হলদিয়া: বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে বিজেপি কিনে নিয়েছে এবং তাদের দিয়ে নিজেদের প্রচার করাচ্ছে, এই ধরনের অভিযোগ এর আগেও তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হলদিয়ায় জনসভা করে ফের একবার সেই অভিযোগ উস্কে দিলেন তিনি। দাবি করলেন, কয়েকটা টেলিভিশন চ্যানেলকে কিনে নিয়ে, তাদের মালিকদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের প্রচার করছে বিজেপি। বলছে তারা নাকি ৬৮ শতাংশ ভোট পাবে! এই প্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, আগে ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখাক বিজেপি।
এদিন হলদিয়ার জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, কেউ যেন সিপিএমকে ভোট না দেয় কারণ সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কঙ্কাল কাণ্ডের যারা মালিক তারা এখন বিজেপিতে বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে মমতা বলেন, এখন বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলকে ভয় দেখিয়ে তাদের দিয়ে নিজেদের প্রচার করাচ্ছে বিজেপি। টাকা দিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে তারা। ৮ শতাংশ ভোট পাবে কিনা জানা নেই, ৬৮ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথা বলছে। এই প্রসঙ্গে জনসভায় আগত সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ২৭ তারিক সকলে এমন গোল মারবেন যাতে বিজেপি বোল্ড আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়! একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকে দাঙ্গাকারী এবং কৃষক হত্যাকারী বলে আক্রমণ করেন। তিনি আরো বলেন, একদিকে রয়েছে বিজেপি’র মতো দল৷ আর অন্যদিকে রয়েছে মেদিনীপুরের কিছু গদ্দার, মীরাজাফর৷ যাঁদের আমি এতদিন পুষেছিলাম৷ যাঁদের জন্য মিলন মণ্ডলকে ২ বছর জেলে থাকতে হয়েছে৷ আনিসুরকে জেলে ভরে দিয়েছে৷ এই আনিসুরের বাইকে করেই আমি নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলাম৷ সেই সময় সিপিএমের হার্মাদরা আমাকে নন্দীগ্রমে পৌঁছতে দিচ্ছিল না৷ যাঁকে পছন্দ হতো না তাঁকেই জেলে ভরে দিত৷ সিপিএমের হার্মাদরা নন্দীগ্রামের কত লাশ এই হলদি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল৷
আরও পড়ুন- ফের টলিউড যোগ রাজনীতিতে, তৃণমূলে এলেন নীল-তৃণা
হলদিয়ার সভা থেকে তিনি আরো বলেন, তাজপুরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে৷ এই বন্দর হয়ে গেলে ২৫ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে৷ আশেপাশের সমস্ত বন্দর এর সঙ্গে যুক্ত হবে৷ হলদিয়ায় ‘কেবল ল্যান্ডিং সেন্টার’ তৈরি করা হচ্ছে৷ সেখানে আরও ২৫ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি পাবে৷ মৎস্যজীবীদের জন্য ‘মৎস্যজীবী অকশন সেন্টার’ গড়ে তোলা হচ্ছে৷ সেখান থেকে চিন-জাপানে মাছ পাঠানো সম্ভব হবে৷ মৎস্যজীবীদের জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়েছে বলেও তিনি জানান৷