কলকাতা: কয়ালা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটলকে দিল্লি তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল তাঁকে৷ তবে আজ ইডি-র দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না আইনমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- ৩০ সেপ্টেম্বর তিন কেন্দ্রে ভোট, রাজ্যে আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
ইডি ও এএনআই সূত্রে খবর, মলয় ঘটক ইতিমধ্যেই ইডি-র আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, এত কম সময়ের নোটিশে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়৷ তবে তিনি দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন ইডি আধিকারিকদের৷ প্রথমত, তাঁকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা দিল্লিতে বসেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করতে পারেন৷ দ্বিতীয়ত আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন৷ ইডি আধিকারিকরা চাইলে কলকাতায় এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন৷
ইডি আধিকারিকদের দাবি, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে৷ এর মধ্যে বিকাশ মিশ্রর বয়ানও রয়েছে৷
আসানসোল-দূর্গাপুর ও সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের বয়ানে আর্থিক লেনদেনের কথাও উঠে এসেছে৷ যার ভিত্তিতেই আইনমন্ত্রীকে তলব করা হয়েছে৷ তাঁর কাছ থেকে মূলত জানতে চাওয়া হবে, দিনের পর পর কয়লা মাফিরারা অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন ও পাচার করেছে৷ জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর কাছে কোনও খবর ছিল কিনা৷ একাধিক সাক্ষী ও ব্যবসায়ীরা যে বয়ান দিয়েছেন সে সম্পর্কেও তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে৷
আরও পড়ুন- ক্রমশ বাড়ছে ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কয়লা-কাণ্ডে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জেরা করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷ পরে ফের তাঁকে দিল্লি তলব হয়েছে৷ এদিকে আসানসোল, দূর্গাপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় খনি থেকে অবৈধ ভাবে যে কয়লা বার করা হত, সেখানকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর কী বক্তব্য, তা জানতে চাওয়া হবে৷ তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি মলয় ঘটক৷