আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালিবান, কেমন হবে তালিব শাসন? চিন্তায় নয়াদিল্লি

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালিবান, কেমন হবে তালিব শাসন? চিন্তায় নয়াদিল্লি

কাবুল: একের পর এক প্রদেশ কব্জা করার পর রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা৷ আফগানিস্তানে ক্ষমতার হাত বদল হলে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় পড়বে দিল্লির৷ কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক জেহাদি শক্তি নিরাপদ আশ্রয় পাবে৷ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক তহবিলের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে৷ আল-কায়েদা বা আইসিস-এর মতো সংগঠনের নাশকতা বাড়বে ভারতে৷ ফলে শুধু পূর্ব সীমান্ত নয়, পশ্চিম সীমান্ত নিয়েও উদ্বেগ বাড়বে৷ ভারতের কাছে যা হবে এক চ্যালেঞ্জ৷ 

আরও পড়ুন- পতনের মুখে আফগানিস্তান, কাবুল কব্জা করল তালিবান

এছাড়াও বাংলাদেশের বহু যুবক মুজাহিদ হিসাবে তালিবানদের সঙ্গে রয়েছে৷ তারা বাংলাদেশে ফিরে ফের জিহাদি সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে৷ একেবারে ঘাড়ের উপর পড়বে জেহাদি নিঃশ্বাস৷ অতীতেও এই ধরনের জঙ্গি তৎপরতার নিদর্শন দেখা গিয়েছে৷ আফগান-সোভিয়েত লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের মুজাহিদরা ফিরে এসে তৈরি করেছিল জেএনবি৷ শুধু তাই নয়৷ চিন্তা বাড়াচ্ছে নার্কো টেরোরিজমও৷ যা অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ কিন্তু কী ভাবে? 

মনে করা হচ্ছে, তালিবান আফগানিস্তানের মসনদে বসলে বাড়বে নার্কো টেরোরিজম৷ এর আগেও তালিবানরা মাদক ব্যবসায় মদত দিয়েছে৷ দক্ষিণ ও পশ্চিম আফগানিস্তান আফিম চাষ ও মাদক তৈরির জন্য কুখ্যাত৷ তালিবান এ ক্ষেত্রে সক্রিয় হলে ভারত হবে মাদক পাচারের মূল রুট৷ মাদক পাচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে জেহাদি সংগঠনগুলির৷ মাদক ব্যবসার টাকা লাগানো হবে জেহেদি কার্যকলাপে৷ যা চিন্তায় ফেলেছে নর্থ ব্লককে৷ 

আফগানিস্তান তালিবানের হাতে যেতেই উৎকণ্ঠা দুনিয়া জুড়ে৷ নারকীয় ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাড়ছে উদ্বেগ৷ ধুলোয় মিশবে মানবাধিকার৷ ভয়ে কাবুল ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে আফগান নারগিকরা৷ তবে আশ্বাস দিচ্ছে তালিবান৷ বলছে চিন্তা নেই৷ তবে কি বিশ্ব দরবারে ইমেজ বদলাতে চাইছে তালিবরা? নাকি সত্যিই দায়িত্বশীল হতে চায় তারা? পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত৷ 

এদিকে সীমান্তে বাড়ছে আফগান শরনার্থীর স্রোত৷ দেশ ছাড়ার ভিড় কাবুল বিমান বন্দরে৷ ভয়ে রয়েছে আফগান সেনাও৷ যদিও তালিবানি আশ্বাস, ‘বদলা নয়, বদল চাই’৷ আফগান সেনা বা সরকারি কর্তাদের উপর কোনও বদলা নেওয়া হবে না৷ কেউ চাইলে দেশ ছাড়তেই পারে৷ কিন্তু পালানোর প্রয়োজন নেই৷ দূতাবাসেও আক্রমণ করা হবে না৷ আশ্বাস, মেয়েরা চাইলে পড়াশোনা, চাকরি করতে পারবেন৷ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র সোহেল শাহিনো৷ 

আরও পড়ুন- পতনের মুখে কাবুল, কান্দাহারের পর লোগার প্রদেশ কব্জা করল তালিবান

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে,  আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসতে চলেছে তালিবান৷ বিশ্বের নজরে তালিবান সরকারে স্বীকৃতি প্রয়োজন৷ তাই নিজেদের ইমেজ বদলে কূটনৈতিক যুদ্ধ জয়ের চেষ্টা চলছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + one =