হাতে বন্দুক, পরনে বোরখা! তালিবানি তাণ্ডব রুখতে প্রস্তুত আফগান মহিলারা!

হাতে বন্দুক, পরনে বোরখা! তালিবানি তাণ্ডব রুখতে প্রস্তুত আফগান মহিলারা!

 

কাবুল: সালিমা মাজারি, আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক শক্তির নাম। আফগানিস্তানের গুটিকয়েক মহিলা জেলা শাসকের মধ্যে একজন হলেন সালিমা। চাহার কিন্ট জেলার প্রশাসক ছিলেন তিনি। কাবুল দখলের লক্ষ্য নিয়ে যখন তালিবানরা আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ দখলে নেমেছে, সেই সময়েও তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন সালিমা মাজারি।

হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। আত্মসমর্পণের আগে পর্যন্ত সর্ব শক্তি দিয়ে দায়িত্ব পালন করে গেছেন এই মহিলা জেলাশাসক। আর সেখানেই হয়তো সবচেয়ে বড় ভুলটা করে ফেলেছেন সালিমা। প্রগতিশীল সালিমার প্রতিরোধ, স্পর্ধাকে জঙ্গির দল যে ভালো চোখে নেবে না সেকথা সকলের জানা। মুখে শরিয়ত আইন মেনে মহিলাদের অধিকার দেওয়ার কথা বললেও, বন্দি করার পর তালিবানরা সালিমার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করবে, কি শাস্তি দেবে? তা নিয়েও বিশেষ ধন্দ নেই। তবে পরিণতি যাই হোক…প্রতিরোধ থামবে না। গত ২০ বছরে হাজার হাজার সালিমা বেড়ে উঠেছে স্বাধীন আফগানিস্তানে। স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে তাঁরা… তাই পরাধীনতার শিকল পড়তে অরাজি। সালিমার অধরা সপ্নপূরণ করতে তালিবানদের রুখতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন আফগান মহিলারা। লক্ষ্য তালিবান সন্ত্রাস প্রতিরোধ…

হিজাব, বোরখা পরে তালিবানদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে তৈরি হচ্ছে নারিশক্তি। দ্বিতীয় তালিবানরাজ শুরু আগে এই ছবি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। দিন যত এগোচ্ছে ততই বর্বরতা দেখাচ্ছে তালিবান। হুমকি, শাসানির পর এবার নির্বিচারে হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে এই জঙ্গিদল। সুরক্ষা, শান্তির যাবতীয় মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে পুরনো চেহারায় আফগানিস্তান শাসনে নেমেছে তাঁরা। দেশের বিভিন্ন প্রদেশে মেয়েদের উপর নেমে এসেছে তালিবান ফতোয়া।  তবে এমনটা যে ভবিতব্য, সেবিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন আফগান মহিলারা। আর সেই কারণেই তালিবান কাবুল দখলের পরই দেশছাড়া হয়েছেন অনেকে। আর যারা সেই সুযোগ পাননি তাঁরা এককাট্টা হয়ে বিক্ষিপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। এর আগে প্ল্যাকার্ড হাতে শুধু মাত্র তালিবান বিরোধী স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল মহিলাদের, কিন্তু এবার মুখের কথায় নয়। তালিবান যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন আফগান মহিলারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 11 =