বোলপুর: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আবহে একাধিক অডিও টেপ ফাঁস হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও টেপ ফাঁস করেছে বিজেপি। কখনো নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতার সঙ্গে কথোপকথন আবার কখনো শীতলকুচি ঘটনায় কোচবিহারের প্রার্থীর সঙ্গে কথোপকথন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল রায়ের সঙ্গে শিশির বাজরিয়ার কথোপকথন ফাঁস করেছিল। এবার নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যে আসা পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! একইসঙ্গে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
এদিন বোলপুরে গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে জমায়াতের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করেন। একই সঙ্গে বাংলায় আসা পুলিশ পর্যবেক্ষকরা কি কথা বলছেন হোয়াটসঅ্যাপে সেটাও সবাইকে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন এবং পর্যবেক্ষকরা কার্যত নির্দেশ পেয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করেছে ভোটের আগের দিন। ভোটের সারাদিন তাদের আটকে রাখা হয়েছে যাতে তারা ভোট না করাতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেস অ্যাক্টিভ কর্মীদের আটক করা হয়েছিল। নথি সকলের সামনে এনে মমতা দাবি করেছেন, এগুলো সব সুদীপ জৈন, বিবেক দুবে, এনাদের কথাবার্তা যেগুলো কার্যত তাদের পক্ষে বলা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি এও জানান, তৃণমূল কর্মীদের ‘টিএমসি গুন্ডা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে। এই পরিপেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি এর আগে অনেক সহ্য করেছেন কিন্তু এখন আর করবেন না। বাংলায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি সুপ্রিমকোর্টে যাবেন এই ব্যাপারে।
তিনি আরও বলেন, অনেক জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের ভূমিকায় মনে হচ্ছে ক্ষমতায় এসে গেছে বিজেপি। তাঁর হুঁশিয়ারি, ”আমি স্পষ্ট বলতে চাই, কোন নির্দেশে কী কাজ চলছে সব খবর আমার কাছে আছে।” এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে ফের একহাত নিয়ে তিনি দাবি করেন, কমিশনের কাছে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিজেপি-র কথা শুনে নির্বাচন কমিশন ভোট করায় করোনা এত বেড়েছে। বিজেপি-র কথা শুনে ৮ দফায় নির্বাচন না করলে এ সব হত না। কিন্তু এখন বিজেপির এক নেতা বলল ওরা সভা করবে না। তার পরেই সবার সভা বন্ধ করে দেওয়া হল।