‘পুলিশ গ্রেফতার করলে থানা ঘেরাও করুন’, নির্দেশ মমতার

‘পুলিশ গ্রেফতার করলে থানা ঘেরাও করুন’, নির্দেশ মমতার

4362cef6cef54606a08ca1b2609d37c1

বোলপুর:  পুলিশের ভূমিকায় না-খুশ তৃণমূল সুপ্রিমো৷ বোলপুরের ভার্চুয়াল সভা থেকে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি৷ এবার থানা ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  

আরও পড়ুন- ‘রাজধর্ম পালন করলে আপত্তি নেই’, অধিকারিকদের হুঁশিয়ারি মমতার

এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, তৃণমূলের লোকেরা যাতে ভোট করতে না পারে, সেই চক্রান্ত করছে নির্বাচন কমিশন৷ এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ পুলিশ কাউকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করলে, তাঁদের ছেলেমেয়ারা রাত্রে থানায় গিয়ে বসে থাকবেন৷ থানা ঘেরাও করবেন৷ কেন বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হল, তার ব্যাখ্যা চাইবেন৷ প্রয়োজনে আদালতে যাবেন৷ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে৷ বেআইনি আটক করা হলেই এফআইআর করতে হবে৷

এদিন নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যে আসা পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করেন মমতা৷ এই রেশ ধরেই তিনি বলেন,  চ্যাটে এটাও লেখা হয়েছে, ‘আমাদের পরিকল্পনা মাফিক’৷ এর অর্থ কি নির্বাচন কমিশনার? সরাসরি প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ তিনি বলেন, পুলিশ অবজার্ভার খোঁজ নিচ্ছেন, কারা কারা গ্রেফতার হল৷ সপ্তম ও অষ্টম দফার আগে যাতে সকলকে গ্রেফতার করে রাখা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর নির্দেশ,  এবার সকলকে প্রতিবাদ করতে হবে৷ তবে গন্ডোগোল নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট করাতে হবে৷ কিন্তু কোনও অযৌক্তিক আবদার আমরা মানব না৷

তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, আমরা বেশি সম্মান দিয়ে ফেলেছি৷ সম্মান আমরা দেব, তবে কাজও করব৷ আমরাও একটা রাজনৈতিক দল সেটা কমিশনের মনে রাখা উচিত৷ কমিশন কি বিজেপি’র আয়না না বিজেপি’র ময়না? ভোট করাতে হলে নিরপেক্ষ ভাবে তা করানো উচিত৷ প্রত্যেক দফা ভোটে বিজেপি’র হয়ে কাজ করেছে কমিশন৷ তৃণমূলের ছেলেদের গ্রেফতার করে ভয় দেখানো হয়েছে৷ মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে৷ গুলি চালানো হয়েছে৷ যাঁরা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা এসপি’কে বিবৃতি দিতে বলেছিল, সেই সকল স্টেটমেন্ট তাঁর হাতে রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ গুলি চালানোর ঘটনার সিআইডি তদন্ত হবে বলেও জানান মমতা৷

আরও পড়ুন- একটু বেশিই তাবেদারি করছেন DM-SP-রা, হুঁশিয়ারি মমতার

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, আমি এখন পুলিশকে কোনও কথা বলি না৷ কারণ তারা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে৷ দু’দিন পর নির্বাচন কমিশন চলে গেলে তাদের সঙ্গে কথা বলব৷ তবে এখন বলব না৷ আমি দুর্বল নই৷ আমি জানি কে কী করছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘রাজধর্ম পালন করলে আপত্তি নেই’, অধিকারিকদের হুঁশিয়ারি মমতার

‘রাজধর্ম পালন করলে আপত্তি নেই’, অধিকারিকদের হুঁশিয়ারি মমতার

4362cef6cef54606a08ca1b2609d37c1

বোলপুর:  অফিসাররা রাজধর্ম পালন করলে আপত্তি নেই৷ কিন্তু তাঁরা তাবেদারি করছেন৷ ভার্চুয়াল সভায় বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনের ভূমিকা নিয়েও সরব বলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- কমিশন আর পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করলেন মমতা! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নির্বাচন কমিশন আদতে বিজেপি’র ভূমিকা পালন করছে৷ নির্বাচন কমিশন আমাকে অনেকবার শোকজ করেছে। বহুবার অসম্মান করা হয়েছে। তিনি বলেন, অদ্ভূতভাবে কমিশন পুলিশকে ফোন করে আমাদের কর্মীদের আটক করে রাখতে বলছে৷ এটা কি নির্বাচন কমিশনের কাজ? হুঙ্কার মমতার৷ তিনি বলেন, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী, এলাকায় ভোট করেন, নির্বাচন কমিশন তাঁদের নাম দিয়েছে ট্রাভেল মঙ্গার৷ অবজার্ভারের নির্দেশ, ভোটের আগের দিন তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করে নাও৷ যাতে তাঁরা ভোট করতে না পারে৷ 

তিনি আরও জানান, অবজার্ভারদের চ্যাট তাঁর হাতে রয়েছে৷ যেখানে তাঁরা ট্রাভেল মঙ্গারের নাম করে কী ভাবে তৃণমূলের কর্মীদের আটক করে রাখবে, সেই নির্দেশ দিচ্ছেন৷ মমতা জানান, সুদীপ জৈন, বিবেক দুবে এবং ডিএম-এসপি’দের মধ্যে এই কথাবার্তা হয়েছে৷ এই ছবি দেখার পর আগামী দিনে কী ভাবে নিরপেক্ষ ভোট করা যায়, তা নিশ্চিত করতে ভোটের পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি৷ 

সুর চড়িয়ে মমতা আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত অফিসার অবজার্ভার করা হয়েছে৷ নৈহাটি, বীজপুর, কাঁচরাপাড়া আর জগদ্দলে যে তাণ্ডব হয়েছে, তা অনকেটাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে৷ তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীকে আটকে রাখা হয়েছে৷ মমতা জানান, তাঁর হাতে সমস্ত তথ্য রয়েছে৷ তাতে কে দোষী আর কে নির্দোষ, কে কতটা পক্ষপাত দুষ্ট, সব কিছুর প্রামণ রয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজধর্ম পালন করলে আমার কোনও আপত্তি নেই৷ রাজ্যের আধিকারিকরাও যদি রাজধর্ম পালন করেন, তাহলেও আমাদের কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু তা পালন করা হচ্ছে না৷  

আরও পড়ুন- একটু বেশিই তাবেদারি করছেন DM-SP-রা, হুঁশিয়ারি মমতার

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সিআরপিএফকে বলছে গুলি চালিয়ে দাও৷ মানুষকে গিয়ে ভয় দেখাও৷ নন্দীগ্রাম না দেখলে আমার চোখ খুলত না৷ আবদুল সামাদের গাড়ির চালককে সারা দিন থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল, শুধুমাত্র যাতে তিনি বেরতে না পারেন৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একটু বেশিই তাবেদারি করছেন DM-SP-রা, হুঁশিয়ারি মমতার

একটু বেশিই তাবেদারি করছেন DM-SP-রা, হুঁশিয়ারি মমতার

4362cef6cef54606a08ca1b2609d37c1

বোলপুর:  কোভিডকালে বাতিল জনসভা৷ তাই শনিবার বোলপুর গীতাঞ্জলী অডিটোরিয়াম থেকেই ভার্চুয়াল সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়ে তুলোধোনা করলেন ডিএম-এসপি’দের৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তাবেদারি করার অভিযোগ তুললেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- করোনা পরীক্ষার নামে প্রহসন! নিজের নমুনা নিজেই সংগ্রহ করছেন রোগী

এদিন মমতা বলেন, নিরপেক্ষ সংস্থা হিসাবে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করি৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না৷ বিজেপি’র কথা মতো কাজ করছে কমিশন৷ এবং সেই কারণেই আজ কোভিডের বাড়বাড়ন্ত৷ তাঁর কথায়, আট দফায় নির্বাচন করা না হলে এই সমস্যা এত প্রকট হত না৷ বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশকে ডুবিয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ বাংলা দখল করার জন্য লক্ষ লক্ষ ক্যাডারকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তুলে আনা হয়েছে৷ ২ লক্ষের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে আনা হয়েছে৷ তাঁরা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে রোগ ছড়াচ্ছে৷ নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাঁদের কোভিড টেস্ট করা হয়নি৷

এর পরেই হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন, ডিএম এসপি’রা কোভিড টেস্ট করানোর বদলে একটু বেশি তাবেদারি করছেন৷ যাঁদের তাবেদারি করা আদতে উচিত নয়৷ তাঁর কথায়, কোন নির্দেশে কী কাজ চলছে না চলছে, সেই খবর আমাদের কাছে রয়েছে৷ তাঁরা এমন আচরণ করছে, যেন বিজেপি বাংলার শাসক দল৷ তাঁদের আর নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে চলছেন ডিএম-এসপি’রা৷ ভোটের সময় নিশ্চয় নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে চলবে৷ তাঁর মানে তাবেদারি নয়৷ 

আরও পড়ুন- অবশেষে করোনা পরিস্থিতিতে নজর, বাংলায় সভা বাতিল অমিতের

এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, বিহারে তিন দফা, তামিলনাড়ুতে ১ দফায় ভোট হলে বাংলায় কেন হল না? এখানেও তিন দফায় ভোট করানো যেতে পারত৷ কোভিড আসছে সেই ইনপুট নিশ্চয় তাঁদের কাছেও ছিল৷ তাহলে কেন জনগনের দিকে তাকানো হল না? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী৷       
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *