কলকাতা: বিধানসভা ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং সদস্য বিজেপিতে যোগদান দিয়েছিলেন। এখন তারা বেশিরভাগই বিজেপির প্রার্থী। বাংলায় ক্ষমতায় আসতে গেলে কমপক্ষে ২০০ আসন লাগবে, এই মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, এর কম আসন পেলে বিজেপি গদ্দারদের কিনে নেবে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে নিজের প্রার্থীদেরই গদ্দার বলছেন। এরপরেও মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে বলে আশ্চর্য হচ্ছেন তিনি।
অধীরের যুক্তি, মমতার মন্তব্য আসলে প্রমাণ দেয় যে তিনি আশংকা করছেন যে এখনও তাঁর দলের মধ্যে গদ্দার রয়েছে। ভোটে জেতার পর হয়তো তারা বিজেপিতে চলে যেতে পারে। সেই কারণেই তিনি মন্তব্য করেছেন, ২০০ আসন না পেলে গদ্দাররা বিজেপিতে চলে যাবে। আসলে তিনি নিজের দলের প্রার্থীদের বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে আক্রমণ করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এর পরেই কার্যত হতবাক হয়ে মন্তব্য করেন, এরপরেও মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে, আর দলীয় সদস্যরা দলে থাকবে! অধীরের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসে যারা রয়েছেন তাদের অনেকেরই আত্মসম্মানবোধ নেই এবার বোঝা যাচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য শোনার পরেও তারা দলে রয়েছেন। আসলে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শিশির অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়… তাবড় প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা এখন বিজেপির। সেই প্রেক্ষিতেই তাদের গদ্দার বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন, এই গদ্দাররা এখনি চলে গিয়েছে, পরে বেশি সংখ্যক আসনে না জিতলে অন্যদের কিনে নেবে বিজেপি।
আরও পড়ুন- সীমান্তে ঢুকল বছর আটেকের বালক, পাক সেনার হাতে হস্তান্তর
ইতিমধ্যেই বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যদি ১৭০-১৮০ আসন না পায় তাহলে সরকার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করবে বলে অনুমান। সেই কারণেই হয়তো মমতার আশঙ্কা যে বেশি সংখ্যক আসন না পেলে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সেই আশঙ্কা থেকেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি।