়েছে ৫.৩০ শতাংশে যা গত একদিনে ০.৬৪ শতাংশ।

এদিকে নতুন করে তথ্য মিলেছে মহারাষ্ট্র নিয়ে। সেখানে করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর তাই বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মুম্বই পুলিশ। এছাড়াও জানানো হয়েছে যে কোনো রকম রাজনৈতিক বা ধার্মিক মিছিল করা যাবে না। ইতিমধ্যেই শুধু মহারাষ্ট্রের নতুন প্রযুক্তিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস তথ্য অনুযায়ী বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৮ জন এবং তাদের মধ্যে ২০৬ জন কলকাতার। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৯৮ জন। এই একই সময় বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৮৪ জন। উদ্বেগজনক ভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় বেড়েছে পজিটিভিটি রেট, তা হয়েছে ১.৬৪ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + one =

দেশের কোভিড গ্রাফ আরও নিম্নমুখী, টিকাপ্রাপ্ত ৮৬ কোটি

দেশের কোভিড গ্রাফ আরও নিম্নমুখী, টিকাপ্রাপ্ত ৮৬ কোটি

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। আজ আরও কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা কম ছিল। মাঝে বেড়েছিল। এখন আবার কিছুটা কম। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। 

আরও পড়ুন- স্বামীর সঙ্গে দিদির বাড়ি যাওয়ার পথে বাইক থেকে ছিটকে লরিতে পিষ্ট মহিলা 

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজার ০৪১ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৬২১ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬২০ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৭২ জন। দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৯৪ জনের। আরও বড় স্বস্তি ‘আর’ ভ্যালু কমে যাওয়ায়। অগাস্টের শেষ এই ভ্যালু ছিল ১.১৭, এখন তা দাঁড়িয়েছে ০.৯২ তে। মোট টিকাকরণ হয়েছে ৮৬ কোটি ০১ লক্ষ ৫৯ হাজার ০১১। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৬২ জনের টিকাকরণ হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

এদিকে চরম সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্ট। তিনি জানাচ্ছেন, জিনের গঠনমূলক পরিবর্তনের ফলেই এমনটা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, আগামী দিনগুলিতে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং শেষমেষ সেটি সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। অন্যদিকে, মারণক্ষমতাও হ্রাস পাবে এই ভাইরাসের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =

দেশের করোনা গ্রাফ আবারও ঊর্ধ্বমুখী, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল

দেশের করোনা গ্রাফ আবারও ঊর্ধ্বমুখী, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিনের যাবতীয় পরিসংখ্যান আতঙ্ক বাড়াচ্ছিল। দেশের আজকের করোনা তথ্যও খুব একটা স্বস্তি দেবে না। সবথেকে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে কেরল রাজ্য কারণে সেখানে দেশের মোট সংক্রমণের অর্ধেক আক্রান্ত রয়েছে! এতদিন ধরে সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যু কিছুটা ওঠানামা করছিল ঠিকই কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছিল পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু আজকের তথ্য বিশেষজ্ঞদের আশাকে অবশ্যই শঙ্কিত করবে। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৪ হাজার ২৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৫ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ২১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪২ হাজার ৩৬০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৭২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৪৪ জন। এদিকে, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ০৫ হাজার ১৫৫ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশের ওপরেই।

এদিকে বাংলাতেও ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৬ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আক্রান্ত নিরিখে আজও রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১০৬ জন। এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে সংক্রমণ, যদিও তা গতকালের তুলনায় কম। এদিকে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং, সেখানে আক্রান্ত ৭৯ জন। সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৬৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা চতুর্থ স্থানে। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৫৬ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৩৯ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 6 =

৩০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ! স্বস্তি বাড়ছে দেশে

৩০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ! স্বস্তি বাড়ছে দেশে

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিনের যাবতীয় পরিসংখ্যান আতঙ্ক বাড়াচ্ছিল। কিন্তু আজকের করোনা তথ্য স্বস্তি দেবে। বহুদিন পর আজ দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নিচে নেমেছে যা অত্যন্ত আশানুরূপ ব্যাপার। এতদিন ধরে সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যু কিছুটা ওঠানামা করছিল ঠিকই কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছিল পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আজকের তথ্য বিশেষজ্ঞদের আশাকে আরও দৃঢ় করবে। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯ হাজার ৬৮৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা তুলনায় অনেকটাই কম। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪২ হাজার ৩৬৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৪৬৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ১০০ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশের ওপরেই।

আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় এবার পুলিশের জালে ভুয়ো IPS, উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৭ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আক্রান্ত নিরিখে আজও রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ জন। এদিকে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং, সেখানে আক্রান্ত ৬৪ জন। সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নদিয়া জেলা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪৯ জন। কলকাতার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এদিন আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৯৬ জন। 

আরও পড়ুন- ফের শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি

এদিকে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে হার্ড ইমিউনিটি লাগে সেটা এখনো দেশে আসেনি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পালন করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি। হার্ড ইমিউনিটি সঠিকভাবে তৈরি হয়নি বলেই দেশের নানা জায়গায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে যে আগামী কমপক্ষে ৩ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। চিকিৎসক মহলের একাংশ আবার ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ভারতে অন্ততপক্ষে ৯৮ দিন স্থায়ী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + nineteen =

অনেকটাই কমে গেল দেশের দৈনিক মৃত্যু, সংক্রমণে বাড়ছে ভয়

অনেকটাই কমে গেল দেশের দৈনিক মৃত্যু, সংক্রমণে বাড়ছে ভয়

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিনের যাবতীয় পরিসংখ্যান গতকাল ছাপিয়ে গিয়েছে। এতদিন ধরে সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যু কিছুটা ওঠানামা করছিল ঠিকই কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছিল পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গতকালের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান দেশের উদ্বেগ প্রবল ভাবে বৃদ্ধি করে দিয়েছিল। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ১০ গুণ! তবে আজ সেই সংখ্যার অবনমন ঘটলেও দৈনিক সংক্রমণ একই রইল প্রায়। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১ হাজার ৩৮৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭২০ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫০৭ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। আপাতত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৬৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪ লক্ষ ২৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৩৯৪ জন। এদিকে, দেশের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশের ওপরেই।

আরও পড়ুন: আগামী ১২০-২৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ! ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

এদিকে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে হার্ড ইমিউনিটি লাগে সেটা এখনো দেশে আসেনি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পালন করতে হবে করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি। হার্ড ইমিউনিটি সঠিকভাবে তৈরি হয়নি বলেই দেশের নানা জায়গায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই দাবি করা হচ্ছে যে আগামী কমপক্ষে ৩ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের জন্য। চিকিৎসক মহলের একাংশ আবার ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ ভারতে অন্ততপক্ষে ৯৮ দিন স্থায়ী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − one =

প্রায় ৮% বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ! তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক বৃদ্ধি

প্রায় ৮% বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ! তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক বৃদ্ধি

নয়াদিল্লি: দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু আবারও চোখ রাঙাচ্ছে দেশে। বিগত কয়েক দিনে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু আবার যেন উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ভারতের করোনার দৈনিক সংক্রমণ। দেশের উত্তর-পূর্ব নিয়ে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এদিকে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১ হাজার ৮০৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৮০ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৮১ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৯৮৯ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে অনেক দিন আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৯ হাজার ১৩০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৫০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৪১ জন।

আরও পড়ুন- সীমান্ত নিয়ে আলোচনার দাবি ‘খারিজ’, প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন রাহুল

তবে কিছুটা স্বস্তির খবর এই যে, দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এতদিন গোটা বিশ্বের শীর্ষে ছিল ভারত কিন্তু এখন কোভিড ভরকেন্দ্র সরে গিয়েছে আমাদের দেশ থেকে। এখন দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ায় পরপর তিন দিন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং পরশু সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি। অনুমান করা হচ্ছে, করোনার ডেল্টা প্রজাতির কারণেই সেখানে দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই এখন এশিয়ার নতুন করোনা ভরকেন্দ্র ইন্দোনেশিয়া। গত মাস পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। শেষ কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর হারও ছিল বেশি। গত এক সপ্তাহে সেখানে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯০০ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =

এক লাফে দেশে দৈনিক মৃত্যু বাড়ল অনেকটা! তবে সুস্থতাই আশা

এক লাফে দেশে দৈনিক মৃত্যু বাড়ল অনেকটা! তবে সুস্থতাই আশা

নয়াদিল্লি: আবার আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু আবারও চোখ রাঙাচ্ছে। বিগত কয়েক দিনে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু আবার যেন উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। কারণ দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত একদিনে বেশি না বাড়লেন সামগ্রিকভাবে চিন্তা বাড়ছে দেশের।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯১৬ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২০৬ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ৭ হাজার ১৪৫ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৫ হাজার ২৫৪ জন। সুস্থতার হার প্রায় সাড়ে ৯৭ শতাংশ। আপাতত অ্যাকটিভ কেস ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩ জন। 

আরও পড়ুন- ভারত সরকারের কৌঁসুলি পরিচয়ে প্রতারণা সনাতনের, BJP-কে চিঠি কলকাতা পুলিশের

অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই করোনা সামাল দিতে নয়া আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকার আপৎকালীন প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। এই নয়া প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তবে করোনার একাধিক প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে দেশে। ‘আলফা’, ‘বিটা’, ‘গামা’, ‘ডেল্টা’, ‘ডেল্টা প্লাস’… করোনার একাধিক প্রজাতি নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী, গবেষকদের চিন্তার শেষ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, ‘ডেল্টা’ হল সবথেকে সংক্রামক প্রজাতি করোনা ভাইরাসের। পৃথিবীর একাধিক দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তৃতীয় ঢেউ নাকি এই প্রজাতির জন্যই আসবে। তবে এখন আবার সকলের চিন্তা বাড়াল এই ‘কাপ্পা’, তার সঙ্গে রয়েছে করোনা অন্য এক প্রজাতি, ‘ল্যামডা’। মনে করা হচ্ছে, ‘ল্যামডা’ই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সক্রিয় করোনার অন্য প্রজাতিদের তুলনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =

কিছুটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুও

কিছুটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুও

নয়াদিল্লি: আবার আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা আতঙ্ক। কারণ দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু আবারও চোখ রাঙাচ্ছে। বিগত কয়েক দিনে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু আবার যেন উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। কারণ দৈনিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৯৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫০ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯১১ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৯৩৯ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। গত একদিনে দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫৯ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮৪ জন। দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২৭। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশের ৩৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯১ হাজার ২২২ জনের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে গতকালই করোনা সামাল দিতে নয়া আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকার আপৎকালীন প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। এই নয়া প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।

আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে জিকা, জারি সতর্কতা

অন্যদিকে আবার জিকা ভাইরাস নিয়ে নয়া আতঙ্ক দেশে। কেরলে ইতিমধ্যেই জিকা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে৷ তাই জিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় পদক্ষেপের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে৷অদূরেই রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা৷ আর সেই আশঙ্কার মাঝেই জিকা ভাইরাসের হানা৷ এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করল রাজ্য সরকার৷ সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে একটি পরামর্শদাতা কমিটি৷ শুরু হয়েছে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − fifteen =

প্রায় ৯ হাজার! এক ধাক্কায় দেশে অনেকটাই বাড়ল সংক্রমণ, মৃত্যু

প্রায় ৯ হাজার! এক ধাক্কায় দেশে অনেকটাই বাড়ল সংক্রমণ, মৃত্যু

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন বদলাচ্ছে দেশে। গতকাল প্রায় ১১১ দিন পর দৈনিক আক্রান্ত এত কম হয়েছিল দেশে, কিন্তু আজ পুরো ছবিটা পাল্টে গেল। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯ হাজার বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা! এর পাশাপাশি মৃত্যুও বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতে। সব মিলিয়ে এক দিনের মধ্যেই অস্বস্তিতে দেশ।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৩৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৬৫ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯৩০ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ৪ হাজার ২১১ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় ২.২৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে দেশের আক্ষরিক সংক্রমণের হার ৭.২৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে টানা ১৬ দিন ধরে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচেই থাকল। তবে দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২০। 

আরও পড়ুন- অগ্নিমূল্য জ্বালানি, প্রতিবাদে সিঙ্গুর থেকে সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় বেচারাম

অন্যদিকে বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬২ জন। সংক্রমণ আগের থেকে অনেক কম হলেও এখনও রাজ্যে আক্রান্তের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ৯২ জন। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। এখানে করোনার কবলে এক দিনে পড়েছেন ৫৯ জন। এরপরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৫। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৩৫ ও ৪৯ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৭ হাজার ২৪১ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে এক দিনে জয়ী হয়েছেন ১ হাজার ৬২০ জন। এখনও পর্যন্ত মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১৩২ জন। অন্যদিকে, রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৮৩৪ জন। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৭.৬৭ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

৫ শতাংশ কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, লাগাম মৃত্যুর সংখ্যাতেও

৫ শতাংশ কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, লাগাম মৃত্যুর সংখ্যাতেও

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন বদলাচ্ছে দেশে। গত দুদিনে কিছুটা যেন ‘ইউ টার্ন’ নিয়েছিল দেশের কোভিড গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং দৈনিক মৃত্যুতে তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে ভারত। তবে আজ আবার সংক্রমণে লাগাম পড়ল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ শতাংশ কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, একই সঙ্গে কমল মৃত্যুও। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১১১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার ৩৬২ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৮ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১ হাজার ৫০ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যায় আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু ৪ লক্ষ ছাড়াল। দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় ২.৩৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে দেশের আক্ষরিক সংক্রমণের হার ৭.৩২ শতাংশ। 

আরও পড়ুন- ফের ভোট বঙ্গে, ‘ভাগ্য পরীক্ষা’ মুখ্যমন্ত্রীর! সম্মতি নির্বাচন কমিশনের!

উল্টোদিকে, বাংলার কোভিড সংক্রমণও আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আজ সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ১৫৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে কলকাতা। এখানে করোনার কবলে এক দিনে পড়েছেন ১৩৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৯। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৪ ও ৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২ হাজার ৭০৬ জন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ২১৯ জন। করোনাকে হারিয়ে এক দিনে জয়ী হয়েছেন ১ হাজার ৮৪০ জন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =

একদিনে দৈনিক আক্রান্ত বাড়ল ২২%, তবে নিম্নমুখী মৃত্যু

একদিনে দৈনিক আক্রান্ত বাড়ল ২২%, তবে নিম্নমুখী মৃত্যু

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ১০২ দু’দিন পর দেশের দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম হয়েছিল গতকাল। কিন্তু আজ আবার কিছুটা বাড়ল দৈনিক আক্রান্ত। কিন্তু সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৫১ জন। অর্থাৎ এক লাফে দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ২২ শতাংশ! এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৪৮ জন। 

তথ্য বলছে, এদিনও দেশের দৈনিক মৃত্যু এক হাজারের নীচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮১৭ জনের, যা গতকালের তুলনায় কম। এ নিয়ে করোনা ভাইরাস পর্বে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৫৪ জনের। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ০৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৭২৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৩০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এদিকে, দেশে সংক্রমণের হার এখন ৭.৪০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার মাত্র ২.৩৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন- মমতার ব্যাপক প্রশংসা, ধনকড়ের ইস্তফা চাইলেন ‘জৈন’ মামলা ফাঁসের কারিগর

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ জন। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এখনও সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ১৭৬ জন, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ১৬৭ জন। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং, একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। শহরের আক্রান্তের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম। আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা চতুর্থ স্থানে। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ১৩১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩০৫। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫১০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 5 =

৮৮ দিনে সবচেয়ে কম দৈনিক আক্রান্ত, দেশে বাড়ছে স্বস্তি

৮৮ দিনে সবচেয়ে কম দৈনিক আক্রান্ত, দেশে বাড়ছে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আগেই করোনাভাইরাস যুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত। ৮৮ দিন পর আজ দৈনিক সংক্রমণ এতটা কম দেশে। অনেকটাই কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা এখনো চিন্তার ভাঁজ ফেলে রেখেছে দেশবাসীর কপালে। তবে সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৬ জন। ৮৮ দিন পর এতটা কম। এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২২ জনের। গত্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ১৯০ জন। সব মিলিয়ে দেশে মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ২২১ জন, এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৫ জন। এদিকে, মোট করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২ কোটি ৮৮ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৯৯ জন। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭ লক্ষ ২ হাজার ৮৮৭ জন। ইতিমধ্যেই দেশে ২৮ কোটি ৩৬ হাজার ৮৯৮ জনের টিকাকরণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! চলবে এক বছর

সাম্প্রতিক ভাবে অস্বস্তি কিছুটা কাটলেও এইমস প্রধান রণদীপ গুরেরিয়া যে আশঙ্কা বাণী শুনিয়েছেন তাতে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম উড়েছে সকলের। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত অনিবার্য, এবং তা অনেক আগেই আসবে। তৃতীয় ঢেউ যে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না তা হলফ করে বলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে যে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব তা জানিয়েছেন এইমস প্রধান। তাঁর বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সংক্রমণের ‘হটস্পট’গুলি চিহ্নিত করে কোভিড পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, এবং সাধারণ মানুষকে আগের মতই সতর্ক থাকতে হবে। বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের একাধিক রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে যা এখন একটু হলেই শিথিল। এদিকে, দৈনিক সংক্রমণ আগের তুলনায় কমতে থাকায় আশার আলো দেখছে দেশ। তবে সমস্যা যে এখানেই তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন এইমস প্রধান। বলছেন, এই সময়ে অসতর্ক হলেই বিপদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 14 =