দাসপুর: মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলোধোনা করলেন বিজেপিকে। তাঁর চ্যালেঞ্জ, প্রখর রৌদ্রে যাঁরা জনসভায় আসে, তাঁরা শুধু ভাষণ শুনতে আসেন না৷ তাঁরা ১ এপ্রিল বিজেপি’কে এপ্রিলফুল করে তৃণমূলকে ফের ক্ষমতায় আনবে৷ দাসপুরকে বিজেপি’র বাঁশপুর করে ছাড়বে৷
আরও পড়ুন- ‘আগে ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখা!’ বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ মমতার
অভিষেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে৷ ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে বিজেপি’র কোনও চোর আর ধরা পড়বে না৷ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর থাক, অনাহারে লোক মরলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর থাকে না৷ উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতন হচ্ছে৷ সারা দেশের ১৪ শতাংশ নারী নির্যাতন হয় বিজেপি শাসিত এই রাজ্য৷ সেই খবর তাঁর কাছে থাকে না৷ অপরিকল্পিত লকডাউনের জন্য শয়ে শেয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ট্রেনে আসতে গিয়ে খাবার না পেয়ে জল না পেয়ে শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছে৷ সেই খবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকে না৷ অথচ হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের খবর থাকে। কারণ তাঁদের লড়াইটা ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে৷ আমাদের লড়াইটা মাঠে, ময়দানে, মানুষের সঙ্গে, মানুষের পাশে৷
আরও পড়ুন- ‘মেদিনীপুরের কিছু গদ্দার, মীরাজাফরদের পুষেছিলাম’, নাম না করে ফের আক্রমণ মমতার
তৃণমূল সাংসদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিজেপি’র বড় বড় নেতারা দিল্লি থেকে কলকাতায় নিত্যযাত্রা করছে৷ এখানে এসে ক্যাম্প করে বসে পড়েছেন৷ আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ছাড়া করতে গিয়ে তোমরা দিল্লি ছাড়া হবে৷ কোনও রাজ্যকে, দেশকে সোনার করতে পারেনি আর বাংলাকে সোনার বাংলা করবে বলছে৷ দিলীপ ঘোষ গরুর দুধ থেকে সোনা বার করতে আর সেই সোনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর জেপি নাড্ডা সোনার বাংলা করবে৷
অভিষেক বলেন, ‘‘আমার উপর আক্রমণ হচ্ছে ক্ষতি নেই৷ আমি মীরজাফর নই৷ আমার শিরা কাটলেও গলা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই বেরবে৷ আপনাদের জেদ বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করার৷ আমার জেদ বাংলা থেকে বহিরাগতদের বিতারিত করব৷’’ তাঁর হুঙ্কাপ, ২ তারিখ ফল ঘোষণা হলে পদ্মফুল চোখে সরষে ফুল দেখবে।