কলকাতা: দু’জন অজানালোকে পাড়ি দিলেন, একজন বাঁচলেন বরাত জোরে। তিনি অবশ্য এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁকে নিয়ে দেশবাসীর চিন্তার শেষ নেই। আর বাকি দু’জনকে নিয়ে মন ভারী করে তাঁরা। কথা হচ্ছে, ফুটবল সম্রাট পেলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন এবং ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে নিয়ে। শুক্রবার সকালে দেশের মানুষ ঘুম থেকে উঠে শুনল পেলে এবং হীরাবেনের মৃত্যুর খবর, পাশাপাশি চমকে উঠল ঋষভের গাড়ির দুর্ঘটনার খবরে।
আরও পড়ুন- ভাড়া নিজেরাই ঠিক করতে চান বেসরকারি বাসমালিকরা, বড় অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে
পেলে: কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই তাঁর ক্যানসারের প্রকোপ বেড়ে যায়। কেমোথেরাপিও কাজ করছিল না। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও করতে পারছিলেন না ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। কাউকে চিনতেও পারছিলেন না৷ ফুটবল বিশ্বের শুভ কামনাও কোনও কাজে আসেনি। শেষে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অজানা দেশে চলে যান ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি। শুক্রবার ভোরেই এই খবর দেখে হতাশ গোটা বিশ্ব সহ এই দেশ।
হীরাবেন: বয়স হয়েছিল ১০০। শেষ কয়েক মাস ধরেই শারীরিক সমস্যা বেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেনের। গত মঙ্গলবার আচমকা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক কী হয়েছিল তা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়নি। মাঝে এও খবর ছিল যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষে তা করা গেল না। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হীরাবেন মোদী। পূর্বপরিকল্পিত যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে আমদাবাদে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। কাঁপা কাঁপা হাতে মায়ের নিথর দেহ কাঁধে তুলে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যান তিনি।
ঋষভ পন্থ: এটা হয়তো ভারতবাসীর কাছে সবথেকে আকস্মিক ঘটনার অন্যতম। সদ্য বাংলাদেশ থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। দিল্লি হয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সঙ্গে নতুন বছর কাটাবেন বলে। চেয়েছিলেন বাবা-মাকে সারপ্রাইজ দিতে। কিন্তু রাস্তায় বিরাট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হল ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে। দিল্লি-দেহরাদুন হাইওয়েতে তাঁর গাড়ি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারপর সেই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন ঋষব বলে জানা গিয়েছে। কোনওক্রমে জানলার কাঁচ ভেঙে তিনি বেরিয়ে আসেন, তাতেই প্রাণ রক্ষা হয়।