কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য শুভেন্দু অধিকারী এখন সম্পূর্ণ অতীত। বিজেপিতে যোগদান করেই তিনি রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। এদিকে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। গতকাল কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূল এদিন তার পাল্টা দিতে সেখানেই মিছিল করেন শুভেন্দু। এই পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর ‘গড়’ মেদিনীপুর নিয়েই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ৪২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা বললেন তিনি।
এদিন মমতা জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর তাজপুর বন্দর পত্তনের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। দেশ এবং বিশ্বের বড় বড় বন্দর নির্মাতা সংস্থার কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যাতে তারা এগিয়ে আসেন। তবে তাজপুরে ৪২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কোনরকম জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলে স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, এই প্রকল্পে কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এবং ন্যূনতম ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাজপুর বন্দর প্রতিষ্ঠিত হলে দুই মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটবে, তেমন ইস্পাত রফতানি এবং মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, জাপানে সি-ফুড রফতানির সুযোগ বাড়বে।
একইসঙ্গে সিঙ্গুর এবং পানাগড় নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যেহেতু সিঙ্গুরের ফসল খুব ভালো সেই কারণে জাতীয় উৎপাদন বাড়ে এবং নানা রকম বীজ তৈরি হয় তার জন্য সেখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সিঙ্গুর রেল স্টেশন এবং ট্রমা সেন্টারের কাছে গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন বোর্ড। পানাগড় শিল্প পার্কে বিনিয়োগ নিয়ে তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ধানুকা গ্রুপ পানাগড় শিল্প পার্কে ৩৮ একর জমি নিয়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প করতে চাইছে, সেখানে ফুদ প্যাকেজিং শিল্প-কারখানা হবে বলে জানান তিনি।