‘২ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা আজ আধুনিক দাসত্বের শিকার’, বলছে রিপোর্ট

‘২ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা আজ আধুনিক দাসত্বের শিকার’, বলছে রিপোর্ট

রাষ্ট্রসংঘ: এগিয়ে চলেছে সময়, এগিয়ে চলেছে সভ্যতা৷ কিন্তু এখনও ঘোচেনি দাসত্বের শৃঙ্খল৷ বিশ্বের প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলার পায়ে পড়ানো রয়েছে দাসত্বের শিকল৷ এমনই এক তথ্য তুলে ধরল রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট৷ এই রিপোর্ট সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, আজও প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিশোরী-মহিলাদের সইতে হয় নানাবিধ অত্যাচার৷ 

আরও পড়ুন- ‘ভয়ঙ্কর উন্মত্ত চিনা ভাইরাসকে হার মানিয়েছি’ বললেন ট্রাম্প

রাষ্ট্রসংঘের ‘স্টকড অড’ নামক এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে প্রতি ১৩০ জনের মধ্যে ১ জন কিশোরী বা মহিলাকে বলপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করা হয়৷ নয়তো জোড় করে তাঁকে বিয়ে দেওয়া, বাঁধা শ্রমিক কিংবা গার্হস্থ্য দাসে পরিণত করা হয়৷ যা কিনা, অস্ট্রেলিয়ার সামগ্রিক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি৷ রাষ্ট্রসংঘের এক সাংবাদিক বৈঠকে দাসত্ব বিরোধী সংগঠন ‘ওয়াক ফ্রি’র সহ প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট বলেন, ‘‘বাস্তবটা হল মানব ইতিহাসে যে কোনও সময়ের চেয়ে আজ অনেক বেশি মানুষ দাসত্বের জীবন কাটাচ্ছেন৷’’ আধুনিক দাসত্বকে কিছুটা এই ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘সুকৌশলে একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে৷ ব্যক্তিগত আর্থিক স্বার্থ লাভের জন্য অপর এক ব্যক্তিকে শোষণ করা হচ্ছে৷’’ এই রিপোর্টটি ওয়াক ফ্রি, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্পের পরিবর্তে বিডেনকে ভোট দেওয়ার আর্জি থুনবার্গের

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক যৌন শোষনের শিকার ৯৯ শতাংশ মহিলা৷ জোড় বিয়ে করা হয় ৮৪  শতাংশ মেয়েকে এবং বলপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করা হয় ৫৮ শতাংশ মহিলাকে৷ সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল-গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই বিষয়টি একটি সাধারণ ধারনায় পরিণত হচ্ছে৷ এই প্যান্ডেমিক পরিস্থিতি ওই সকল মহিলার জীবন আরও দূর্বিষহ করে তুলছে৷ ফরেস্ট বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ বিশ্বের দুর্বল মানুষরা আরও বেশি করে আধুনিক দাসত্বের পাকে ডুবে যাচ্ছে৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *