শিলিগুড়ি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মোক্ষম অভিযোগকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। বিশেষত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া নেতৃত্বের মুখে ঘন ঘন শোনা গেছে নানান অভিযোগ। এদিন উত্তরবঙ্গের জনসভা থেকে এই সূত্রকে হাতিয়ার করেই বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সবচেয়ে বড় তোলাবাজ যদি কেউ হয়ে থাকে তবে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রবিবারের জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “একটা গরীব লোক তোলাবাজি করলে ৫টাকা, ১০টাকা, ৫০০ টাকা হয়, আর আপনার বন্ধু তো আম্বানি আদানি।” রেল বিক্রি করলে কত টাকা তোলাবাজি হয় এদিন তাও জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই উঠেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের অভিযোগ। এদিন তাকেই আরো একবার হাতিয়ার করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শিলিগুড়ির ভেনাস মোড় থেকে রবিবার দেশ জুড়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদস্বরূপ একটি মহামিছিলের আয়োজন করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মিছিলে পা মেলানোর পর জনসভা থেকে গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কোল ইন্ডিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রীয় সংস্থার বেসরকারিকরণের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, “উজালা গ্যাস! কাহাঁ গ্যায়া উজালা কি রোশনি?” ক্যাগের রিপোর্টের কথা তুলে ধরে উজালা গ্যাস প্রকল্পে কেন্দ্রীয় দুর্নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এখানেই থামেননি মমতা। তিনি আরো বলেন তোলাবাজি তো দূর, কোটি কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার স্রেফ খেয়ে নিয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট হল নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ। মমতা ব্যানার্জি কি জিনিস, তা সময় এলেই টের পাবে বিজেপি, এদিন এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।