বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার জন্য ভোট চাইছেন মোদী, ওঁনার ভিসা বাতিল হচ্ছে না কেন? বিস্ফোরক মমতা

বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার জন্য ভোট চাইছেন মোদী, ওঁনার ভিসা বাতিল হচ্ছে না কেন? বিস্ফোরক মমতা

খড়গপুর:  ভোট মরশুমে জোড় কদমে চলছে ভোটের প্রচার৷ মাটি কামড়ে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা৷ এদিকে বঙ্গে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব চলার মাঝেই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী৷ সেখান থেকে মতুয়াদের মন জয়ের পাশাপাশি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন-  TMC-BJP সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! ভোটের আগেই চড়ছে পারদ

এদিন তিনি বলেন, বাংলায় ভোট চলছে আর বাংলাদেশে গিয়ে বাংলা সম্পর্কে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল৷ এদিন বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসের প্রসঙ্গ টেনেও বিজেপিকে বেঁধেন তিনি৷ বলেন, ফিরদৌস বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলেন অভিনয় করতে৷ ২০১৯ সালে আমাদের একটি মিছিলে উনি সামিল হয়েছিলেন৷ শুধুমাত্র সকলকে শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য উনি সেখানে গিয়েছিলেন৷ সেই অপরাধে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ওঁর ভিসা-পাসপোর্টই বাতিল দিয়েছিল৷ 

মমতা আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র৷ দু’দেশের তারকারা একসঙ্গে কাজ করেন৷ একজন অভিনেতা আমাদের সভায় এসে কথা বলায় তাঁর ভিসা কেড়ে নেওয়া হল৷ অথচ ভোট নোটিফিকেশন হওয়ার পরেও একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিদেশে গিয়ে কী ভাবে উনি ভোটের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের নিয়ে কথা বলছেন? তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, আমেরিকায় ট্রাম্পের সমর্থনে মিটিং করতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ তখন তো ওঁনার ভিসা বাতিল হয়নি৷ বাংলায় ভোট চলাকালীন বাংলাদেশে এক শ্রেণির মানুষকে মিথ্যে কথা বলার জন্য ভোট চাইতে গিয়েছেন৷ তাহলে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট কেন বাতিল হচ্ছে না? এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হবে বলেও জানান মমতা৷ তাঁর কথায়, বিদেশের মাটি থেকে দেশের অভ্যন্তীরন রাজনীতি নিয়ে কথা বলা যায় না৷ 

আরও পড়ুন-  কীভাবে হবে নন্দীগ্রামের ভোট? ভোট দিয়ে উদ্বেগ শিশিরের!

সুর চড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘আপনার জন্য কি সব মাফ? কখনও বলছেন বাংলাদেশ থেকে সবাইকে নিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর এখন আপনি নিজে বাংলাদেশে গিয়ে মার্কেটিং করছেন?’’ খড়গপুরের পর হাওড়ার জনসভা থেকেও নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নেন মমতা৷ বলেন, ক্ষমতায় এলে সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু দেননি৷ এখন বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার জন্য ভোট ভিক্ষা করছেন৷ 
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মাছের তেলে মাছ ভেজেছে মিথ্যেবাদী মোদী সরকার, একহাত নিলেন মমতা

মাছের তেলে মাছ ভেজেছে মিথ্যেবাদী মোদী সরকার, একহাত নিলেন মমতা

পাথরপ্রতিমা:  বঙ্গ ভোটের ময়দানে বারবার বিরোধীদের আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আম্পান দুর্নীতি৷ বারবার রাজ্যে এসে তৃণমূলকে চাল চোল, ত্রিপল তোর বলে কটাক্ষ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ এদিন আম্পান নিয়ে পাল্টা বিজেপি’কে দুষলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বললেন, বিজেপি আম্পানে একটা পয়সাও দেয়নি৷ আমাদের টাকা আমাদের দিয়ে মাছের তেলে মাছ ভেজেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ 

আরও পড়ুন-  ‘আমি বিজেপি’র মতো ধান্দাবাজ, দাঙ্গাবাজ নই’, তোপ মমতার

মমতা বলেন, নরেন্দ্র মোদী সবচেয়ে বড় মিথ্যেবাদী৷ আর অমিত শাহ হোদলকুতকুত নেতা৷ এত বড় মিথ্যেবাদী কোথাও দেখতে পাবেন না৷ আম্পানে ১৯ লক্ষ লোককে উদ্ধার করে তাঁদের প্রাণ রক্ষা করেছে তৃণমূল সরকার৷ আম্পানে সারা রাত জেগে পাহারা দিয়েছি৷ তার পরের দিনই ছুটে এসেছি৷ সাহায্য করেছি৷ বুলবুলের সময় ২০ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হয়েছিল৷ সেই সময়ও ৩ লক্ষ বাড়ি করে দেওয়া হয়েছিল৷ ২০০ বছরে আম্পানের মতো বড় ঝড় দেশ দেখেনি৷ ৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ আর নরেন্দ্র মোদী ঢং করে দেখতে এসে বললেন ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে৷ ওটা তো আমাদেরই টাকা৷ সেটা তো মাছের তেলে মাছ ভাজা৷ 

তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য টাকা দিয়ে বিজেপি বলছে আমরা দিলাম৷ এক টাকাও দেয়নি বিজেপি৷ এতবড় একটা যজ্ঞে একটা দুটো ভুল হতেই পারে৷ তবে আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি৷ সাত হাজার কোটি টাকা আম্পানের জন্য দেওয়া হয়েছে৷ ২১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ আরও কাজ হচ্ছে৷ এখানে রিলিফ সেন্টারও করা হয়েছে৷ ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ পোতা হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন- ‘জাতীয় ফুল পদ্ম, কেউ উপড়াতে পারবে না’, সাফ জানালেন দিব্যেন্দু

তাঁর কথায়, এত কাজ করার পর কেউ ৫০০ টাকা নিলে বলা হচ্ছে তৃণমূল চোর৷ আমি চোর? আমি মানুষকে জীবন দিয়ে ভালোবাসি৷ বিজেপি চোরেদের জমিদার৷ পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন তাঁর৷ মমতা আরও বলেন, রেল, সেল সব বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি৷ কেউ কোনও টাকা পায়নি৷ ত্রিপুরায় এসে প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুয়িটি সব তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে৷ অসমে ১৪ লক্ষ বাঙালিকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে৷ যেই সিপিএম, সেই বিজেপি৷ তাই ভোট দেওয়ার আগে সাবধান৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘ফাঁকা ব্রিগেডে মোদী, আমি ছিলাম রাস্তায়’, তোপ মমতার

‘ফাঁকা ব্রিগেডে মোদী, আমি ছিলাম রাস্তায়’, তোপ মমতার

কলকাতা:  মেগা রবিবারে বঙ্গ রাজনীতি জুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা৷ একদিকে ছিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে নরেন্দ্র মোদীর জনসমাবেশ৷ অন্যদিকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল৷ মঞ্চ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন দু’জনেই৷ মোদীর ছুঁড়ে দেওয়া বাউন্সারের জবাব শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে দিলেন তৃণমূল নেত্রী৷

আরও পড়ুন-  ব্রিগেডের মঞ্চ কাঁপালেন মিঠুন, প্রাত্কন সহযোদ্ধাকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না মমতা

 
এদিন কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মোদী যখন ফাঁকা ব্রিগিডে বক্তৃতা দিচ্ছেন, তখন আমি রাস্তায়৷ কারণ রাস্তাই আমাকে সঠিক রাস্তা দেখিয়েছে৷’’ এদিন শিলিগুড়ির সফদর হামচি চকের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে ওয়ান টু ওয়ান খেলার চ্যালেঞ্জও দেন তিনি৷ মমতা বলেন, ‘‘এই বার ভোট হবে বংলার অস্তিত্ব রক্ষার৷ অস্তিত্ব রক্ষা করতে না পারলে বিজেপি বাংলা ভাগ করে দেবে৷’’

এদিন মোদীর বঙ্গ সফর নিয়ে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে উনি জবাব দিক, কেন গ্যাসের দাম বাড়ানো হল? মমতা বলেন, আমরা বিনা পয়সায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা দিতে পারলে আপনি বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে পারবেন না কেন? বাংলার মানুষ জানতে চায়, আপনি কবে বিনা পয়সায় গ্যাস দেবেন৷ তাঁর হুঙ্কার, বিমামূল্যে গ্যাস না পেলে বিজেপি’কে একটি ভোটও দেবেন না৷’’

আরও পড়ুন- সব থেকে বড় তোলাবাজ কে? শিলিগুড়ি থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার

এদিকে এদিন ব্রিগেড থেকে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন মোদী৷ পাল্টা জবাবে মমতা বলেছেন, বাংলায় ফের তৃণমূলই ফিরবে৷ বরং বদলে যাবে দিল্লির সরকার৷ এদিন তাঁর মিছিলেও লোক ছিল চোখে পড়ার মতো৷ উপস্থিত ছিলেন দুই তারকা সাংসদ নুসরত ও মিমি৷ ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দোলা সেনরাও৷ তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন৷ এদিন মোদীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে ঘরে বসেছিলেন উনি, আমি তখন রাস্তায় নেমে কাজ করেছি৷ হাসপাতালে ঘুরেছি৷ এখন কোভিড টিকায় মোদীর মুখ দেওয়া হচ্ছে৷ এদিন নারী নিরাপত্তা নিয়েও একে অপরকে নিশানায় রাখেন মোদী-মমতা৷      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *