ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের মাটিতে রয়েছে এক জাগ্রত শক্তিপীঠ৷ পাকিস্তানের বালুচিস্তানের হিংগল নদীর তীরে চন্দ্রকুপ পাহাড়ে অবস্থিত হিংলজ মাতার মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করা হয়। এই মন্দির নানি মন্দির নামেও পরিচিত৷ ফি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা৷ কিন্তু এই মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নে একটা পয়সাও খরচে নারাজ ইমরান খানের সরকার৷ সরকারের এই ভূমিকায় প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টির সেনেটর দানেশ কুমার৷
আরও পড়ুন- উড়ন্ত বিমান থেকে ঝাঁপ! কিন্তু কেন জানেন?
প্রসঙ্গত, হিংলজ মাতার মন্দির সংস্কারের জন্য পাক সরকারের কাছে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছিলেনম দানেশ কুমার৷ তিনি পাক সংবাদমাধ্যমকে জানান, হিংলাজ মাতার মন্দিরের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে৷ প্রতি বছর কয়েক হাজার পূণ্যার্থী এই মন্দির দর্শনে আসেন৷ পর্যটনের দিক থেকেও এর গুরুত্ব রয়েছে৷ সে কারণেই মন্দির উন্নয়নে ১০ থেকে ১২টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ যার সব কটি নাকোচ করে দিয়েছে ইমরান খান সরকার৷
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ বা উন্নয়ন খাতে একটা পয়সাও দেয় না ইসলামাবাদ৷ অথচ এই মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা চারটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানের মধ্যে একটি৷ যশবন্ত সিং তাঁর বইতে লিখেছিলেন, এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন খোদ মহম্মদ আলি জিন্না৷ এটা অন্যতম শক্তিপীঠ৷ যদিও ইমরান সরকার মুখ ফেরালেও হিংলাজ মাতার মন্দিরের উন্নয়নে ৩০০ মিনিয়ন বা ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বালোচ সরকার৷
আরও পড়ুন- দেড় লক্ষ বছর আগের আদিম মানুষের মাথার খুলির হদিশ
জানা গিয়েছে এই টাকা দিয়ে উন্নত যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরি করা হবে৷ তবে শুধু হিংলাজ মাতার মন্দির নয়, পাকিস্তানে সমস্ত মন্দিরই বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত বলে দাবি দানেশের৷ তবে আঞ্চলিক সরকার মন্দির উন্নয়নে ও পর্যটন শিল্পে অর্থ বরাদ্দ করেছে৷ স্থানীয় মুসলিমরাও মন্দির সংরক্ষণের কাজ করেন৷ যা দেখে অনুপ্রাণিত হন সেদেশের সংখ্যালঘুরাও৷