কেন ছেলের সঙ্গে থাকতেন না হীরাবেন? জানিয়েছিলেন খোদ মোদী

কেন ছেলের সঙ্গে থাকতেন না হীরাবেন? জানিয়েছিলেন খোদ মোদী

নয়াদিল্লি: গত মঙ্গলবার আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন। জানা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং ছেড়েও দেওয়া হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। শুক্রবার প্রয়াত হন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর মায়ের সম্পর্ক নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন ছিল যে কেন তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না বা মোদী তাঁর মা’কে আদৌ কোনও সাহায্য করেন কিনা। সেই জবাব এক সাক্ষাতকারের মাধ্যমে অবশ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নিয়ে এখন নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- এইমস থেকে ছাড়া পেলেন নির্মলা, কী হয়েছিল তাঁর

বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে মোদী জানিয়েছিলেন, কম বয়সে সংসার ত্যাগ করায় পরিবারের কারও সঙ্গেই তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না তাঁর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মা’কে কয়েকদিন নিজের কাছে এনে দিল্লিতে রেখেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন সময় দিতে পারতেন না তিনি। কাজের ব্যস্ততার জন্য মায়ের সঙ্গে তাঁর দেখাও কম হত, রাতে ফিরতে দেরি হলে মা চিন্তাও করতেন। তাই হীরাবেন নিজেই নাকি গুজরাটে নিজের বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ছিল। ফলে সেখানেই খুশি থাকেন তিনি। তবে মোদী যখনই সময় পেতেন মায়ের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসতেন। তাঁর জন্মদিন হোক কিংবা মায়ের, মা-ছেলের দেখা হত।

এও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ছেলের থেকে কোনও দিন কোনও টাকা নেননি হীরাবেন। টাকা ছাড়াও অন্যান্য কিছুই তিনি চাননি। মোদী জানিয়েছিলেন, তাঁর মাকে কখনও তিনি সোনার গয়না পর্যন্ত পরতে দেখেননি। শুধু আইসক্রিম খেতে চাইতেন তিনি। সেটা দেখলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারতেন না। এমনিতে নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মাকে একসঙ্গে অনেকবার ছবিতে দেখা গিয়েছে। মধ্যাহ্নভোজ হোক কিংবা নৈশ্যভোজ, সময় পেলেই মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এবার আর তা হবে না।

আরও পড়ুন- ভিক্টোরিয়ার পুনরাবৃত্তি! বন্দেভারতের উদ্বেধনে মমতাকে দেখেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী

মায়ের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদীও। তিনি জানান, ১৫-১৬ বছর বয়সে তাঁদের মায়ের বিয়ে হয়। আর্থিক চাপ এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে, তিনি কখনই পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। কিন্তু মা চেয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত সন্তান শিক্ষিত হোক। যদিও এর জন্য কোনও দিন কারোর থেকে টাকা ধার বা সাহায্য নেননি তিনি। এছাড়াও অনেক দেশি চিকিৎসা জানতেন হীরাবেন। কখনও স্কুলে না গেলেও গ্রামের ‘ডাক্তার’ ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =