উহান থেকে ছড়ায়নি করোনা, নির্দোষ বাদুড়ও! দাবি WHO গবেষকদের

উহান থেকে ছড়ায়নি করোনা, নির্দোষ বাদুড়ও! দাবি WHO গবেষকদের

নিউ ইয়র্ক : ২০১৯ সালের শেষ দিকে চিনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাসের মারণ সংক্রমণ, এতদিন তাই জেনে এসেছে অতিমারীর কবলে বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। কিন্তু চিনে করোনার উৎস সন্ধানে গিয়ে এবার সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিজ্ঞানীরা। শুধু করোনার উৎসস্থল নয়, বাদুড় থেকে যে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে এদিন তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- আরও বড় মহামারীর মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব, আশঙ্কা বিল গেটসের

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গবেষক দল সম্প্রতি মারণ ভাইরাসের উৎস সন্ধানে পারি দিয়েছিলেন চিনে। বেশ কিছুদিন গবেষণা এগোনোর পর ওই গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আদেও উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায়নি। তাছাড়া এই সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে বাদুড়ের কতটা ভূমিকা আছে না আছে, তা নিয়েও রীতিমতো সন্দিহান হু-এর গবেষকগণ। 

বস্তুত, জি জিনপিংয়ের দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষক দল একা তাঁদের গবেষণা চালাননি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন চিনা গবেষকরাও। মোট ১৭ জন আন্তর্জাতিক এবং ১৭ জন চিনা বিশেষজ্ঞের এই গবেষক দলের দাবি অনুযায়ী, “মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চারটি সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।” মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতির মাধ্যমে মানুষের দেহে ভাইরাসের আগমন ঘটেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বিশ্বের নানা প্রান্তে ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়, বাদুড়ের দেহ থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। কিন্তু এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী পিটার বেন এমবারেক জানিয়েছেন, “উহান শহর যেহেতু বাদুড়ের বাসস্থানের কাছাকাছি নয়, তাই এই শহরের বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণের বিষয়টি খুব একটা সম্ভবপর নয়।”

আরও পড়ুন- ধ্বংস হওয়ার পথে পাকিস্তানের অধিকাংশ হিন্দু ধর্মস্থান: রিপোর্ট

কিন্তু উহান না হলে কোথায় করোনা ভাইরাসের প্রকৃত উৎসস্থল? বাদুড় না হলে কী থেকেই বা রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ল এই মারণ ভাইরাস? এমবারেক জানিয়েছেন এ বিষয়ে এখনও চলছে তদন্ত। এখনও পর্যন্ত মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতিকে চিহ্নিত করা যায়নি। গত দু’সপ্তাহ ধরে উহান প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, সামুদ্রিক খাবারের বাজার এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন হু-এর গবেষক দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − fourteen =