আগরতলা: ত্রিপুরায় তরজা তুঙ্গে৷ প্রতিনিয়ত চলছে বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ৷ বেকারত্ব ইস্যুতে লাগাতার বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল৷ অভিযোগ, ত্রিপুরায় মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা রক্ষা করতে পারেনি বিজেপি৷ আক্রমণের মুখে পাল্টা মুখ খুললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী৷ তোপ দেগে তিনি বলেন, আধা রুটির স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাজনৈতিক পরিযায়ীরা৷ তাঁদের উদ্দেশ্য ত্রিপুরার মানুষ ভালোমতোই জানে৷
আরও পড়ুন- কেরলের সংক্রমণ ঘুম ওড়াচ্ছে দেশের! সার্বিকভাবে কম আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা
বিপ্লব দেব আরও বলেন, এ রাজ্যের পরিশ্রমী মানুষ সম্মানের সঙ্গে রোজগার করে৷ আধা নয়, তাঁরা নিজেদের ক্ষমতায় আস্ত রুটির বন্দোবস্ত করেন৷ এখানকার মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে। সঠিক ব্যবস্থাপনায় ত্রিপুরায় রোজগারের বিভিন্ন পথ উন্মোচিত হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ বিপ্লব দেব সরকার৷ রাজ্যে ক্রমাগত বেকারত্ব বাড়ছে৷ তবে শুধু বেকারত্ব নয়, পাশাপাশি আরও নানা ইস্যু তুলে ধরে ত্রিপুরার যুদ্ধে নেমেছে তৃণমূল৷
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে ভোট ময়দানে নেমেছে তৃণমূল৷ তাঁদের দাবি, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩২৩ পদে আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য ‘স্থায়ী সমাধান’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু এর দু’বছর পর, কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হয়ে যায়৷ যার জেরে সেগুলি বাতিল হে যায়৷ প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে রাজ্যে ১০ হাজার ৩২৩ জন স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং অস্নাতক শিক্ষককে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি স্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই নিয়োগ নিয়ে আমদালতে মামলা হয় এবং আদালত এই নিয়োগকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের বিশেষ আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে৷