নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে মুখ খুলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বেফাঁস মন্তব্য করে তাঁদের পড়তে হয়েছে সরকারের কোপে। বহু ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে সরকারের সঙ্গে একমত না হলেও এবার ট্যুইটার ও কেন্দ্রের চাপানউতোরে দেখা গেল বরফ গলতে।
আরও পড়ুন- করোনার জন্য প্রতিবছর নিতে হবে নতুন নতুন ভ্যাকসিন? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৯৭% ট্যুইটার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করল সংস্থার ভারতীয় শাখা, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে ওই সমস্ত ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পোস্টও সরিয়ে দেওয়ার হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু হ্যাশট্যাগ সম্বলিত পোস্টের উপর পড়েছে কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের কোপ। “কৃষক গণহত্যা” জাতীয় হ্যাশট্যাগগুলি এর মধ্যে অন্যতম।
সূত্রের খবর, সরকারের তরফে পৃথক ভাবে দুটি আবেদনের মাধ্যমে মোট ১৪৩৫টি ট্যুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করার আর্জি জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে এদিন ১৩৯৮টি অ্যাকাউন্টই সোশ্যাল মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে হিংসামূলক প্রচার চালানো হচ্ছিল বলেই অভিযোগ। এমনকি পাকিস্তানি এবং খালিস্তানি সমব্যথীরাও ওই অ্যাকাউন্ট গুলি সমর্থন করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বস্তুত, সরকার বললেও তাঁদের নিয়ম বিধির লঙ্ঘন না হওয়ায় প্রথমে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করার বিষয়ে রাজি হয়নি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে এ নিয়ে চলে চাপানউতোর। এমনকি ভারতে ট্যুইটারের শীর্ষ আধিকারিকের পদত্যাগের কথাও শোনা যায়। তবে বুধবার এই মার্কিন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের আইটি সেক্রেটারি অজয় প্রকাশ। আর তারপরেই গলেছে বরফ। ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ট্যুইটার।
আরও পড়ুন- জ্বালানি ছ্যাঁকা! ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, কলকাতায় কত জেনে নিন
এদিন সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বাকি কয়েকটি অ্যাকাউন্ট যেগুলি এখনও ব্লক করা হয়নি, সেগুলির বিষয়ে আপাতত সাবধান করে আরো একটা সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছে ট্যুইটার। উল্লেখ্য, সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমের অ্যাকাউন্টও ছিল সরকারের তালিকায়, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টটি ব্লক এখনও ক্রিয়াশীল রয়েছে।