গান-বাজনা আর নয়! তালিবানি রাজত্বে সংকটে আফগান মহিলা শিল্পীদের অস্তিত্ব

গান-বাজনা আর নয়! তালিবানি রাজত্বে সংকটে আফগান মহিলা শিল্পীদের অস্তিত্ব

0e6dcdac301e08d014506deb6069cd96

 

কাবুল:  তালিবানি হুঙ্কারে থরহরি কম্প  গোটা আফগানিস্তান৷ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে সে দেশের মহিলারা৷ নারী অধিকার রক্ষার কথা বললেও, ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে ফতোয়া৷ একে একে কাজ হারাচ্ছেন মহিলারা৷ ঠিক সেই ভাবেই আঘাত আসতে চলেছে শিল্পীদের উপরেও৷ এই আশঙ্কায় কুঁকড়ে গিয়েছেন তাঁরা৷  

আরও পড়ুন- হাতে বন্দুক, পরনে বোরখা! তালিবানি তাণ্ডব রুখতে প্রস্তুত আফগান মহিলারা!

দীর্ঘ এক দশক ধরে দেশ ও জাতির পরিচয় বদলে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইফ মিউজিক৷ কিন্তু গত রবিবার তালিবান কাবুল দখলের পর থেকেই প্রমাদ গুনছেন তাঁরা৷ কবে সংগঠনের গেটে তালা ঝুলবে সেই আশঙ্কায় রয়েছেন শিল্পীরা৷ শৈশবে যাঁরা তালিবানি নৈরাজ্যের সাক্ষী থেকেছে, তাঁরাই গত ২০ বছরে সুর তুলেছিল বাদ্যযন্ত্রে৷ বিশ্বমঞ্চে বরণ্য হয়ে উঠেছিল আফগানিস্তানের এক ঝাঁক কন্যা৷ কিন্তু ফের দেশ জুড়ে তালিবানি জঙ্গিদের বুটের শব্দ৷ বন্দুক উঁচিয়ে রাস্তায় রাস্তায় টহল৷ তালিবানি রক্তচক্ষুর সামনে ফের অনিশ্চিত এই তরুণ শিল্পীদের ভবিষ্যৎ৷ 

আরও পড়ুন- Who are the Taliban? তালিবান কারা? কী ভাবে গড়িয়ে উঠল জঙ্গি সংগঠন তালিবান?

গান বাজনার মাধ্যমে মহিলাদের সার্বিক উন্নতিতে বরাবরই জোড় দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান৷ কিন্তু তালিবানের রাজত্বে সুর শিক্ষা নিষিদ্ধ৷ তালিবান শাসনের প্রথম পর্বে গান-বাজনার উপর কুঠারাঘাত করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় পর্বে অন্য মুখোশ পরে বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার কথা বললেও এখনও তার কোনও প্রমাণই মেলেনি৷ যদিও বলা হয়েছিল, মেয়েরা শরিয়তি আইন মেনে পড়াশোনা করতে পারবেন৷ তাঁরা চাকরি করবেন৷ কিন্তু বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ চাকরির অধিকার হারিয়েছেন মহিলারা৷ আর ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি সঙ্গীত শিল্পীরা৷ আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিকের প্রধান আহমেদ নাসির সারমাস্তের গলা আক্ষেপের সুর৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা যেন দুঃস্বপ্ন। ওরা আর গান-বাজনা করতে দেবে না।’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *