ওয়াশিংটন: মিলছে চিকিৎসকের ছাড়পত্র৷ তাঁরা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে আর রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই৷ এর পরই রবিবার জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বললেন, তিনি করোনা মুক্ত৷ ‘ভয়ঙ্কর উন্মত্ত চিনা ভাইরাস’-কে হার মানিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্পের পরিবর্তে বিডেনকে ভোট দেওয়ার আর্জি থুনবার্গের
ফের পূর্ণ উদ্যমে নির্বাচনী প্রচারে নামার আগে রবিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বললেন, ‘‘আমি করোনা মুক্ত৷ তবে জানি না দীর্ঘদিনের জন্য না অল্প সময়য়ের জন্য৷ তবে যাই হোক আমার সত্যই দারুণ লাগছে৷ আমার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে৷ ভয়ঙ্কর চিনা ভাইরাসকে হার মানাতে পেরেছি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনাদের প্রেসিডেন্টের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে৷ ফলে প্রতিপক্ষের মতো আপনাদের প্রেসিডেন্টকে বেসমেন্টে লুকনোর প্রয়োজন নেই৷’’ তিনি যে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিপক্ষ জো বিডেনকেই বিঁধেছেন তা বলাই বাহুল্য৷ যিনি করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্কত ভাবেই প্রচার চালাচ্ছেন৷ তবে এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প বাইডেনকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবৈজ্ঞানিক ভাবে লকডাউন করে করোনার প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দেবে।’’ এদিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘আপনি যদি বাইডেনের দিকে লক্ষ্য করেন, তবে খেয়াল করে থাকবেন কী ভয়ঙ্করভাবে ওনার কাশি হচ্ছিল এবং উনি মাস্কটি ধরেছিলেন৷ আমি জানি না বিষয়টি কি৷’’
আরও পড়ুন- ‘‘সীমান্তে মোতায়েন ৬০ হাজার চিন সেনা, লড়াইয়ে আমেরিকার প্রয়োজন ভারতের’’: মাইক পম্পেও
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া। চিকিৎসার জন্য মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। শনিবার হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্টের থেকে আর ‘রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই’। চিকিৎসকরা জানান, ট্রাম্পের শরীরে ‘ভাইরাল লোড’ কমছে। তবে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ভাইরাস মুক্ত কি না তা জানানো হয়নি। এদিকে, আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷
শনিবারই হোয়াইট হাউসের বারান্দা থেকে প্রথম জনসমক্ষে আসেন ট্রাম্প৷ ওই দিন আধ ঘণ্টা বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু মাত্র ১৮ মিনিটেই থেমে যান তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, এটা কোনও নির্বাচনী প্রচার ছিল না। শুধুমাত্র রিপাবলিক সমর্থকদের ভোট দিতে উৎসাহ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট৷