মুখে বিজেপির প্রতীক নিয়ে ভোট কেন্দ্রে নীতীশ-মন্ত্রী, বিধি ভঙ্গের অভিযোগ

মুখে বিজেপির প্রতীক নিয়ে ভোট কেন্দ্রে নীতীশ-মন্ত্রী, বিধি ভঙ্গের অভিযোগ

পাটনা: বিহারে চলছে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব৷ আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিহারের রাজ্যপাট কার হাতে তুলে চাইছে রাজ্যের মানুষ, সেই সিদ্ধান্ত বন্দি হবে ইভিএম-এ৷ ২৪৩টি আসনের মধ্যে আজ ৭১টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব৷ আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে নীতীশ কুমারের আট মন্ত্রীর৷ ময়দানে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন কুমার মাঝি এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী প্রেম কুমার৷ এদিন সকলকে চমকে দিয়ে সাইকেলে চড়ে ভোট দিতে বেরন মন্ত্রীমশাই৷ গয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন প্রেম কুমার৷ 

আরও পড়ুন- কেউ ভাবেনি ওঁদের কথা! আজ ইভিএমে বঞ্চনার হিসাব দেওয়ার পালা পরিযায়ীদের

গয়ার এই কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই কেন্দ্র থেকে সাতবার জয়ী হয়েছেন কৃষিমন্ত্রী প্রেম কুমার৷ অষ্টমবারের জন্য ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে তাঁর৷ গত বছর এই কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেস প্রার্থীকে ২২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি৷ তবে এই বার তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের মনে অসন্তোষ ছিল৷ নীতীশ কুমারের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধেও অ্যান্টি ইনকামবেসি ফ্যাক্টর দেখা দিয়েছিল৷ কিন্তু গয়া কেন্দ্রে কংগ্রেসের যে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, তাঁকেও ভালোভাবে নিচ্ছে না এই কেন্দ্রের মানুষ৷ এর উপর রয়েছে জাতপাতের রাজনীতি৷ প্রেম কুমার হলেন চন্দ্রবংশী সমাজের প্রতিনিধি৷ আর এই কেন্দ্রে চন্দ্রবংশী ভোটারের আধিক্যই বেশি৷ ফলে চন্দ্রবংশীরা বরাবরই এই কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে থাকেন৷ এখানে জাতপাতের যে সমীকরণ রয়েছে, সে দিক দেখলে প্রেম কুমারের পাল্লাই ভারী বলে মনে হচ্ছে৷ স্থানীয় মানুষের মনে প্রেম কুমারের প্রতি অসন্তোষ থাকলেও, তাঁদের হাতে বিকল্প প্রার্থী না থাকায় এবারও প্রেম কুমার বাজি মাত করতে চলেছেন বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ 

আরও পড়ুন- চতুর্থবার ফের ক্ষমতায় নীতীশ? নাকি উঠবে পরিবর্তনের ঝড়, ভোট শুরু বিহারে

এদিন সাইকেলে চেপে প্রেম কুমারের ভোট কেন্দ্র পৌঁছনোর এই কৌশল নজর কেড়েছে আম জনতার৷ ভোট দিতে যাওয়ার আগে মন্দিরে পুজোও দেন তিনি৷ তবে এদিন তিনি পদ্ম আঁকা মাস্ক পরেই ঢুকে পড়েন ভোট কেন্দ্র৷ এমনকী তাঁর কাঁধ থেকে পদ্ম আঁকা উত্তরীয়ও সরাননি তিনি৷ আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠলে প্রেম কুমার বলেন, এমন কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 11 =