অবশেষে করোনা পরিস্থিতিতে নজর, বাংলায় সভা বাতিল অমিতের

অবশেষে করোনা পরিস্থিতিতে নজর, বাংলায় সভা বাতিল অমিতের

কলকাতা: দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের চক্করে জনসমাগম বেড়ে গিয়েছিল বিশাল ভাবেই। ক্রমাগত সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী ক্ষেত্রে একাধিক নিয়মবিধি জারি করে নির্বাচন কমিশন। তার আগে অবশ্য বামফ্রন্ট বড় জনসমাবেশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিজের সবার সময়সূচী একেবারে কমিয়ে দিয়ে কলকাতায় সমস্ত জনসভা বাতিল করেছিলেন। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে কোন পদক্ষেপ না নেয়া হলেও এখন অবশেষে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা বাতিল হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা বাতিল হল বঙ্গে।

বিজেপি সূত্রের খবর, শেষ দুই দফার নির্বাচনের আগে বাংলায় আর কোন জনসভা করবেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্যের সমস্ত জনসভার কর্মসূচি বাতিল করে ভার্চুয়াল জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার হয়তো সেই একই পথে হাঁটতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতায় জনসভা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের দিন এই কলকাতা হাইকোর্ট ব্যাপক সমালোচনা করেছিল নির্বাচন কমিশনের। বলা হয়েছিল তাদের হাতে চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সেই ক্ষমতা ব্যবহার করছে না নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী ক্ষেত্রে রোড শো এবং বাইক মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এমনকি জনসভা হলেও ৫০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সেটা করতে হবে বলে জানানো হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে একে একে জনসভা বাতিল করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। 

এর আগে ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির একাধিকবার জনসভা বাতিল করেছে নির্বাচনী আবহে। কখনো বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা, কখনো বাতিল হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, এমনকি বিজেপি রাজ্য নেতাদের সভাও। তৃণমূল কংগ্রেস তখন থেকেই দাবি করেছিল যে লোক না হওয়ায় বিজেপি বাধ্য হয়ে জনসভা বাতিল করেছে। এখন অবশ্য সবার কাছেই সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে জনসভা বাতিলের। তাই এই মুহূর্তে আর রাজনৈতিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *