ধ্বংস হওয়ার পথে পাকিস্তানের অধিকাংশ হিন্দু ধর্মস্থান: রিপোর্ট

ধ্বংস হওয়ার পথে পাকিস্তানের অধিকাংশ হিন্দু ধর্মস্থান: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার বাড়ছে সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছিল তারা। বলা হয়েছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এখন পাকিস্তানে হিন্দু ধর্ম স্থান নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে তা উৎকণ্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের এবং বিশ্বের। রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের বেশির ভাগ হিন্দু ধর্ম স্থান এখন ধ্বংসের মুখে। এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে, সেই খবর সামনে আসতেই এখন হইচই গোটা আন্তর্জাতিক মহলে।

জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বেশিরভাগ হিন্দু ধর্ম স্থান গুলির অবস্থা প্রচন্ড খারাপ। তারা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর এর জন্য মূলত দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এই ধরনের ধর্মস্থান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে বোর্ড গঠন করা হয়েছিল তাঁরা কেউ নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি। সেই কারণে আজ হিন্দু ধর্ম স্থান গুলির এই অবস্থা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্থানে অবস্থিত বেশিরভাগ হিন্দুধর্ম স্থানগুলি এখন প্রায় ভগ্নাবশেষে পরিণত হয়েছে। এমনকি এই চিত্র সামনে আসার পরেও তাকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ইমরান খানের সরকারের তরফ থেকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই সমস্ত ধর্ম স্থান গুলির অধিকাংশই হিন্দুদের। কিছুদিন আগে পাকিস্তানি হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়ার মত নিন্দাজনক ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নির্বাক ইমরান খানের সরকার।

পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পেশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জোরকরে ধর্মান্তর করানো থেকে শুরু করে হিন্দুধর্ম স্থল ভেঙে দেওয়া, সব নিয়েই আওয়াজ তোলা হয়েছে। এবার এই রিপোর্ট যেন আরও উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে সকলের মধ্যে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রচন্ডভাবে সমালোচিত। এবার এই ঘটনায় তারা নিজেদের মুখ কি করে বাঁচায় তা দেখার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =