ত্রিপুরায় চরম স্বস্তি পেল তৃণমূল, আদালতে চাপে বিপ্লব প্রশাসন

ত্রিপুরায় চরম স্বস্তি পেল তৃণমূল, আদালতে চাপে বিপ্লব প্রশাসন

bd28896676aeebcabc0eebc05a602535

আগরতলা: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরা যাওয়ার পর থেকেই আলোড়ন শুরু হয়। বারংবার তাঁদের কর্মসুচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায় ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, খোয়াই থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে ত্রিপুরা প্রশাসন। সেই অভিযোগকেই চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করেছিল তৃণমূল। এবার সেই মামলাতেই বড় স্বস্তি পেল তারা। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই মামলায় নতুন করে কাউতে নোটিস দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন-  মহত্মা গান্ধীর সঙ্গে রাখি সাওয়ান্তের তুলনা! স্পিকারের বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় 

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার তৃণমূলের মিছিলে অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। ১৫ তারিখ রবীন্দ্র ভবন থেকে চৌমোহিনী পর্যন্ত পদযাত্রা করার কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্তু পুলিশ অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির কথা বলে তৃণমূলের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এর পর তৃণমূলের তরফে ১৬ তারিখ পদযাত্রা করার অনমুতি চাওয়া হয়৷ সেটাও মেনে নেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। ফের ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। তার জন্য হাইকোর্টের দারস্থ হয় তৃণমূল। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খোয়াই থানায় যে মামলা হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল জানিয়েছিল যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলার শুনানিতেই আদালত জানিয়েছে, পুজোর পর বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এখন আর নতুন করে কাউকে নোটিস দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন- ‘আধা রুটির স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাজনৈতিক পরিযায়ীরা’, নাম না করে তৃণমূলকে খোঁচা বিপ্লব দেবের

উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের তরফে মূলত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়। সেই মামলার কারণেই গতকাল আগরতলার NCC থানায় হাজিরা দিতে যান কুণাল। সেখানেই ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু সহ আরও অনেকেই বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ত্রিপুরায় একাধিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে তাঁদের সঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি, সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়। এমনকি থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান কুণালরা। সেই ভিত্তিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *