অভিনেতা, গায়ক, গীতিকার… ফুটবলার ছাড়াও আরও অনেক কিছু ছিলেন পেলে

অভিনেতা, গায়ক, গীতিকার… ফুটবলার ছাড়াও আরও অনেক কিছু ছিলেন পেলে

কলকাতা: ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ব্রাজিল তথা বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার পেলে। তাঁর ফুটবলীয় ক্ষমতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না, তিনি কত বড় ফুটবলার তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই কারোর মনেই। কিন্তু এটাও জানতে হবে যে তিনি শুধু ফুটবলার ছিলেন এমনটাও নয়। সঙ্গীত থেকে চলচ্চিত্র জগতে অবাধ বিচরণ ছিল তাঁর। পেলের সেই অজানা অধ্যায়ের কথা জানলে অবাক হবেন সকলেই।

আরও পড়ুন- ভারতে এবার অলিম্পিক্সের আসর! নীল নকশা তৈরি, জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

ফুটবলার হিসেবে তাঁর পরিচিত নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে হয় না। তবে অভিনেতা বা সঙ্গীতশিল্পী পেলেও যে খুব পিছিয়ে ছিলেন না তা হলফ করে বলা যায়। পেলের প্রথম বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ১৯৬২ সালে। ছবির নাম ‘কিং পেলে’। পরিচালক ছিলেন হুগো ক্রিস্টেনসেন। এরপর ১৯৮১ সালে ‘ভিক্ট্রি’ ছবিতে তাঁকে দেখা যায় একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে। সেই ছবি পেলে কাজ করেছেন সিলভেস্টর স্ট্যালোন, মাইকেল কেন, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিকায়ক রবি মুরের মতো তারকাদের সঙ্গে। ওই সময়ে বক্স অফিসে প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল ওই ছবি। এরপর পেলেকে দেখা যায় ‘দ্য ক্লামসিজ অ্যান্ড দ্য কিং অব সকার’ নামের এক ছবিতে যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এছাড়া ‘দিস ইজ পেলে’, ‘পেলে এটারনো’, ‘সিনে পেলে’ নামক একাধিক তথ্যচিত্রেও পেলেকে দেখা গিয়েছিল।

শুধু সিনেমা নয়, ছোট পর্দাতেও বারবার নিজেকে মেলে ধরেছিলেন কিংবদন্তি পেলে। সোপ অপেরা সহ ‘দ্য স্ট্রেঞ্জারস’-নামক টিভি শো-তে দেখা গিয়েছিল পেলেকে। শেষবার তাঁকে ২০০২ সালে এক সোপ অপেরাতে দেখা যায়। সেখানে তিনি গানও গেয়েছিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে। চমকের ব্যাপার, এর ঠিক ৩ মাস পর ব্রাজিল পঞ্চমবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছিল। তাছাড়া আরও বহু গান লিখেছেন পেলে, তাঁর এক অ্যালবাম এক লক্ষেরো বেশি বিক্রি হয়েছিল। এক্ষেত্রে তাঁর সবথেকে বিখ্যাত অ্যালবাম ‘পেলেজিঞ্জা’র কথা ভুলে গেলে চলবে না। এই অ্যালবাম রিলিজ করেছিল ২০০৬ সালে।

আরও পড়ুন- প্রয়াত ফুটবল সম্রাট, তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্ব ফুটবলের প্রথম কিংবদন্তি পেলে

এখানেই কি পেলের চমক শেষ? একেবারেই নয়। কারণ কমিকের দুনিয়াতেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। ব্রাজিলের এক কমিকের জনপ্রিয় চরিত্র ছিল তাঁকে নিয়ে। যদিও প্রথমে সেই চরিত্র তাঁর পছন্দ হয়নি। কিন্তু পেলের সন্তানরা সেই কমিক চরিত্র ভীষণ পছন্দ করে। তাই পেলেও আপত্তি জানাননি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই কমিক বই লাগাতার প্রকাশ পেয়েছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =