ওয়াশিংটন: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশা জাগিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসনের সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক৷ কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে মাঝ পথেই বন্ধ করে দেওয়া হল হিউম্যান ট্রায়াল৷ সোমবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সাময়িক ভাবে তারা ট্রায়াল বন্ধ রাখছে৷ জনসনের প্রতিষেধক নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হওয়ার পরই ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘২ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা আজ আধুনিক দাসত্বের শিকার’, বলছে রিপোর্ট
সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে৷ বন্ধ থাকছে তৃতীয় ফেজে থাকে ENSEMBLE –এর ট্রায়ালও৷ পরীক্ষা মূলক টিকা প্রয়োগের সময় এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ার দরুন এই সিদ্ধান্ত৷’’ আপাতত অনলাইনে কোনও স্বেচ্ছাসেবীর নাম নথিভুক্ত করাও হচ্ছে না৷ মোট ৬০ হাজার ভলেন্টিয়ারের শরীরের তাদের সম্ভাব্য করোনা টিকা প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন৷ মনে করা হচ্ছিল ২০২১ সালের শুরুতে বা ২০২০ সালের শেষেই করোনার ভ্যাকসিন আনতে পারবে জনসন৷ তবে টিকা নেওয়ার পর এক ভলেন্টিয়ার অসুস্থ হওয়ার পরেই জটিলতা সৃষ্টি হয়৷ বলা হচ্ছিল তাদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের একটি ডোজই কার্যকরী হবে। ওই একটি ডোজই নোভেল করোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। জনসনের করোনা প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়েছিল গোটা বিশ্ব৷ এবার সেই প্রতিষেধকের ট্রায়ালই বড় ধাক্কা খেল৷ এর আগে ধাক্কা খেয়েছিল আশা জাগানো অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক৷
আরও পড়ুন- ‘ভয়ঙ্কর উন্মত্ত চিনা ভাইরাসকে হার মানিয়েছি’ বললেন ট্রাম্প
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এরকম গুরুতর নেতিবাচক ঘটনা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে হওয়াটা স্বাভাবিক৷ বিশেষত অনেক স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে যখন ট্রায়াল করা হয়। সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী এবার দেখা হবে, ওই স্বেচ্ছাসেবী এই বিশেষ প্রতিষেধক নেওয়ার ফলেই অসুস্থ হয়েছেন কিনা৷ সেই অনুযায়ী পরবর্তীকালে ট্রায়াল চলবে কি না, তা ঠিক করা হবে৷ জনসন অ্যান্ড জনসনের হিউম্যান ট্রায়ালে আমেরিকার ২০০টি শহরের ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর টিকা প্রয়োগ করার লক্ষ্য নিয়েছে৷ এছাড়াও আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পেরু ও দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে এই তৃতীয় ফেজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল৷