নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি যেমনই হোক, যে কোনও অবস্থায় চিনকে কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত৷ সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া৷ ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা আগের চেয়ে যে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ওয়েটিং লিস্টে নাম? উৎসবের আগে যাত্রীদের সুখবর শোনাল ভারতীয় রেল
তবে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির শক্তিও যে কম নয়, এদিন সেকথাও উল্লেখ করেন ভাদোরিয়া৷ তিনি বলেন, ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র এবং চিনের বায়ুসেনা ভারতের কাছে কড়া চ্যালেঞ্জ৷ চিনের হাতে রয়েছে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক সেন্সর ও অস্ত্র সহ পঞ্চম প্রজন্মের চেংডু জে-২০৷ তবে এর ইঞ্জিন অত্যাধুনিক নয়৷ ফলে শক্তির লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবে না চিন৷ লাল ফৌজ যতই শক্তিশালী হোক, ভারতীয় বায়ুসেনা যে কোনও অংশে কম নয়, সে কথা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান৷ তিনি বলেন, ভারতও জবাব দিতে তৈরি৷ লাদাখে টু ফ্রন্ট এয়ার স্ট্রাইকের জন্যও তৈরি রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে কোনও রকমের এয়ার স্ট্রাইক চিনের ওপর হানার পরিকল্পনা নেই দেশের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতি যদি বাধ্য করে তাহলে ভারত হামলা করতে পিছপা হবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- জুলাইয়ের মধ্যে তৈরি হবে ২৫ কোটি করোনা ভ্যাকসিন, আশ্বাস দিলেন হর্ষ বর্ধন
এদিন লাদাখ সীমান্তে ডিসএনগেজমেন্ট (সেনা পিছনো)-এর প্রশ্নে ভাদোরিয়া বলেন, ‘‘ডিএনক্যালেশন (সেনা সংখ্যা কমানো) নিয়ে আলোচনার পর ডিসএনগেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে৷ আমরা আশা রাখি প্রত্যাশিত পথেই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এগোবে৷’’ বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া এদিন আরও বলেন, গ্রাউন্ড পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে বায়ুসেনার গিতিবিধি৷ তাঁর কথায়, ‘‘সীমান্তে দৃঢ় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ যে কোনও আগ্রাসন রুখে দিতে তাঁরা প্রস্তুত৷ সমস্ত প্রাসঙ্গিক ও কৌশলগত স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷’’ এদিকে, সপ্তম দফায় কোর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে বসতে চলছে ভারত ও চিনের সেনা আধিকারিকরা৷ ১২ অক্টোবর ফের আলোচনার টেবিলে বসবে ভারত-চিন৷ লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে রফা সূত্র খুঁজে বার করাই হবে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য৷