কলকাতা: চেতলায় কর্মিসভার বৈঠক থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ তিনি বলেন, বিজেপির সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে ভাষা খুঁজে পাই না। একটা কদর্য ভাষা বলতে হয়৷ কিন্তু মাইকের সামনে কদর্য ভাষা বলতে পারি না৷ এটা আমাদের ভদ্রতা, আমাদের সভ্যতা৷ আর এঁদের ষড়যন্ত্রের জন্যেই নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল৷ তবে আমি খুশি হয়েছি ভবানীপুরে নিজের ঘরে ফিরে আসতে পেরে৷
আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার!
মমতা আরও বলেন, ভবানীপুরের মানুষ নিশ্চিত ভাবেই মনে প্রাণে চেয়েছিলেন আমি এখানেই থাকি৷ তাই মানুষের আশীর্বাদে শুভেচ্ছায় ফেরত আসতে পেরে কৃতজ্ঞ৷ সেই সঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও কৃতজ্ঞতা জানান মমতা৷ তিনি বলেন, ভেবেছিলাম শোভনদা এখানকারই ছেলে৷ নিজের এলাকায় লড়াই করুক৷ আমি দেবার আসন শোভনদা’কে দিয়ে আর শোভন দা’র আসন দেবাকে দিয়ে নিজে ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি৷
আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা
সেই সঙ্গে অভিষেকরে ইডি-র তলব প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ভয়ে দিল্লিতে মামলা নিয়ে গেলেন কেন? কলকাতাতেও তো আপনাদের দফতর আছে৷ দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে? এখানে ডাকুন৷ কলকাতার মামলা কোন অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশে দিল্লিতে নিয়ে গেলেন? এখানে যাঁকে ডাকবে, সেই যাবে৷ আমাদের লোকেরা আপনাদের কাছে সাক্ষী দিতে যাবে৷ ১০ ঘণ্টা ধরে জেরা করবেন৷ আর আপনাদের লোকেদের আমাদের এজেন্সি ডাকলে তা এড়িয়ে যাবে। তথ্য থাকা সত্ত্বেও, খুনের মামলা থাকা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করা যাবে না৷ কেন? ভগবানের জেষ্ঠ্য পুত্র? আইন সবার জন্য সমান৷ হাই কোর্ট যদি বলে ভগবানের জেষ্ঠ্যপুত্র যেখানে যাবে, সেখানেই তাঁকে জেরা করা যাবে, তাহলে আমাদেরও সেই সুযোগ পাওয়া উচিত৷ এরা দুর্যোধন, দুঃশাসনের চেয়েও ভয়ঙ্কর৷