ছিল বিস্ফোরণের ছক, গ্রেফতার ৬ জঙ্গি! ‘নিখোঁজ’ ১৫-১৬ বাংলাভাষী সন্ত্রাসবাদী

ছিল বিস্ফোরণের ছক, গ্রেফতার ৬ জঙ্গি! ‘নিখোঁজ’ ১৫-১৬ বাংলাভাষী সন্ত্রাসবাদী

নয়াদিল্লি: আর কয়েকদিন পরেই উৎসব মরসুম শুরু। বাংলার তথা বাঙালির দুর্গাপূজা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক উৎসব রয়েছে। তার আগে বড়সড় সাফল্য পেল গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হল ছয়জন জঙ্গিকে। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে ধৃত এই জঙ্গিরা।

আরও পড়ুন- ED-র তলবে দিল্লি যাচ্ছেন না মলয় ঘটক, বদলে দুটি প্রস্তাব রাখলেন আইনমন্ত্রী

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষিত। এছাড়াও ১৪ থেকে ১৫ জন বাংলাভাষী একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছে! ইতিমধ্যেই তাদের জেরা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা এবং উঠে আসছে একাধিক তথ্য। জানতে পারা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। আপাতত এমনটাই দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। এছাড়াও তারা আরো জানতে পেরেছে যে, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে বিস্ফোরণের ছক ছিল এই জঙ্গিদের। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সূত্র মারফত জানতে পেরেছিল যে আইএসআই সমর্থিত এই জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতে ঢুকেছে এবং একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ছক করছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম আবু বাকার, ওসামা, ইশান, মহম্মদ আলি শেখ। 

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র 

আরও জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজন জঙ্গিকে কোটায় ট্রেন থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই দানিশ ইব্রাহিমের টাকায় ভারতের নাশকতার ছক ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য এরা পাকিস্তান গিয়েছিল এবং ফেরার পথে এদের গ্রেফতার করা হয়। যে কজন বাংলাভাষী এদের সঙ্গে ছিল তারা বাংলাদেশের বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও আশঙ্কা এখানেই থেমে থাকছে না। কারণ ভারতে ফেরার সময় এরা সবাই আলাদা আলাদা দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে থেকেই এই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ওই বাংলাভাষী জঙ্গিরা কোথায় রয়েছে বা তারা কারা, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। এই জঙ্গিদের উত্তর প্রদেশ এটিএস-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এদের সকলের কাছ থেকেই বোমা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *