ওয়াশিংটন: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে এলেন তিনি৷ চার দিন জরুরি চিকিৎসা করিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতাল ছেড়ে হোয়াইট হাউজে ফেরায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প৷ তিনি শুধু হাসপাতাল থেকেই বেরিয়েই আসেননি, মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে প্রবেশ করলেন হোয়াইট হাউসে৷ জানালেন, শীঘ্রই প্রচারে নামবেন তিনি৷ তাঁর এই আচরণে স্তম্ভিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷
আরও পড়ুন- হেপাটাইিস সি ভাইরাস আবিষ্কার, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরও একজন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি কী ভাবে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা৷ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেও টুইট করে ট্রাম্প বললেন, ‘‘করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷’’ গতকাল সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সেনা হাসপাতালের সোনালি রং-এর বিশালাকার দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি৷ সাংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় বন্দি হয় সেই মুহূর্ত৷ লাইভ টেলিকাস্ট করা হয় সম্পূর্ণ ঘটনাটি৷ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউজে ফিরতে হেলিকপ্টারে চাপেন তিনি৷
আরও পড়ুন- নাগরনো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে চরমে সংঘাত, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আলোচনা রাশিয়া-আমেরিকার
জানা গিয়েছে, মৃদু উপসর্গ ছিল তাঁর৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছেন বলে রবিবারই টুইট করে জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক সন কনলি৷ সোমবার টুইট করে ট্রাম্প জানান, এখন সুস্থ বোধ করছেন তিনি৷ করোনাকে ভয় না পাওয়ার আবেদনও জানান মার্কিন নাগরিকদের কাছে৷ তবে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান চিকিৎসক রবার্ট ওয়াচারের মতে, ট্রাম্পের শরীরে যে ধরনের উপসর্গ ধরা পড়েছে, তাঁর কোনও রোগীর এমন উপসর্গ দেখা দিলে তিনি কখনই তিন দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরনোর অনুমতি দিতেন না। আবার ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সক উইলিয়াম স্যাফনারের কথায়, সোমবারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়৷ চিকিৎসক বা সমালোচকরা যাই বলে থাকুক না কেন, কোনও কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই ট্রাম্পের৷