নন্দীগ্রাম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভবত সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। দশ বছর আগে যে কেন্দ্রের ঘটনা প্রবাহ বঙ্গ রাজনীতির পালাবদলকে ত্বরান্বিত করেছিল, ২০২১ সালে ফের শিরোনামে সেই একই এলাকা। তবে এবার কারণটা ভিন্ন। ভোটগ্রহণ এখনও শুরু হয়নি, কিন্তু তার আগেই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম।
রাজ্যে ভোটগ্রহণের প্রথম দফাতেই তৃণমূল আর বিজেপি কর্মীদের বচসা এবং সংঘর্ষে ধুন্ধুমার বেঁধেছে নন্দীগ্রামে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রের খবরে। বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে এদিন নন্দীগ্রামের স্থানীয় ৩ তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ নিয়ে নন্দীগ্রাম থানাও ঘেরাও করেছেন ঘাসফুল সমর্থকরা। নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায়, আগামী ১ এপ্রিল। তার আগেই এই ধরণের অশান্তিতে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
ঠিক কী হয়েছে নন্দীগ্রামে? জানা গেছে, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এদিন নন্দীগ্রামের ২ নং ব্লক এলাকায় দলের হয়ে প্রচার কাজ চালাতে যায়। কিন্তু অভিযোগ বিজেপির তরফে আসে বাঁধা। দুই পক্ষের বচসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতেও। আর বিজেপি কর্মীদের হামলায় দলের তিন জন কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ঘাসফুল বাহিনী।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এই হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানসহ একাধিক তৃণমূল নেতারা। ধর্না বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁরা। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।