বোলপুর: পুলিশের ভূমিকায় না-খুশ তৃণমূল সুপ্রিমো৷ বোলপুরের ভার্চুয়াল সভা থেকে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি৷ এবার থানা ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- ‘রাজধর্ম পালন করলে আপত্তি নেই’, অধিকারিকদের হুঁশিয়ারি মমতার
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, তৃণমূলের লোকেরা যাতে ভোট করতে না পারে, সেই চক্রান্ত করছে নির্বাচন কমিশন৷ এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ পুলিশ কাউকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করলে, তাঁদের ছেলেমেয়ারা রাত্রে থানায় গিয়ে বসে থাকবেন৷ থানা ঘেরাও করবেন৷ কেন বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হল, তার ব্যাখ্যা চাইবেন৷ প্রয়োজনে আদালতে যাবেন৷ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে৷ বেআইনি আটক করা হলেই এফআইআর করতে হবে৷
এদিন নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যে আসা পর্যবেক্ষকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করেন মমতা৷ এই রেশ ধরেই তিনি বলেন, চ্যাটে এটাও লেখা হয়েছে, ‘আমাদের পরিকল্পনা মাফিক’৷ এর অর্থ কি নির্বাচন কমিশনার? সরাসরি প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ তিনি বলেন, পুলিশ অবজার্ভার খোঁজ নিচ্ছেন, কারা কারা গ্রেফতার হল৷ সপ্তম ও অষ্টম দফার আগে যাতে সকলকে গ্রেফতার করে রাখা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর নির্দেশ, এবার সকলকে প্রতিবাদ করতে হবে৷ তবে গন্ডোগোল নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট করাতে হবে৷ কিন্তু কোনও অযৌক্তিক আবদার আমরা মানব না৷
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, আমরা বেশি সম্মান দিয়ে ফেলেছি৷ সম্মান আমরা দেব, তবে কাজও করব৷ আমরাও একটা রাজনৈতিক দল সেটা কমিশনের মনে রাখা উচিত৷ কমিশন কি বিজেপি’র আয়না না বিজেপি’র ময়না? ভোট করাতে হলে নিরপেক্ষ ভাবে তা করানো উচিত৷ প্রত্যেক দফা ভোটে বিজেপি’র হয়ে কাজ করেছে কমিশন৷ তৃণমূলের ছেলেদের গ্রেফতার করে ভয় দেখানো হয়েছে৷ মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে৷ গুলি চালানো হয়েছে৷ যাঁরা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা এসপি’কে বিবৃতি দিতে বলেছিল, সেই সকল স্টেটমেন্ট তাঁর হাতে রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ গুলি চালানোর ঘটনার সিআইডি তদন্ত হবে বলেও জানান মমতা৷
আরও পড়ুন- একটু বেশিই তাবেদারি করছেন DM-SP-রা, হুঁশিয়ারি মমতার
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, আমি এখন পুলিশকে কোনও কথা বলি না৷ কারণ তারা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে৷ দু’দিন পর নির্বাচন কমিশন চলে গেলে তাদের সঙ্গে কথা বলব৷ তবে এখন বলব না৷ আমি দুর্বল নই৷ আমি জানি কে কী করছে৷