চতুর্থবার ফের ক্ষমতায় নীতীশ? নাকি উঠবে পরিবর্তনের ঝড়, ভোট শুরু বিহারে

চতুর্থবার ফের ক্ষমতায় নীতীশ? নাকি উঠবে পরিবর্তনের ঝড়, ভোট শুরু বিহারে

পাটনা: বিহারে শুরু বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ৷ তিন দফার ভোটে ২৪৩টি আসনের মধ্যে আজ নির্বাচন হবে ৭১টি আসনে৷  এই তিন দফার ভোটেই বন্দি হবে নীতীশ কুমারের ভাগ্য৷ চতুর্থবারের জন্য তিনি বিহারের মসনদে বসবেন, নাকি পরিবর্তনের ঝড়ে ভেসে যাবেন খড়কুটোর মতো, তা নির্ধারণ হবে এই ভোটেই৷ এই নির্বাচনে নীতীশ কুমারের প্রধান প্রতিপক্ষ আরজেডি’র তেজস্বী যাদব৷ যিনি ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ লকডাউনের পর থেকে বেকারত্বই বিহারের সামনে আরও বেশি করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ‘বাবা কা ধাবা’ দম্পতির বিনামূল্যে ছানি অপারেশন! ডাক্তারকে কুর্নিশ নেট পাড়ার

বিহারের যুবকেরা বলছেন, ১৫ বছরে চাকরি কোথায়? এই বেকারত্বের ঝড়ে অনেকটাই টালমাটাল নীতীশ কুমারের কুর্সি৷ তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লালুপ্রসাদ যাদব এখন জেলবন্দি। অপর এক প্রতিদ্বন্দ্বী রামবিলাস পাসোয়ান সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। সেই দিক থেকে দেখলে নীতীশের সামনে ময়দান এখন ফাঁকা৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে, সম্ভবত জীবনের সব চেয়ে কঠিন লড়াইয়ে নামলেন নীতীশ কুমার। বিজেপি’র সঙ্গেও বেড়েছে নীতীশের দূরত্ব৷ তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ চিরাগ পাসওয়ান নীতীশের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন, তার পিছনে বিজেপি’র প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন৷ তৃণমূল স্তরের প্রতিক্রিয়া বলছে, এখন আর দলের সম্পদ নন নীতীশ কুমার৷ চতুর্থবার তাঁর ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি’র অন্দরেই৷  

আরও পড়ুন- নিউ নর্মালে আজ ভোট, বিহারে বিজেপি-নীতীশের দূরত্ব বাড়ছে!

নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে এবার আরও একটি ফ্যাক্টর কাজ করছে৷ আর তা হল যাদব-মুসলিম জোট৷ রয়েছে পরিযায়ী ইস্যুও৷ কারণ লকডাউন শুরুর পর রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢুকতে দেননি নীতীশ কুমার। ফলে সেই হিসেব যে তাঁরা ইভিএম-এই চোকাবে তা প্রায় নিশ্চিত৷ তার উপর রাজ্যে ফেরা পরিযায়ীদের এক হাজার টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিকই সেই অনুদান পাননি বলে দাবি৷ নীতীশ জমানায় রাজধানী পাটনার ভোল বদলালেও গোটা রাজ্যের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতন নয়৷ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, কিংবা চাকরির প্রশ্নে বিদ্ধ নীতীশ কুমার৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =