লালাকাণ্ডে ‘পর্দাফাঁস’ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানব কেন?’

লালাকাণ্ডে ‘পর্দাফাঁস’ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানব কেন?’

কলকাতা: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে সরকার চালাচ্ছে, আদতে তারা মা-বোনেদের সম্মান দেয় কিনা, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে যে ইস্যু উঠছে, সব নিয়ে এদিন একযোগে রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাবে আক্রমণ করলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে ‘তোলাবাজ ভাইপো’কে তিনি কেন নেতা মানতে যাবেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে লালা কান্ডের ‘পর্দা ফাঁস’ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তিনি বলেন, তিনি নাম বলেননি শুধু তোলাবাজ ভাইপো বলেছেন, তাতেই কেঁপে যাচ্ছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে তিনি নাকি কারোর স্ত্রীকে ধরে টানাটানি করছেন। ‌এই পরিপেক্ষিতে লালা কান্ডের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি কারোর নাম নেননি শুধু বলেছিলেন ম্যাডাম নারেলার অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, তাতেই রেগে যাচ্ছে, বলছে দেখে নেব! শুভেন্দু জানাচ্ছেন, তিনি রসিদ দেখিয়ে বলেছিলেন যে অনুপ মাঝি ওরফে লালার কয়লার টাকা ম্যাডাম নারেলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এবারও শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন, তিনি খাতাও দেখাবেন। কোন কোন পুলিশ অফিসাররা টাকা নিয়েছেন তার পর্দা ফাঁস করবেন তিনি। 

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পর যোগদানের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি আরও একবার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে প্রশ্ন তুললেন যে, তোলাবাজ ভাইপোকে কেন নেতা মানা হবে। শুভেন্দু বলছেন, “তিনি কে? কবে ছাত্র রাজনীতি করেছেন? কবে যুব রাজনীতি করেছেন? কবে রাস্তায় সিপিএমের বিরুদ্ধে মিটিং, মিছিল করেছেন? কবে পৌরসভা নির্বাচনে লড়ছেন? ২০১১ সালের ২১ জুলাইয়ে দিল্লি থেকে ল্যান্ড করিয়ে তাকে সোনার চামচ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে”।  এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন স্লোগান ‘উন্নততর তৃণমূল’ নিয়েও এদিন খোঁচা মারেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মন্তব্য করেন, উন্নততর তৃণমূল মানে হচ্ছে এবার অনলাইনে কাটমানি খাওয়া হবে। মদের পেটিতেও কাটমানি নেয় এই সরকার। পাড়ায় পাড়ায় পান-বিড়ি-সিগারেটের দোকানে বিক্রি হচ্ছে যা এর আগে বাংলা কখনো দেখেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঠেলায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে! কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সায় প্রসঙ্গে সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষাণ নিধি সম্মান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তমলুক: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষাণ নিধি সম্মান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে চিঠি চালাচালি হয়ে গিয়েছে। এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তমলুকের সভা থেকে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে কোন কথা হয়নি, এখন হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করার কথা বলা হচ্ছে। ঠেলায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে, এই মন্তব্য করে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, একজন নেত্রীর কথা ছিল কাল মহাসমাবেশ করার, কিন্তু এখন তিনি পগারপার! পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন আর দল নেই, একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। যাদের আত্মসম্মানবোধ আছে তারা এই দলে থাকবেন না, কিন্তু যারা ক্রীতদাস তারা এই দলেই থেকে যাবেন। 

এদিকে এদিন উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে সভা করে পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে অভিষেকের বক্তব্য, তিনি বলেছিলেন বাড়িতে পদ্ম ফুল ফোটাতে, সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে দেওয়া হল। তার মানে বাড়িতে আরো উপসর্গহীন রোগী রয়েছে! অভিষেকের কথায়, পদ্মফুল শুকিয়ে যায় কিন্তু ঘাসফুল কাটলে আরো বাড়ে। একি সঙ্গে তিনি আরো বলেন, সব বেইমান আর ডাকাত বিজেপিতে ঢুকে গেছে। তবে যেই হোক কাউকে ছাড়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বহিরাগত ইস্যু নিয়ে এদিন ফের বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে অভিষেক ফের একবার নাম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন এরা সবাই গুন্ডা। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বহিরাগত বলে তোপ দেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তখন যারা ভাঙা সাইকেল চড়তো, এখন গাড়ি চাপছে, অক্সিজেন দিয়েছিলাম আমি: শুভেন্দু

শুধু ভাষণ দিলেন বলা ভুল, তৃণমূল কংগ্রেসকে পদে পদে বিঁধলেন তিনি।

 

গড়বেতা: ছোট আঙারিয়া দিবস উপলক্ষে গড়বেতায় সভা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০০১ সালের পর থেকে এতদিন তাঁর নেতৃত্বে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস এই অনুষ্ঠান আয়োজন করত, এবার বিজেপি নেতা হিসেবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভাষণ দিলেন তিনি। শুধু ভাষণ দিলেন বলা ভুল, তৃণমূল কংগ্রেসকে পদে পদে বিঁধলেন তিনি।

এদিন ভাষণ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১১ সাল পর্যন্ত শহীদ বেদীতে মালা দেওয়ার সময় হয়নি কারোর। মালা তো দূর, গাঁদা ফুলের পাপড়ি পর্যন্ত পড়তো না বেদীতে। তখন সবাই ঘরে ঢুকে গিয়েছিল, তাদের তিনি অক্সিজেন দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর কথায়, তখন যারা ভাঙ্গা সাইকেল চড়তো, এখন দামি স্করপিও গাড়ি চড়ে, হাতে দামি ঘড়ি ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি সভা করা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, তিনি যেখানে সভা করছেন সেখানেই পাল্টা সভার আয়োজন হচ্ছে। একদিনে দুটো সবা হলে সবাই বুঝতে পারবে বিজেপি না তৃণমূল, কার সভায় কত ভিড়। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, কেউ যেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফাঁদে না পরে, কেউ কিচ্ছু পাবে না।

একইসঙ্গে আজকের সভা থেকে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেস সাফ করার বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্তব্য করেন, আগের নির্বাচনে হাফ হয়েছে তৃণমূল, এবারের নির্বাচনে সাফ হয়ে যাবে। শুভেন্দুর কথায়, সবুজ সাথীর সাইকেলেও কাটমানি নেয় সরকার, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলাকে না তুলে দিলে রাজ্যের উন্নতি হবে না, রাজ্য এগোতে পারবে না। বারবার অভিযোগ কথা হচ্ছে যে তাঁর সঙ্গে নাকি বিজেপির ডিল হয়েছে। আদতে কি ডিল হয়েছে সে ব্যাপারে এদিন ফের খোলাসা করেন শুভেন্দু। বলেন, টেট পরীক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের খাতা বদল হবে না, এই ডিল হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যাঁরা আমাকে মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক বলেছেন তাঁদেরই কোনও নৈতিকতা নেই, তোপ শুভেন্দুর

যাঁরা আমাকে মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক বলেছেন তাঁদেরই কোনও নৈতিকতা নেই, তোপ শুভেন্দুর

কাঁথি: গতকাল ‘অধিকারী’ গড় কাঁথিতে জনসভা করেছিলেন সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম৷ বৃহস্পতিবার সেই কাঁথিতেই পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে চলল শুভেন্দু অধিকারীর রোড শো৷ তাঁর পাশে ছিলেন সৌমিত্র খাঁ৷ এই রোড শো থেকেই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী৷

আরও পড়ুন- অমর্ত্য সেন একটু বিজেপির বিরুদ্ধে, তাঁর অবমাননা বাংলা বরদাস্ত করবে না: মমতা

এদিন কটাক্ষ করে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, বিজেপি কাঁথিতে যথেষ্ট শক্তিশালী৷ এতদিন আমদের চেষ্টাতেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল৷ ১৯৯৮ তে আমরা যখন তৃণমূলে যাইনি তখন তৃণমূল দ্বিতীয় স্থানে ছিল৷  এবারের ভোট দিদিমনির দল আবার দ্বিতীয় হবে৷ এর পরের বার থেকে তাদের স্থান হবে তৃতীয়৷ তাঁর কথায়, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী ঘরের ছেলে৷ আমাকে লোকে ছোট বয়স থেকে চেনে৷ সেখানে কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রীকে এনে শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে৷ মানুষ কার পক্ষে এদিনের জন জোয়ারই তাঁর প্রমাণ৷’’ 

তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আমাকে মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক বলেছেন তাঁদের কোনও নৈতিকতা নেই৷ আমার নিজস্ব সত্ত্বা আছে৷ আমার পরিবারের ১০০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস৷’’ সৌগত-ফিরহাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলেছিলেন৷ আম্পানের পর ওঁর কার্যক্ষমতা কলকাতার মানুষ দেখেছে৷ আর এক জন ১৯৭৭-এ কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে রিগিং করে ভোটে জিতেছিলেন৷ তারপর ইন্দিরা গান্ধীরই বিরোধিতা করেছিলেন৷ তাঁদের মুখে নীতির কথা মানায় না৷’’ 

১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন সৌগত রায়৷ সেই সময় উনি হাজরা মোড়ে কী বলেছিলেন, সেই ক্যাসেটটা বাজালে উনি কোথায় যাবেন? তিনি সুর চড়িয়ে আরও বলেন, ‘‘১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তখন গডসের অনুগামীদের দলের হাতটাই ধরেছিল৷ ১৯৯৮-এর পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোট, ৯৯-এর লোকসভা, ২০০৪-এর লোকসভাতে বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়েছিল তৃণমূল৷’’ শুভেন্দু বলেন, রাষ্ট্রবাদ ও জাতীয়তাবাদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বিজেপি৷ এটিই এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ দল৷ 

আরও পড়ুন- ৪২০০ কোটি টাকার প্রকল্প! শুভেন্দুর ‘গড়’ মেদিনীপুরে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

তবে অভিষেক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই শুভেন্দু বলেন, আমি ঘরের কথা বলব না৷ সৌগত রায় বলতে পারেন৷ উনি ঘরের ভিতরের কথা বলে অনৈতিক কাজ করেছেন৷ উনি ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে কতবার কী কী বলেছেন, সে কথা বললে বেরনো মুশকিল হয়ে যাবে ওঁর৷ ওঁকে জেতানোর জন্য আমার প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু আমার প্রচারে কোনও দিনও সৌগত রায়কে লাগেনি৷ শেষে এও বলেন, ‘‘যেদিন গণনা হবে, সেদিন দুপুরবেলা সৌগতবাবু আমার বাড়িতে এসে খাবেন৷’’   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে উঠে যেত তৃণমূল, এবার ওদের কিডনি পাচারও বন্ধ হবে’

‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে উঠে যেত তৃণমূল, এবার ওদের কিডনি পাচারও বন্ধ হবে’

পূর্বস্থলী:  শনিবার যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি’তে যোগগান করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ দল বদলের পর আজ বিজেপির হয়ে প্রথম জনসভা তাঁর৷ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর জনসভায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একই মঞ্চে উঠলেন শুভেন্দু৷ প্রথম সভা থেকেই আক্রমণাত্মক নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক৷ 

আরও পড়ুন- ‘সব তথ্য দিলাম, খাওয়াতে হবে’, অমিত শাহকে ধোকলা খাওয়ানোর অনুরোধ মমতার

এদিন  শুভেন্দু বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি৷  একে একে মন্ত্রিসভা, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বিজেপি’তে যোগ দিয়েছি৷ গত তিন দিন ধরে আমাকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলা হচ্ছে৷ তাঁদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? ৯৮ সালের পঞ্চায়েত, ৯৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল? সেই সময় যদি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ২০০১ সালেই উঠে যেত এই দল৷ এটাকে তারা অস্বীকার করতে পারবে না৷ 

শুভেন্দু বলেন, ২০০৪ সালে তমলুকে যখন কেউ লড়াই করতে রাজি হয়নি, সেই সময় আমি লক্ষ্ণণ শেঠের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম৷ একদিকে বিজেপি আর অন্যদিকে তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে নিয়েই সেই লড়াইটা করেছিলাম৷ ২০০৬ সালে এই দল ৩০-এ নেমে গিয়েছিল৷ অবরুদ্ধ নন্দীগ্রামে তখন আদবানী-সুষমাজিরা এসেছিলেন৷ এর পর ২০০৭ সালে হার্মাদবাহিনী যখন একদিনে ১৪ জন কৃষককে হত্যা করছিল৷ অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রম লুন্ঠন করেছিল সেই দিন কোনও রাজনৈতিক দলের লোক আসেনি৷ সেদিন এই নন্দীগ্রামে এসেছিলেন, লালকৃষ্ণ আদবানী, প্রয়াত সুষমা স্বরাজ, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তাঁরা হেড়িয়া, খেজপরি হয়ে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় পৌঁছেছিলেন৷ সিঙ্গুরের অনশন মঞ্চে ফলের রসটা কে খাইয়েছিলেন? রাজনীথ সিং৷  

আরও পড়ুন- ইউটিউব থেকে গায়েব নারদাকাণ্ডে শুভেন্দুর ফুটেজ, নেপথ্যে বিজেপি!

তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছে কোন শর্তে বিজেপি’তে যোগ৷ আমি তাঁদের বলি কোনও শর্ত নেই৷ শুধু একটাই শর্ত, তোলবাজ ভাইপো হঠাও৷ বংলা বাঁচাও৷’  শুভেন্দু আরও বলেন, ‘সব পদ ছেড়েই বিজেপিতে এসেছি।’ রাস্তায় রাস্তায় তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে৷ অমিত শাহ টাইট দেওয়ায় পর এখানে গরুপাচার-কয়লাপাচার বন্ধ হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিডনি পাচারও বন্ধ হয়ে যাবে। দুয়ারে সরকার নয়, যমের দুয়ারে সরকার। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *