হাথরাসকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে ঠাকুররা, প্রকাশ্যে হুমকি ভীম সেনা প্রধানকে

হাথরাসকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে ঠাকুররা, প্রকাশ্যে হুমকি ভীম সেনা প্রধানকে

68312eac659ed1d2432066c24d838573

নয়াদিল্লি: উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণী নির্যাতন এবং তাঁর মৃত্যুর পর পুলিশের তড়িঘড়ি দেহ সৎকারককে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সারা দেশে৷ গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে৷ তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে সিট৷ এরই মধ্যে ওই চার অভিযুক্তের হয়ে ময়দানে নামল উচ্চবর্ণের ধ্বজাধারীরা৷ রবিবার ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ওই দলিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরই অভিযুক্তদের সমর্থনে সুর চড়ায় তারা৷ পুলিশের উপস্থিতিতে ক্যামেরার সামনেই চলে হুমকি৷ 

আরও পড়ুন- যুদ্ধ বাধলে এঁটে উঠবে না চিন, মোক্ষম জবাব দেবে ভারত: বায়ুসেনা প্রধান

এদিকে, ওই নির্যাতিতা দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে চন্দ্রশেখর আজাদ দেখা করার পরই ভীম সেনা প্রধান সহ আরও ৪০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এলাকায় বিপুল জনসমাবেশ করার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে৷ অথচ গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনের সমর্থনে যে ৫০০ জনের জমায়েত করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ৷ তাদের মধ্যেই কয়েকজন আবার প্রকাশ্য ক্যামেরার সামনে চন্দ্রশেখর আজাদকে হুমকি দেয়৷ যে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ অন্যদিকে, আজ ওই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন আজাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘হাথরাসে অভিযুক্তদের সমর্থনে প্রকাশ্যে সমাবেশ চলছে৷ সংকটের মধ্যে রয়েছে ওই তরুণীর পরিবার৷’’ ওই দলিত পরিবারেরও অভিযোগ, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর এই ঘটনা সারা দেশের নজরে আসতেই তাঁদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন- হাথরস গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থনে খাপ পঞ্চায়েত বিজেপির, বিরাট জনসভা

গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকেরা প্রকাশ্যে সভা করতে শুরু করেছে৷ যারা ‘জাতীয় সবর্ণ (উচ্চবর্ণ) পরিষদ’-এর বৈঠকে সামিল হয়েছে তাদের অভিযোগ, ওই চার অভিযুক্তকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে দলিত তরুণীর পরিবার৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছে তারা৷ এদিন ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে চিৎকার করতে শোনা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘আপনার কি সিবিআই তদন্তে ভরসা নেই? ওঁনার (চন্দ্রশেখর) সিবিআই-এর উপর আস্থা নেই৷ উনি এখানে রাজনীতি করতে এসেছেন৷’’ ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘‘ঠাকুররা আঘাত সহ্য করার জন্য জন্মেছে৷ বেরিয়ে আসুন৷ আপনার বড় ভাইরা আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে৷’’       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *