কলকাতা: রাজ্য সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি অভিযোগ তোলেন, শুধুমাত্র দুর্নীতিতেই বাংলা এক নম্বর, বাকি কোন কিছুতে কোনরকম উন্নতি হয়নি এই তৃণমূল সরকারের আমলে। অমিত শাহের সেই বক্তব্যের এদিন পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে কেন্দ্রীয় রেকর্ড সাংবাদিক বৈঠকে উত্থাপন করে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলা শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং রাজ্যে কতটা উন্নতি হয়েছে। সমস্ত তথ্য সকলের সামনে রাখার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছ থেকে খেতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত তথ্য সবার সামনে রাখা হয়েছে, এবার কিন্তু অমিত শাহকে তাকে খাওয়াতে হবে। মমতার কথায়, ‘সব উত্তর দিয়ে দিয়েছি, এবার কিন্তু অমিত শাহকে আমাকে খাওয়াতে হবে। আমি গুজরাটি খাবার খেতে চাই, ধোকলা। আরেকটা খাবার আছে যার নাম আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না, দীনেশ দা আমাকে খাওয়ায় মাঝে মাঝে। তবে আমাকে ভালো করে ধোকলা খাওয়াতে হবে’। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সফরে এসে শুধু বড় বড় কথা বলে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তিনি যা বলেছেন পুরোটাই মিথ্যে। মমতার কথায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন কিছু বলবেন তার আগে ক্রশ চেক করে নেওয়া উচিত, এইভাবে জনগণকে মিথ্যে বলাটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু বাংলাকে খারাপ দেখাতে ব্যস্ত, কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে ঠিক অন্য কথা। এই কথা বলেই কোন কোন কাজে বাংলা ১ নম্বর স্থান অধিকার করেছে সেই বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, দারিদ্র দূরীকরণ থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজ, মাইনোরিটি স্কলারশিপ থেকে শুরু করে গ্রামীণ রাস্তা এবং বাড়ি নির্মাণ, ই-গভর্নেন্স থেকে শুরু করে এমএসএমই সেক্টর, সবেতে বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কেন্দ্রীয় রেকর্ড অনুযায়ী শীর্ষস্থানে রয়েছে। তিনি আরও জানিয়ে দেন, ২০১১ থেকে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে ২.৭ শতাংশ। এদিকে ট্যাক্স রেভিনিউ বেড়েছে ২.৯ শতাংশ। এদিকে জিডিপি বিষয়ে মন্তব্য করেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।