একদিনের বিরিয়ানি নাকি পাঁচ বছরের জন্য ডালভাত? BJP-র টাকা বিলিতে তোপ অভিষেকের

একদিনের বিরিয়ানি নাকি পাঁচ বছরের জন্য ডালভাত? BJP-র টাকা বিলিতে তোপ অভিষেকের

পান্ডুয়া :  পান্ডুয়ার জনসভা থেকে বিজেপি’র বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নোটবন্দী থেকে লকডাউন, একাধিক ই্যসুতে তুলোধেনা করলেন দিল্লি সরকারের৷ তিনি বলেন, ২ মাস ধরে ১৩০ কোটি মানুষকে নোটবন্দীর নাম করে লাইনে দাঁড় করিয়ে বলেছিল কালো টাকা ধ্বংস করবে৷ কালো টাকা কি ধ্বংস হয়েছে? উল্টে গরিব আরও গরিব আর বড়লোক আরও বড়লোক হয়েছে৷ পুঁজিপতিদের হাতে দেশকে বিক্রে করে দিয়েছে৷ মোদীর ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া টাকা মনাষের অ্যাকাউন্টে ঢুকুছে৷ 

আরও পড়ুন-  মমতা আসলে নিজের প্রার্থীদেরই গদ্দার বলছেন! ব্যাখ্যা দিলেন অধীর

তিনি বলেন, বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি৷ বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে বিনা পয়সায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য দেওয়া হয় না৷ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের পড়াশোনা করার জন্য ট্যাব বা স্মার্ট ফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ বিজেপি এখানেও রাজনীতি দেখছে৷ কিন্তু ওরা মুর্খের দল৷ যাদের ফোন দেওয়া হচ্ছে তারা কি ভোট দেবে? ওদের তো ১৮ বছরই হয়নি৷ বেঁধেন অভিষেক৷  

তিনি আরও বলেন, বিজেপি বলেছিল ১০ কোটির মধ্যে ১ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত দেওয়া হবে৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে স্বাস্থ্যসাথী দিয়েছেন৷ নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন লকডাউন৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সমস্যা দূর করতে দিয়েছিলেন বিনা পায়সায় রেশন৷ ভোট কিনতে বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে টাকা বিলি করছে৷ কিন্তু আপনাদেরই এটা ঠিক করতে হবে, একদিন বিরিয়ানি খাবেন না পাঁচ বছর ডাল-ভাত খাবেন৷ এই সিদ্ধান্ত মানুষের৷ 

আরও পড়ুন- ভোট এলেই লোক মারে অমিত শাহ, সুকমায় মাও হামলা নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাস্তায় একটা নলকূপ বসানোর জন্যই দিল্লি থেকে অনুমতি আনতে ছুটবেন দিলীপ ঘোষ৷ অন্যদিকে, আপনাদের দুয়ারে সরকার পৌঁছে দিয়েছে আপনাদের ঘরের মেয়ে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে বিনা পয়সায় রেশন৷ জুমলাবাজরা দিচ্ছে বিনা পয়সায় ভাষণ৷ যারা কোনও দিনও বাংলার কথা ভাবত না তাঁরা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে৷ বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে৷ আর বাংলার মানুষ বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আনতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =

প্রধানমন্ত্রীর কাছে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনের খবর থাকে, অনাহারে লোক মরলে খবর থাকে না: অভিষেক

৫০ দিন সময় চেয়ে ৫ বছরেরও কালো টাকা ধ্বংস করতে পারেনি, ৫ বছর সময় চেয়ে ৫০ বছরেও সোনার বাংলা করতে পারবে না 

দাসপুর:  দাসপুরের সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷  উন্নয়নের খতিয়ান তুলে বিঁধলেন বিজেপি’কে৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দিদি বলছে খেলা হবে, আমরা বলছি উন্নয়ন হবে৷ মোদীর উন্নয়ন আর বিজেপি’র উন্নয়ন মানে কৃষক আত্মহত্যা, নাবালিকা গণধর্ষণ৷ বিজেপি’র উন্নয়ন মানে বেকারত্ব আর নারী নির্যাতন, দলিত, তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষদের শোষণ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মানে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, খাদ্য আর শিক্ষা৷’’

আরও পড়ুন-  অসুস্থ সোহম! হাসপাতালে ভর্তি চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন৷ সেই টাকা কেউ পায়নি৷ কারও চাকরি হয়নি৷ কালো টাকা ধ্বংস হয়নি৷ ভারতের অর্থনীতি আজ রসাতলে৷ ৫০ দিনে কালো টাকা ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ ৫০ দিন সময় চেয়ে ৫ বছরেও সেই কাজ তিনি করে দেখাতে পারেনি৷ আর ৫ বছর সময় চাইলে ৫০ বছরেও কাজ করতে পারবে না৷ 

অভিষেক বলেন, আমাদের দিদি দশ বছরে কী কাজ করেছেন সেই রিপোর্ট কার্ড দিয়েছে তৃণমূল৷ মোদীজি সাত বছরে কী কাজ করেছেন? তাঁর রিপোর্ট কার্ড কোথায়? আমরা উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করেছি৷ তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে লড়াই করলে বিজেপি’কে দশ গোল দেব৷ দশ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না৷ তোপ দেগে অভিষেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৬ কোটির গাড়ি চড়ে কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দিচ্ছে৷ আর আমাদের নেত্রী ১০০ টাকার হাওয়াই চটি পরে কৃষকদের ১০ হাজার টাকা দেবেন৷ 

আরও পড়ুন- ১ এপ্রিল BJP-কে এপ্রিলফুল করে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনবে বাংলার মানুষ, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

অভিষেকের কথায়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর থাক, অনাহারে লোক মরলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর থাকে না৷ উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতন হচ্ছে৷ সারা দেশের ১৪ শতাংশ নারী নির্যাতন হয় বিজেপি শাসিত এই রাজ্য৷ সেই খবর তাঁর কাছে থাকে না৷ অপরিকল্পিত লকডাউনের জন্য শয়ে শেয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ট্রেনে আসতে গিয়ে খাবার না পেয়ে জল না পেয়ে শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছে৷ সেই খবর প্রধানমন্ত্রীর  কাছে থাকে না৷ দলিত মেয়ের মৃত্যুর খবর রাখে না মোদী৷ অনাহারে মৃত্যুর খবর রাখে না৷ অথচ হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের খবর থাকে। কারণ তাঁদের লড়াইটা ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে৷ আমাদের লড়াইটা মাঠে, ময়দানে, মানুষের সঙ্গে, মানুষের পাশে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + four =