করোনার জন্য প্রতিবছর নিতে হবে নতুন নতুন ভ্যাকসিন? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত

করোনার জন্য প্রতিবছর নিতে হবে নতুন নতুন ভ্যাকসিন? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত

নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর দীর্ঘ হতাশা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে একুশের পৃথিবী। ভ্যাকসিনের আবিষ্কার অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে মানুষকে। ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে করোনা টিকার বন্টনও। কিন্তু এই স্বস্তির আবহেই এবার কোভিড নিয়ে নতুন আশঙ্কা সামনে আনলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুন-  জ্বালানি ছ্যাঁকা! ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, কলকাতায় কত জেনে নিন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে হয়ে পড়বে স্থানীয় রোগের মতোই স্বাভাবিক, রোজকার জীবনে একে সঙ্গে নিয়েই বাকি সময়টা কাটাতে হবে, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করেছেন এই ভাইরাস কখনো নির্মূল হবে না। কম মাত্রায় হলেও ভাইরাস থেকে যাবে।। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনবরত পরিবর্তনশীল করোনার নতুন নতুন ধরণ সম্পর্কে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে, যাতে বিজ্ঞানীরা তার প্রতিষেধক তৈরি করতে পারেন।

এ ব্যাপারে জনসন অ্যান্ড জনসনের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (CEO) অ্যালেক্স গর্স্কি জানিয়েছেন, করোনার নতুন নতুন প্রকারের হাত থেকে বাঁচতে হয়তো মানুষকে আগামী অনেকগুলো বছরের জন্য বার্ষিক প্রতিষেধক নিতে হতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানিয়েছেন, “দুর্ভাগ্যবশত এই ভাইরাস যেমন ছড়ায় তেমন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিতও হতে পারে। যতবার এটি চরিত্র বদল করে ততবার একে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়।”

বস্তুত, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড ১৯ ভাইরাসের এক ভিন্নধর্মী প্রকার আবিষ্কৃত হয়েছে। লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নির্মিত অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের বন্টন তাই এই দেশে স্থগিত করা হয়েছে। হালকা বা মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর সুরক্ষার জন্য ওই ভ্যাকসিন যথেষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন সেই দেশের বিশেষজ্ঞরা। অথচ অ্যাস্ট্রোজেনেকাকে বিশ্বের আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিন গুলোর মধ্যে অন্যতম সফল বলা যায়। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসন , ফাইজার, নোভাভ্যাক্স প্রভৃতি সংস্থা নির্মিত বাকি ভ্যাকসিনগুলোও দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসের নতুন প্রকারের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী হয়নি। 

আরও পড়ুন-  উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের পিছনে তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে করোনার জন্য একাধিক নতুন নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। আপাতত এই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *